৬৬ আত-তাহরীম ( التحريم )
وَاِذْ اَسَرَّ النَّبِيُّ اِلٰى بَعْضِ اَزْوَاجِهٖ حَدِيْثًاۚ فَلَمَّا نَبَّاَتْ بِهٖ وَاَظْهَرَهُ اللّٰهُ عَلَيْهِ عَرَّفَ بَعْضَهٗ وَاَعْرَضَ عَنْۢ بَعْضٍۚ فَلَمَّا نَبَّاَهَا بِهٖ قَالَتْ مَنْ اَنْۢبَاَكَ هٰذَاۗ قَالَ نَبَّاَنِيَ الْعَلِيْمُ الْخَبِيْرُ
And when the prophet confided in some of his counterparts, during a conversation; and when she informed of it and Allahh exposed (knowledge about) it to him, he made known parts of it and ignored other parts. And when he informed her about it, she said, “Who foretold you this?” He said, “I was informed by the one who exposes evidence-based knowledge, the one with expert awareness.”
বিস্ময়কর কোরআনঃ এবং কথোপকথনের সময় যখন নবী তার অনুরূপদের কিছু গোপনে বলেছিল; এবং যখন সে (নারী) তা জানিয়ে দিল এবং আল্লাহ তার কাছে তা প্রকাশ করলেন, তখন সে (নবী) তার কিছু অংশ জানালো এবং অন্যান্য অংশকে উপেক্ষা করল। এবং যখন সে তাকে (নারীটিকে) এ বিষয়ে অবহিত করেছিল, তখন সে (নারীটি) বলেছিল, “কে তোমাকে এ কথা বলেছে?” সে (নবী) বলেছিল, “যিনি প্রমাণ-ভিত্তিক জ্ঞান প্রকাশ করেন, যিনি বিশেষজ্ঞ সচেতন, তিনি আমাকে অবহিত করেন।”
মুহিউদ্দীন খানঃ যখন নবী তাঁর একজন স্ত্রীর কাছে একটি কথা গোপনে বললেন, অতঃপর স্ত্রী যখন তা বলে দিল এবং আল্লাহ নবীকে তা জানিয়ে দিলেন, তখন নবী সে বিষয়ে স্ত্রীকে কিছু বললেন এবং কিছু বললেন না। নবী যখন তা স্ত্রীকে বললেন, তখন স্ত্রী বললেনঃ কে আপনাকে এ সম্পর্কে অবহিত করল? নবী বললেন,ঃ যিনি সর্বজ্ঞ, ওয়াকিফহাল, তিনি আমাকে অবহিত করেছেন।
اِنْ تَتُوْبَآ اِلَى اللّٰهِ فَقَدْ صَغَتْ قُلُوْبُكُمَاۚ وَاِنْ تَظٰهَرَا عَلَيْهِ فَاِنَّ اللّٰهَ هُوَ مَوْلٰىهُ وَجِبْرِيْلُ وَصَالِحُ الْمُؤْمِنِيْنَۚ وَالْمَلٰۤىِٕكَةُ بَعْدَ ذٰلِكَ ظَهِيْرٌ
If you two cease in submission to Allahh, then both your cores have yielded. But if you two collude, each in support of the other, against him – then (know that) indeed, Allahh is his protector, and Jibreel and the believers who meticulously apply the divine lexicon, and the angels beyond that are available to support (him).
বিস্ময়কর কোরআনঃ যদি তোমরা উভয়ে (তোমাদের চক্রান্ত) বন্ধ করে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ কর, তবে তোমাদের উভয়ের অন্তর সমর্পণ করেছে। কিন্তু যদি তোমরা দু ‘জন মিলে একে অপরকে সমর্থন কর, তার (মুহাম্মাদের) বিরুদ্ধে – তবে (জেনে রেখো) নিশ্চই আল্লাহ তার পৃষ্ঠপোষক, জিবরীল ও যারা বিশ্বাসীদের মধ্যে সঠিক মেহনত করে তারাও, এবং আর এর বাইরেও ফেরেশতাগণ (তাকে) সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত।
মুহিউদ্দীন খানঃ তোমাদের অন্তর অন্যায়ের দিকে ঝুঁকে পড়েছে বলে যদি তোমরা উভয়ে তওবা কর, তবে ভাল কথা। আর যদি নবীর বিরুদ্ধে একে অপরকে সাহায্য কর, তবে জেনে রেখ আল্লাহ জিবরাঈল এবং সৎকর্মপরায়ণ মুমিনগণ তাঁর সহায়। উপরন্তুত ফেরেশতাগণও তাঁর সাহায্যকারী।
عَسٰى رَبُّهٗٓ اِنْ طَلَّقَكُنَّ اَنْ يُّبْدِلَهٗٓ اَزْوَاجًا خَيْرًا مِّنْكُنَّ مُسْلِمٰتٍ مُّؤْمِنٰتٍ قٰنِتٰتٍ تٰۤىِٕبٰتٍ عٰبِدٰتٍ سٰۤىِٕحٰتٍ ثَيِّبٰتٍ وَّاَبْكَارًا
Perhaps, if he divorced you (plural), his lord would substitute for him counterparts (plural) who are better than you – submitters (to Allahh), believers, practitioners of spiritual silence, repentant, worshippers, and ‘travelers’ – ‘previously married’ and ‘virgins’.
বিস্ময়কর কোরআনঃ সম্ভবতঃ সে যদি তোমাদেরকে পরিত্যাগ করতো, তবে তার পালনকর্তা তার পরিবর্তে তোমাদের চেয়ে উত্তম কিছু অনুরূপ – আত্মসমর্পণকারী, বিশ্বাসী, আত্মিক নীরবতা পালনকারী, তওবাকারী, ‘মুসাফির’ এবং ‘পূর্বে বিবাহিত’ ও ‘কুমারী’দের স্থলাভিষিক্ত করতেন।
মুহিউদ্দীন খানঃ যদি নবী তোমাদের সকলকে পরিত্যাগ করেন, তবে সম্ভবতঃ তাঁর পালনকর্তা তাঁকে পরিবর্তে দিবেন তোমাদের চাইতে উত্তম স্ত্রী, যারা হবে আজ্ঞাবহ, ঈমানদার, নামাযী তওবাকারিণী, এবাদতকারিণী, রোযাদার, অকুমারী ও কুমারী।
ضَرَبَ ٱللَّهُ مَثَلًۭا لِّلَّذِينَ كَفَرُوا۟ ٱمْرَأَتَ نُوحٍۢ وَٱمْرَأَتَ لُوطٍۢ ۖ كَانَتَا تَحْتَ عَبْدَيْنِ مِنْ عِبَادِنَا صَـٰلِحَيْنِ فَخَانَتَاهُمَا فَلَمْ يُغْنِيَا عَنْهُمَا مِنَ ٱللَّهِ شَيْـًۭٔا وَقِيلَ ٱدْخُلَا ٱلنَّارَ مَعَ ٱلدَّٰخِلِينَ
Allahh has struck, for those who rejected, the counterexample of Nuḥ’s subordinate woman and (or with) Lūt’s subordinate woman: They were under (the subordination) of two toilers on the divine lexicon among our wayfarers, but they (the two women) betrayed them (the two righteous wayfarers), and they (the two wayfarers) were of no benefit to them (the two women) against Allahh’s decree (regarding the two women). And it was said (to the two women): “Enter the ‘Nar’ (the man-made, dimly lit illumination) with others who enter it.”
বিস্ময়কর কোরআনঃ যারা প্রত্যাখ্যান করেছিল তাদের জন্য আল্লাহ নূহের অধীনস্থ মহিলা এবং (বা সাথে) লূতের অধীনস্থ মহিলার পাল্টা উদাহরণ দিয়েছেন: তারা আমাদের পথিকদের মধ্যে পবিত্র অভিধানে দু’জন মেহনতীর (অধীনস্থ) ছিল, কিন্তু তারা (দুইজন মহিলা) তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল এবং তারা (দুইজন পথচারী) আল্লাহর হুকুমের বিরুদ্ধে তাদের (দুইজন মহিলার) কোন উপকারে আসেনি। আর বলা হয়েছিল (দুই মহিলাকে): ” ‘নার’-এ (মানুষের তৈরি, অস্পষ্ট আলোকসজ্জায়) অন্য যারা প্রবেশ করে তাদের সাথে প্রবেশ কর।”
মুহিউদ্দীন খানঃ আল্লাহ তা’আলা কাফেরদের জন্যে নূহ-পত্নী ও লূত-পত্নীর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন। তারা ছিল আমার দুই ধর্মপরায়ণ বান্দার গৃহে। অতঃপর তারা তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করল। ফলে নূহ ও লূত তাদেরকে আল্লাহ তা’আলার কবল থেকে রক্ষা করতে পারল না এবং তাদেরকে বলা হলঃ জাহান্নামীদের সাথে জাহান্নামে চলে যাও।
وَضَرَبَ ٱللَّهُ مَثَلًۭا لِّلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱمْرَأَتَ فِرْعَوْنَ إِذْ قَالَتْ رَبِّ ٱبْنِ لِى عِندَكَ بَيْتًۭا فِى ٱلْجَنَّةِ وَنَجِّنِى مِن فِرْعَوْنَ وَعَمَلِهِۦ وَنَجِّنِى مِنَ ٱلْقَوْمِ ٱلظَّـٰلِمِينَ
Allahh has singled out, for those who believed, the counterexample of Firɛaoun’s subordinate woman, when she supplicated: ‘My lord! Construct for me in your dominion a ‘Bayt’ in ‘Jannah’, and protect me from Firɛaoun and his works, and protect me from the people who betray the trust.’
বিস্ময়কর কোরআনঃ আল্লাহ বিশ্বাসীদের জন্য ফেরআউনের অধীনস্থ মহিলার পাল্টা উদাহরণ তুলে ধরেছেন, যখন সে দোয়া করেছিল: ‘আমার প্রভু! আপনার রাজত্বে আমার জন্য ‘জান্নাতে’ একটি ‘বায়ত’ নির্মাণ করুন এবং আমাকে ফেরআউন ও তার কাজ থেকে রক্ষা করুন এবং আমানতের খেয়ানতকারী লোকদের থেকে আমাকে রক্ষা করুন।`
মুহিউদ্দীন খানঃ আল্লাহ তা’আলা মুমিনদের জন্যে ফেরাউন-পত্নীর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন। সে বললঃ হে আমার পালনকর্তা! আপনার সন্নিকটে জান্নাতে আমার জন্যে একটি গৃহ নির্মাণ করুন, আমাকে ফেরাউন ও তার দুস্কর্ম থেকে উদ্ধার করুন এবং আমাকে যালেম সম্প্রদায় থেকে মুক্তি দিন।
وَمَرْيَمَ ٱبْنَتَ عِمْرَٰنَ ٱلَّتِىٓ أَحْصَنَتْ فَرْجَهَا فَنَفَخْنَا فِيهِ مِن رُّوحِنَا وَصَدَّقَتْ بِكَلِمَـٰتِ رَبِّهَا وَكُتُبِهِۦ وَكَانَتْ مِنَ ٱلْقَـٰنِتِينَ
And (Allahh has singled out, for those who believed, the counterexample of) Maryam, daughter from Ɛimrān, who guarded her cavity, and we breathed into it of our divine message, and she believed in ‘the Kalimāt’ (Divinely chosen words, or supplications dignified) of her lord and (she believed in the ‘Kalimāt’) of his books, and she was among those who practiced spiritual silence.
বিস্ময়কর কোরআনঃ এবং (আল্লাহ নির্দিষ্ট করেছেন, যারা ঈমান এনেছে তাদের জন্য, মরিয়মের বিপরীত উদাহরণ) ইমরানের কন্যা, যে তার গহ্বর রক্ষা করেছিল, এবং আমরা এতে আমাদের পবিত্র বাণী ফুঁক দিয়েছিলাম এবং সে বিশ্বাস করেছিল তার প্রভুর ‘কালিমাত’ এ (পবিত্রভাবে নির্বাচিত শব্দ, বা প্রার্থনা যা মর্যাদাপূর্ণ) এবং (সে বিশ্বাস করেছিল) তাঁর কিতাবগুলোর (‘কালিমাত’ এ), এবং সে আধ্যাত্মিক নীরবতার অনুশীলনকারীদের মধ্যে ছিল।
মুহিউদ্দীন খানঃ আর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন এমরান-তনয়া মরিয়মের, যে তার সতীত্ব বজায় রেখেছিল। অতঃপর আমি তার মধ্যে আমার পক্ষ থেকে জীবন ফুঁকে দিয়েছিলাম এবং সে তার পালনকর্তার বানী ও কিতাবকে সত্যে পরিণত করেছিল। সে ছিল বিনয় প্রকাশকারীনীদের একজন।