বিস্ময়কর কোরআন

৭ আল-আরাফ ( الأعراف )/2

36

وَالَّذِيْنَ كَذَّبُوْا بِاٰيٰتِنَا وَاسْتَكْبَرُوْا عَنْهَآ اُولٰۤىِٕكَ اَصْحٰبُ النَّارِۚ هُمْ فِيْهَا خٰلِدُوْنَ

But the ones who belie our signs and are conceited in neglecting them – those are the companions of the ‘fire’ (i.e., the man-made, dimly lit illumination): They are upon it as they daze.

বিস্ময়কর কোরআনঃ কিন্তু যারা আমাদের নিদর্শনগুলোকে মিথ্যারোপ করে এবং সেগুলো অবহেলা করে অহংকার প্রদর্শন করে — তারা হল ‘আগুনের’ (অর্থাৎ, মানুষের তৈরি, মৃদু আলোতে আলোকিত) সঙ্গী। তারা তাতে থাকে গভীর ঘুমের আগে আংশিক অচেতনের সময়কালে।

মুহিউদ্দীন খানঃ যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলবে এবং তা থেকে অহংকার করবে, তারাই দোযখী এবং তথায় চিরকাল থাকবে।

37

فَمَن أَظلَمُ مِمَّنِ افتَرىٰ عَلَى اللَّهِ كَذِبًا أَو كَذَّبَ بِآياتِهِ ۚ أُولٰئِكَ يَنالُهُم نَصيبُهُم مِنَ الكِتابِ ۖ حَتّىٰ إِذا جاءَتهُم رُسُلُنا يَتَوَفَّونَهُم قالوا أَينَ ما كُنتُم تَدعونَ مِن دونِ اللَّهِ ۖ قالوا ضَلّوا عَنّا وَشَهِدوا عَلىٰ أَنفُسِهِم أَنَّهُم كانوا كافِرينَ

Who, then, is more of a transgressor than someone who concocts lies about Allahh, or who belies his signs. Those people will be subjected to their due share of the (warnings and punishments mentioned in the) scripture, until when our emissaries come (feminine) for them, to remunerate (masculine) them, they say: “Where are the ones you used to invite as intermediaries between you and Allahh?” They reply: “They have gone astray from us!” And they testified against themselves that they were rejecters.

বিস্ময়কর কোরআনঃ তাহলে, আল্লাহ্‌র সম্পর্কে মিথ্যা উদ্ভাবনকারী বা তাঁর আয়াতসমূহে মিথ্যারোপকারীর চেয়ে বড় সীমালঙ্ঘনকারী আর কে? তারা (কিতাবে উল্লেখিত সতর্কতা এবং শাস্তির) তাদের প্রাপ্য অংশ ভোগ করবে, যতক্ষণ না আমাদের দূতগণ তাদের কাছে আসে তাদের প্রতিদান দিতে, তারা বলে: “তোমরা আল্লাহ্‌ ও তোমাদের মধ্যে যাদেরকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ডাকতে, তারা কোথায়?” তারা উত্তর দেয়: “তারা আমাদের থেকে পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে!” এবং তারা নিজেদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে যে তারা প্রত্যাখ্যানকারী ছিল।

মুহিউদ্দীন খানঃ অতঃপর ঐ ব্যক্তির চাইতে অধিক জালেম কে, যে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে অথবা তার নির্দেশাবলীকে মিথ্যা বলে? তারা তাদের গ্রন্থে লিখিত অংশ পেয়ে যাবে। এমন কি, যখন তাদের কাছে আমার প্রেরিত ফেরশতারা প্রাণ নেওয়ার জন্যে পৌছে, তখন তারা বলে; তারা কোথায় গেল, যাদের কে তোমরা আল্লাহ ব্যতীত আহবান করতে? তারা উত্তর দেবেঃ আমাদের কাছ থেকে উধাও হয়ে গেছে, তারা নিজেদের সম্পর্কে স্বীকার করবে যে, তারা অবশ্যই কাফের ছিল।

38

قالَ ادخُلوا في أُمَمٍ قَد خَلَت مِن قَبلِكُم مِنَ الجِنِّ وَالإِنسِ فِي النّارِ ۖ كُلَّما دَخَلَت أُمَّةٌ لَعَنَت أُختَها ۖ حَتّىٰ إِذَا ادّارَكوا فيها جَميعًا قالَت أُخراهُم لِأولاهُم رَبَّنا هٰؤُلاءِ أَضَلّونا فَآتِهِم عَذابًا ضِعفًا مِنَ النّارِ ۖ قالَ لِكُلٍّ ضِعفٌ وَلٰكِن لا تَعلَمونَ

He (Allahh) said: “Enter you all, in the (same) way of many ‘Jinn’ and ‘Inss’ communities before you, in the ‘fire’ (i.e., the man-made, dimly lit illumination): Every time a community enters (another community) it curses its sister, until, at last, when they all successively are made aware of each other in it (i.e., in the curse), the last (cursed community) of them says about the first of them: “Our Lord! These are the ones who misled us, and thus, suffer them a punishment that is a multiple (exposure) to the ‘fire’!” He (Allahh) replies: “To each is a multiple, but you (the last cursed community) just do not have evidence-based knowledge!

বিস্ময়কর কোরআনঃ তিনি (আল্লাহ) বললেন: “তোমরা সবাই প্রবেশ করো, যেমন পূর্ববর্তী অনেক ‘জিন’ ও ‘ইনস’ সম্প্রদায় প্রবেশ করেছিল ‘আগুন’ এ (অর্থাৎ, মানুষের তৈরি, অন্ধকারে ম্লান আলোতে): প্রতি বার একটি সম্প্রদায় প্রবেশ করে (অন্য একটি সম্প্রদায়ে) অভিশাপ দেয় সাথেরটিকে, যতক্ষণ না, অবশেষে, তাদের একে অপরকে এতে (অর্থাৎ, অভিশাপে) পর্যায়ক্রমে পরস্পর সম্পর্কে সজাগ করা হয়, তখন তাদের শেষ (অভিশপ্ত সম্প্রদায়) প্রথম সম্পর্কে বলে: ‘আমাদের প্রভু! এরা আমাদের বিভ্রান্ত করেছে, অতএব, তাদের উপর এমন শাস্তি প্রদান করুন যা ‘আগুনে’ একাধিক (সংস্পর্শ)!’ তিনি (আল্লাহ) বলেন: ‘তোমাদের মধ্যে প্রত্যেকের জন্য একাধিক, কিন্তু তোমরা (শেষ অভিশপ্ত সম্প্রদায়) শুধু প্রমাণ ভিত্তিক জ্ঞান রাখো না!

মুহিউদ্দীন খানঃ আল্লাহ বলবেনঃ তোমাদের পূর্বে জিন ও মানবের যেসব সম্প্রদায় চলে গেছে, তাদের সাথে তোমরাও দোযখে যাও। যখন এক সম্প্রদায় প্রবেশ করবে; তখন অন্য সম্প্রদায়কে অভিসম্পাত করবে। এমনকি, যখন তাতে সবাই পতিত হবে, তখন পরবর্তীরা পূর্ববর্তীদের সম্পর্কে বলবেঃ হে আমাদের প্রতিপালক এরাই আমাদেরকে বিপথগামী করেছিল। অতএব, আপনি তাদেরকে দ্বিগুণ শাস্তি দিন। আল্লাহ বলবেন প্রত্যেকেরই দ্বিগুণ; তোমরা জান না।

39

وَقالَت أولاهُم لِأُخراهُم فَما كانَ لَكُم عَلَينا مِن فَضلٍ فَذوقُوا العَذابَ بِما كُنتُم تَكسِبونَ

And the first ones (i.e., the messengers) says to their last: “Thus, you have no benediction that we owed you! And thus, taste the punishment (of separation) in accordance with what you used to earn!”

বিস্ময়কর কোরআনঃ আর প্রথমরা (অর্থাৎ, রাসূলগণ) তাদের শেষদের বলে: “এইভাবে, তোমাদের কাছে কোনো আশীর্বাদ নেই যাতে আমরা তোমাদের বাধিত করেছি! সুতরাং, তোমরা যা অর্জন করতে অভ্যস্ত ছিলে সে অনুযায়ী শাস্তি (বিচ্ছিন্নতার) স্বাদ গ্রহণ করো!”

মুহিউদ্দীন খানঃ পূর্ববর্তীরা পরবর্তীদেরকে বলবেঃ তাহলে আমাদের উপর তোমাদের কোন শ্রেষ্ঠত্ব নেই অতএব, শাস্তি আস্বাদন কর স্বীয় কর্মের কারণে।

40

إِنَّ الَّذينَ كَذَّبوا بِآياتِنا وَاستَكبَروا عَنها لا تُفَتَّحُ لَهُم أَبوابُ السَّماءِ وَلا يَدخُلونَ الجَنَّةَ حَتّىٰ يَلِجَ الجَمَلُ في سَمِّ الخِياطِ ۚ وَكَذٰلِكَ نَجزِي المُجرِمينَ

Those who have belied our signs and have ignored them in conceit: The gateways of abstract understanding shall not be open to them, and they do not enter into ‘Jannah’ until the camel slips through the eye of the needle (or, alternatively, so that the overall understanding would be immersed through the poisonous contributions of the Qareens)2. And this (in the next few Ayat) is how we recompense the butchers of interpretation (those who corrupted the interpretation of scripture):3

বিস্ময়কর কোরআনঃ যারা আমাদের নিদর্শনগুলোতে মিথ্যারোপ করেছে এবং অহংকারে তা উপেক্ষা করেছে: তাদের জন্য বিমূর্ত বোঝাপড়ার প্রবেশদ্বার খোলা হবে না, এবং তারা ‘জান্নাতে’ প্রবেশ করবে না যতক্ষণ না উট সুঁইয়ের চোখ দিয়ে পিছলে যেতে পারে (অথবা, এর মানে হচ্ছে তাদের সঠিক বোঝাপড়া ক্বারীনের বিষাক্ত অবদান দ্বারা নিমজ্জিত হয়ে যাবে)। এবং এই (পরবর্তী কয়টি আয়াতে) এভাবেই আমরা ব্যাখ্যার কসাইদের প্রতিফল দেই (যারা কিতাবের ব্যাখ্যা বিকৃত করেছে)।

মুহিউদ্দীন খানঃ নিশ্চয়ই যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলেছে এবং এগুলো থেকে অহংকার করেছে, তাদের জন্যে আকাশের দ্বার উম্মুক্ত করা হবে না এবং তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। যে পর্যন্ত না সূচের ছিদ্র দিয়ে উট প্রবেশ করে। আমি এমনিভাবে পাপীদেরকে শাস্তি প্রদান করি।

41

لَهُم مِن جَهَنَّمَ مِهادٌ وَمِن فَوقِهِم غَواشٍ ۚ وَكَذٰلِكَ نَجزِي الظّالِمينَ

To them, are layers of ‘Jahannam’ upon which they rest, and above them are shrouds (of confusion). And this (in the next few Ayat) is how we recompense the transgressors.4

বিস্ময়কর কোরআনঃ তাদের জন্য রয়েছে ‘জাহান্নামের’ স্তর, যার উপর তারা বিশ্রাম নেয়, এবং তার উপরে রয়েছে (বিভ্রান্তির) চাদর। এবং এভাবেই আমরা সীমালঙ্ঘনকারীদের প্রতিফল দিই।

মুহিউদ্দীন খানঃ তাদের জন্যে নরকাগ্নির শয্যা রয়েছে এবং উপর থেকে চাদর। আমি এমনিভাবে জালেমদেরকে শাস্তি প্রদান করি।

42

وَالَّذينَ آمَنوا وَعَمِلُوا الصّالِحاتِ لا نُكَلِّفُ نَفسًا إِلّا وُسعَها أُولٰئِكَ أَصحابُ الجَنَّةِ ۖ هُم فيها خالِدونَ

But those who believed and toiled on the scripture (in accordance with the divine lexicon): We do not charge a person except (in accordance with) its capacity! Those are the companions of ‘Jannah’! Within it they daze!

বিস্ময়কর কোরআনঃ কিন্তু যারা বিশ্বাস এনেছে এবং কিতাবের উপর মেহনত করেছে (পবিত্র অভিধান অনুসারে): আমরা কোনো ব্যক্তিকে তার ক্ষমতার বাইরে কিছু চাপাই না! তারা হল ‘জান্নাতের’ সঙ্গী! এর মধ্যে তারা গভীর ঘুমের আগে আংশিক অচেতনের সময়কালে!

মুহিউদ্দীন খানঃ যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং সৎকর্ম করেছে আমি কাউকে তার সামর্থ্যের চাইতে বেশী বোঝা দেই না। তারাই জান্নাতের অধিবাসী। তারা তাতেই চিরকাল থাকবে।

43

وَنَزَعنا ما في صُدورِهِم مِن غِلٍّ تَجري مِن تَحتِهِمُ الأَنهارُ ۖ وَقالُوا الحَمدُ لِلَّهِ الَّذي هَدانا لِهٰذا وَما كُنّا لِنَهتَدِيَ لَولا أَن هَدانَا اللَّهُ ۖ لَقَد جاءَت رُسُلُ رَبِّنا بِالحَقِّ ۖ وَنودوا أَن تِلكُمُ الجَنَّةُ أورِثتُموها بِما كُنتُم تَعمَلونَ

And we dislodge whatever (cognitive) shackles in their breasts (i.e., their prior convictions and expressions,) (and we made) rivers (of divine guidance) flow beneath them, and they say: “Praise be to Allahh who guided us to this, and we were never to be guided were it not for Allahh guiding us! Indeed, the messengers from our lord have brought the truth (from him)!” And they are addressed with the declaration “Here is the ‘Jannah’ that is yours, you were made to inherit it due to what you have taken to toil (on the scripture).”

বিস্ময়কর কোরআনঃ এবং আমরা তাদের বুকে যে সমস্ত (জ্ঞানগত) শিকল ছিল (অর্থাত, তাদের পূর্ববর্তী ধারণা ও অভিব্যক্তি), তা আমরা মুক্ত করে দেই, (এবং আমরা তৈরী করেছি) তাদের নিচে প্রবাহিত নদীসমূহ (পবিত্র নির্দেশনার), এবং তারা বলে: “প্রশংসা আল্লাহরই, যিনি আমাদেরকে এই পথে পরিচালিত করেছেন, এবং আমরা কখনই সঠিক পথ পেতাম না, যদি না আল্লাহ আমাদেরকে পথ দেখাতেন! নিঃসন্দেহে, আমাদের প্রভুর পক্ষ থেকে রাসূলরা সত্যই আমাদের কাছে সত্য নিয়ে এসেছে (তাঁর কাছ থেকে)!” এবং তাদেরকে বলা হয়: “এখানে তোমাদের ‘জান্নাত’, এটি তোমাদের জন্য নির্ধারিত হয়েছে, তোমরা যা মেহনত করেছ (কিতাবে) তার জন্য তোমরা এটির উত্তরাধিকারী হয়েছ।”

মুহিউদ্দীন খানঃ তাদের অন্তরে যা কিছু দুঃখ ছিল, আমি তা বের করে দেব। তাদের তলদেশ দিয়ে নির্ঝরণী প্রবাহিত হবে। তারা বলবেঃ আল্লাহ শোকর, যিনি আমাদেরকে এ পর্যন্ত পৌছিয়েছেন। আমরা কখনও পথ পেতাম না, যদি আল্লাহ আমাদেরকে পথ প্রদর্শন না করতেন। আমাদের প্রতিপালকের রসূল আমাদের কাছে সত্যকথা নিয়ে এসেছিলেন। আওয়াজ আসবেঃ এটি জান্নাত। তোমরা এর উত্তরাধিকারী হলে তোমাদের কর্মের প্রতিদানে।

44

وَنَادٰٓى اَصْحٰبُ الْجَنَّةِ اَصْحٰبَ النَّارِ اَنْ قَدْ وَجَدْنَا مَا وَعَدَنَا رَبُّنَا حَقًّا فَهَلْ وَجَدْتُّمْ مَّا وَعَدَ رَبُّكُمْ حَقًّا ۗقَالُوْا نَعَمْۚ فَاَذَّنَ مُؤَذِّنٌۢ بَيْنَهُمْ اَنْ لَّعْنَةُ اللّٰهِ عَلَى الظّٰلِمِيْنَ

And the companions of ‘Jannah’ call out to the companions of the ‘fire’: “We have found true what our lord promised us! But did you find what your lord promised you to be true?” They said: “Yes!” And then, an announcer among them announced: “The curse of Allah is upon the transgressors.”

বিস্ময়কর কোরআনঃ আর ‘জান্নাত’-এর সঙ্গীরা ‘আগুন’-এর সঙ্গীদের উদ্দেশ্যে ডাক দিয়ে বলে: “আমরা আমাদের প্রভুর প্রতিশ্রুতি সত্য বলে পেয়েছি! কিন্তু তোমরা কি তোমাদের প্রভুর প্রতিশ্রুতি সত্য বলে পেয়েছো?” তারা বলে: “হ্যাঁ!” এরপর, তাদের মধ্য থেকে একজন ঘোষক ঘোষণা করে: “সীমালঙ্ঘনকারীদের উপর আল্লাহর অভিশাপ!”

মুহিউদ্দীন খানঃ জান্নাতীরা দোযখীদেরকে ডেকে বলবেঃ আমাদের সাথে আমাদের প্রতিপালক যে ওয়াদা করেছিলেন, তা আমরা সত্য পেয়েছি? অতএব, তোমরাও কি তোমাদের প্রতিপালকের ওয়াদা সত্য পেয়েছ? তারা বলবেঃ হ্যাঁ। অতঃপর একজন ঘোষক উভয়ের মাঝখানে ঘোষণা করবেঃ আল্লাহর অভিসম্পাত জালেমদের উপর।

45

اَلَّذِيْنَ يَصُدُّوْنَ عَنْ سَبِيْلِ اللّٰهِ وَيَبْغُوْنَهَا عِوَجًاۚ وَهُمْ بِالْاٰخِرَةِ كٰفِرُوْنَۘ 

Who erect barriers (for people, to block them) away from the (direct) way of Allahh, and who seek to make it indirect while they, concerning the delayed, diligent understanding, persist in being rejecters.

বিস্ময়কর কোরআনঃ যারা আল্লাহর (সরাসরি) পথে বাধা সৃষ্টি করে, এবং যারা তা (আল্লাহর পথকে) বাঁকাপথে পরিণত করার চেষ্টা করে, অথচ তারা বিলম্বিত, পরিশ্রমী উপলব্ধি সম্পর্কে প্রত্যাখ্যানকারী অবস্থায় অটল থাকে।

মুহিউদ্দীন খানঃ যারা আল্লাহর পথে বাধা দিত এবং তাতে বক্রতা অন্বেষণ করত। তারা পরকালের বিষয়েও অবিশ্বাসী ছিল।

46

وَبَيْنَهُمَا حِجَابٌۚ وَعَلَى الْاَعْرَافِ رِجَالٌ يَّعْرِفُوْنَ كُلًّا ۢ بِسِيْمٰىهُمْۚ وَنَادَوْا اَصْحٰبَ الْجَنَّةِ اَنْ سَلٰمٌ عَلَيْكُمْۗ لَمْ يَدْخُلُوْهَا وَهُمْ يَطْمَعُوْنَ

And among the two of them (i.e., their lords) is a shields. And avid about (seeking and applying) the crests (i.e., the identifying marks in the ‘ardh’, i.e., the symbolism and metaphors that are uniquely identifiable in the scripture) are (certain) individuals who recognize both (lords) by their distinguishing speech patterns. And they call out to the companions of ‘Jannah’ saying “Salamun Ɛalaykum.” They did not enter it (the ‘Jannah’) yet, but they are seeking it with hopeful anticipation!

বিস্ময়কর কোরআনঃ আর তাদের দু’পক্ষের (অর্থাৎ তাদের প্রভুদের) মধ্যে একটি ঢাল রয়েছে। আর কুলচিহ্নগুলো (অর্থাৎ ‘আর্থ’-এর মধ্যে স্বতন্ত্রভাবে চেনার উপযোগী রূপক ও প্রতীকসমূহ খোঁজা এবং প্রয়োগে) আগ্রহী কিছু ব্যক্তি আছে, যারা উভয় (প্রভুকে) তাদের স্বতন্ত্র কথার ধরন দ্বারা চিনে। তারা ‘জান্নাত’-এর সঙ্গীদের উদ্দেশ্যে ডেকে বলে: “সালামুন আলাইকুম।” তারা এখনো এতে (জান্নাতে) প্রবেশ করেনি, তবে তারা আশা ও প্রত্যাশা নিয়ে তা খুঁজে বেড়াচ্ছে!

মুহিউদ্দীন খানঃ উভয়ের মাঝখানে একটি প্রাচীর থাকবে এবং আরাফের উপরে অনেক লোক থাকবে। তারা প্রত্যেককে তার চিহ্ন দ্বারা চিনে নেবে। তারা জান্নাতীদেরকে ডেকে বলবেঃ তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। তারা তখনও জান্নাতে প্রবেশ করবে না, কিন্তু প্রবেশ করার ব্যাপারে আগ্রহী হবে।

47

وَاِذَا صُرِفَتْ اَبْصَارُهُمْ تِلْقَاۤءَ اَصْحٰبِ النَّارِۙ قَالُوْا رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا مَعَ الْقَوْمِ الظّٰلِمِيْنَ

And when they are made (to relapse) to perceive things (erroneously) like the companions of the ‘fire’, they (catch themselves and) say: “Our lord! Remand us not among the community of transgressors!”

বিস্ময়কর কোরআনঃ আর যখন তাদেরকে (ভুলভাবে) জিনিসগুলো অনুভব করতে বাধ্য করা হয় (পিছলে যেতে), যেন তারা ‘আগুনের সঙ্গীদের’ মতো, তখন তারা (নিজেদের সংযত করে) বলে: “আমাদের প্রভু! আমাদেরকে অপরাধীদের সম্প্রদায়ের মধ্যে স্থান দিও না!”

মুহিউদ্দীন খানঃ যখন তাদের দৃষ্টি দোযখীদের উপর পড়বে, তখন বলবেঃ হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদেরকে এ জালেমদের সাথী করো না।

48

وَنَادٰٓى اَصْحٰبُ الْاَعْرَافِ رِجَالًا يَّعْرِفُوْنَهُمْ بِسِيْمٰىهُمْ قَالُوْا مَآ اَغْنٰى عَنْكُمْ جَمْعُكُمْ وَمَا كُنْتُمْ تَسْتَكْبِرُوْنَ

And the companions of the crests call out to certain individuals whom they recognize due to their distinguishing speech patterns, saying: “Of no benefit to you is your multitude and what you conceitedly proclaimed!”

বিস্ময়কর কোরআনঃ আর কুলচিহ্নের সঙ্গীরা কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের ডেকে বলে, যাদেরকে তারা তাদের স্বতন্ত্র কথনশৈলীর মাধ্যমে চিনতে পারে: “তোমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা কিংবা যা তোমরা অহংকার করে দাবি করেছিলে, তা তোমাদের কোনো কাজে আসেনা!”

মুহিউদ্দীন খানঃ আরাফবাসীরা যাদেরকে তাদের চিহ্ন দ্বারা চিনবে, তাদেরকে ডেকে বলবে তোমাদের দলবল ও ঔদ্ধত্য তোমাদের কোন কাজে আসেনি।

49

اَهٰٓؤُلَاۤءِ الَّذِيْنَ اَقْسَمْتُمْ لَا يَنَالُهُمُ اللّٰهُ بِرَحْمَةٍۗ اُدْخُلُوا الْجَنَّةَ لَا خَوْفٌ عَلَيْكُمْ وَلَآ اَنْتُمْ تَحْزَنُوْنَ

(Addressing the companions of the ‘fire,’ Allahh declares:) “Are these (i.e., the companions of the crest) the ones you have sworn that Allahh would never receive them with mercy?” (Addressing the companions of the crests, Allahh declares:) “Enter ‘Jannah’! Upon you there is no fear nor are you to be sad!”

বিস্ময়কর কোরআনঃ (আগুনের সঙ্গীদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ ঘোষণা করেন:) “তোমরা কি এদের (অর্থাৎ, কুলচিহ্নের সঙ্গীদের) সম্পর্কে শপথ করেছিলে যে আল্লাহ তাদের কখনো রহমতের সাথে গ্রহণ করবেন না?” (কুলচিহ্নের সঙ্গীদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ ঘোষণা করেন:) “জান্নাতে প্রবেশ কর! তোমাদের ওপর কোনো ভয় নেই এবং তোমরা দুঃখিত হবে না!”

মুহিউদ্দীন খানঃ এরা কি তারাই; যাদের সম্পর্কে তোমরা কসম খেয়ে বলতে যে, আল্লাহ এদের প্রতি অনুগ্রহ করবেন না। প্রবেশ কর জান্নাতে। তোমাদের কোন আশঙ্কা নেই এবং তোমরা দুঃখিত হবে না।

50

وَنَادٰٓى اَصْحٰبُ النَّارِ اَصْحٰبَ الْجَنَّةِ اَنْ اَفِيْضُوْا عَلَيْنَا مِنَ الْمَاۤءِ اَوْ مِمَّا رَزَقَكُمُ اللّٰهُ ۗقَالُوْٓا اِنَّ اللّٰهَ حَرَّمَهُمَا عَلَى الْكٰفِرِيْنَۙ

And the companions of the ‘fire’ call out to the companions of ‘Jannah’: “Pour on us some of the (divine) water, or of that with which Allahh has sustained you!’ They say: “Allahh has made them forbidden to the rejecters.

বিস্ময়কর কোরআনঃ আর আগুনের সঙ্গীরা জান্নাতের সঙ্গীদের ডেকে বলে: “আমাদের উপর কিছু (আসমানী) পানি ঢেলে দাও, অথবা যা দিয়ে আল্লাহ তোমাদের রিজিক দিয়েছেন তা থেকে কিছু দাও!” তারা বলে: “আল্লাহ এগুলোকে প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য নিষিদ্ধ করেছেন।”

মুহিউদ্দীন খানঃ দোযখীরা জান্নাতীদেরকে ডেকে বলবেঃ আমাদের উপর সামান্য পানি নিক্ষেপ কর অথবা আল্লাহ তোমাদেরকে যে রুযী দিয়েছেন, তা থেকেই কিছু দাও। তারা বলবেঃ আল্লাহ এই উভয় বস্তু কাফেরদের জন্যে নিষিদ্ধ করেছেন,

51

الَّذِيْنَ اتَّخَذُوْا دِيْنَهُمْ لَهْوًا وَّلَعِبًا وَّغَرَّتْهُمُ الْحَيٰوةُ الدُّنْيَاۚ فَالْيَوْمَ نَنْسٰىهُمْ كَمَا نَسُوْا لِقَاۤءَ يَوْمِهِمْ هٰذَاۙ وَمَا كَانُوْا بِاٰيٰتِنَا يَجْحَدُوْنَ

“Who have adopted distractions and amusement as their established order and whom the lower life deluded.” So today, we forget them just as they forgot the meeting of their time period, this one (here), and for having rejected our signs.

বিস্ময়কর কোরআনঃ “যারা তাদের প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্থা হিসেবে অমনোযোগ ও বিনোদন গ্রহণ করেছে এবং যাদের নিম্নতর জীবন বিভ্রান্ত করেছে।” সুতরাং, আজ আমরা তাদের ভুলে যাব, যেভাবে তারা তাদের এই সময়কালের সাক্ষাৎকে ভুলে গিয়েছিল, এবং আমাদের নিদর্শনগুলো প্রত্যাখ্যান করেছিল।

মুহিউদ্দীন খানঃ তারা স্বীয় ধর্মকে তামাশা ও খেলা বানিয়ে নিয়েছিল এবং পার্থিব জীবন তাদের কে ধোকায় ফেলে রেখেছিল। অতএব, আমি আজকে তাদেরকে ভুলে যাব; যেমন তারা এ দিনের সাক্ষাৎকে ভুলে গিয়েছিল এবং যেমন তারা আয়াতসমূহকে অবিশ্বাস করত।

52

وَلَقَدْ جِئْنٰهُمْ بِكِتٰبٍ فَصَّلْنٰهُ عَلٰى عِلْمٍ هُدًى وَّرَحْمَةً لِّقَوْمٍ يُّؤْمِنُوْنَ

And we have brought them a scripture that we have divaricated with evidence-based knowledge, a guidance and a mercy to people who believe.

বিস্ময়কর কোরআনঃ আর আমরা তাদের কাছে একটি কিতাব নিয়ে এসেছি, যা আমরা প্রমাণনির্ভর জ্ঞানের মাধ্যমে বিস্তৃত কৌণিক শাখাবিন্যাস করেছি — এটি হলো এক পথনির্দেশনা ও রহমত সেই জনগণের জন্য যারা বিশ্বাস স্থাপন করে।

মুহিউদ্দীন খানঃ আমি তাদের কাছে গ্রন্থ পৌছিয়েছি, যা আমি স্বীয় জ্ঞানে বিস্তারিত বর্ণনা করেছি, যা পথপ্রদর্শক এবং মুমিনদের জন্যে রহমত।

53

هَلْ يَنْظُرُوْنَ اِلَّا تَأْوِيْلَهٗۗ يَوْمَ يَأْتِيْ تَأْوِيْلُهٗ يَقُوْلُ الَّذِيْنَ نَسُوْهُ مِنْ قَبْلُ قَدْ جَاۤءَتْ رُسُلُ رَبِّنَا بِالْحَقِّۚ فَهَلْ لَّنَا مِنْ شُفَعَاۤءَ فَيَشْفَعُوْا لَنَآ اَوْ نُرَدُّ فَنَعْمَلَ غَيْرَ الَّذِيْ كُنَّا نَعْمَلُۗ قَدْ خَسِرُوْٓا اَنْفُسَهُمْ وَضَلَّ عَنْهُمْ مَّا كَانُوْا يَفْتَرُوْنَ

Do they await except its interpretation? At the time when its interpretation comes, those who had forgotten it before will say, “Indeed, the messengers of our lord came with the truth, so are there any intercessors to intercede for us, or could we be sent back to toil in ways other than we used to toil (on the scripture)?” They have lost themselves, and lost from them is what they used to concoct.

বিস্ময়কর কোরআনঃ তারা কি এর ব্যাখ্যা ছাড়া আর কিছুর প্রত্যাশা করে? যখন এর ব্যাখ্যা এসে পৌঁছাবে, তখন তারা যারা আগে তা ভুলে গিয়েছিল, বলবে: “নিশ্চয়ই, আমাদের প্রভুর রাসূলেরা সত্য নিয়ে এসেছিল, তাহলে কি আমাদের জন্য কোনো সুপারিশকারী আছে যারা আমাদের পক্ষে সুপারিশ করবে? অথবা, আমরা কি ফিরে যেতে পারি যেন আমরা এমনভাবে মেহনত করি যা আমরা আগে করতাম না (কিতাবের উপর)?” তারা নিজেদের হারিয়েছে, এবং তাদের থেকে হারিয়ে গেছে যা তারা মিথ্যা রচনা করত।

মুহিউদ্দীন খানঃ তারা কি এখন এ অপেক্ষায়ই আছে যে, এর বিষয়বস্তু প্রকাশিত হোক? যেদিন এর বিষয়বস্তু প্রকাশিত হবে, সেদিন পূর্বে যারা একে ভূলে গিয়েছিল, তারা বলবেঃ বাস্তবিকই আমাদের প্রতিপালকের পয়গম্বরগণ সত্যসহ আগমন করেছিলেন। অতএব, আমাদের জন্যে কোন সুপারিশকারী আছে কি যে, সুপারিশ করবে অথবা আমাদেরকে পুনঃ প্রেরণ করা হলে আমরা পূর্বে যা করতাম তার বিপরীত কাজ করে আসতাম। নিশ্চয় তারা নিজেদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তারা মনগড়া যা বলত, তা উধাও হয়ে যাবে।

55

اُدْعُوْا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَّخُفْيَةً ۗاِنَّهٗ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِيْنَۚ

Supplicate to your lord (or invite him) in humility and privately. Indeed, he does not like aggressors.

বিস্ময়কর কোরআনঃ তোমাদের প্রভুর কাছে বিনীতভাবে এবং গোপনে দোয়া করো (বা তাকে আমন্ত্রণ জানাও)। নিশ্চয়ই, তিনি সীমালঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না।

মুহিউদ্দীন খানঃ তোমরা স্বীয় প্রতিপালককে ডাক, কাকুতি-মিনতি করে এবং সংগোপনে। তিনি সীমা অতিক্রমকারীদেরকে পছন্দ করেন না।

Abrahamic Locution Duaa for 31 March 2023

56

وَلَا تُفْسِدُوْا فِى الْاَرْضِ بَعْدَ اِصْلَاحِهَا وَادْعُوْهُ خَوْفًا وَّطَمَعًاۗ اِنَّ رَحْمَتَ اللّٰهِ قَرِيْبٌ مِّنَ الْمُحْسِنِيْنَ

And do not corrupt in the scripture after it has been made correct, and supplicate to him (or invite him), in fear and in yearning. Indeed, Allahh’s ‘mercy’ is near to the seekers of insight.

বিস্ময়কর কোরআনঃ আর কিতাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করো না, তা সংশোধিত হওয়ার পর। আর ভয় ও প্রত্যাশা নিয়ে তার কাছে দোয়া করো (বা তাকে আমন্ত্রণ জানাও)। নিশ্চয়ই, আল্লাহর ‘রহমত’ অন্তর্দৃষ্টি সন্ধানকারীদের নিকটবর্তী।

মুহিউদ্দীন খানঃ পৃথিবীকে কুসংস্কারমুক্ত ও ঠিক করার পর তাতে অনর্থ সৃষ্টি করো না। তাঁকে আহবান কর ভয় ও আশা সহকারে। নিশ্চয় আল্লাহর করুণা সৎকর্মশীলদের নিকটবর্তী।

Abrahamic Locution Duaa for 31 March 2023

57

وَهُوَ الَّذِيْ يُرْسِلُ الرِّيٰحَ بُشْرًاۢ بَيْنَ يَدَيْ رَحْمَتِهٖۗ حَتّٰٓى اِذَآ اَقَلَّتْ سَحَابًا ثِقَالًا سُقْنٰهُ لِبَلَدٍ مَّيِّتٍ فَاَنْزَلْنَا بِهِ الْمَاۤءَ فَاَخْرَجْنَا بِهٖ مِنْ كُلِّ الثَّمَرٰتِۗ كَذٰلِكَ نُخْرِجُ الْمَوْتٰى لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُوْنَ

And he (Allahh) is the one who sends the triumphs as glad tidings ahead of his ‘mercy’, until when they lift heavy ‘clouds’ (pulling the triumphs into further reinforcement) we drove it about a scriptural portion that seems dead, and then we brought down into it (the scriptural portion) the (divine) water, and then we brought out, using it (divine water), all kinds of fruits: This is how we bring out the dead, perchance you receive ‘Zhikrah’ (spontaneous epiphanies).

বিস্ময়কর কোরআনঃ আর তিনিই (আল্লাহ) যিনি তার ‘রহমত’-এর পূর্বে বিজয়ের সুসংবাদ প্রেরণ করেন, যতক্ষণ না তারা ভারী ‘মেঘমালা’ উত্তোলন করে (বিজয়গুলোকে আরও জোরালো অবস্থায় নিয়ে যায়), আমরা তা একটি মৃতপ্রায় কিতাবি অংশে চালিত করি, এবং তারপর আমরা তাতে (সেই কিতাবি অংশে) নাজিল করি আসমানী ‘পানী’, এবং এরপর আমরা তা ব্যবহার করে সকল প্রকার ফল উৎপন্ন করি: এভাবেই আমরা মৃতদের পুনর্জীবিত করি, হয়তো তোমরা ‘যিকরা’ (আত্মদর্শনের আকস্মিক উপলব্ধি) লাভ করবে।

মুহিউদ্দীন খানঃ তিনিই বৃষ্টির পূর্বে সুসংবাদবাহী বায়ু পাঠিয়ে দেন। এমনকি যখন বায়ুরাশি পানিপূর্ন মেঘমালা বয়ে আনে, তখন আমি এ মেঘমালাকে একটি মৃত শহরের দিকে হঁ্যাকিয়ে দেই। অতঃপর এ মেঘ থেকে বৃষ্টি ধারা বর্ষণ করি। অতঃপর পানি দ্বারা সব রকমের ফল উৎপন্ন করি। এমনি ভাবে মৃতদেরকে বের করব-যাতে তোমরা চিন্তা কর।

Abrahamic Locution Duaa for 13 October 2022

58

وَالْبَلَدُ الطَّيِّبُ يَخْرُجُ نَبَاتُهٗ بِاِذْنِ رَبِّهٖۚ وَالَّذِيْ خَبُثَ لَا يَخْرُجُ اِلَّا نَكِدًاۗ كَذٰلِكَ نُصَرِّفُ الْاٰيٰتِ لِقَوْمٍ يَّشْكُرُوْنَ

And the volitionally engaged scriptural portion brings out its vegetation by the permission of its lord (without challenges), whereas the vile (person) does not come out (of his vile condition) except in hostile miserliness. This is how we target the signs to a community of people who communicate (properly with their lord). 

বিস্ময়কর কোরআনঃ আর ঐচ্ছিকভাবে নিয়োজিত কিতাবি অংশ তার উদ্ভিদ উৎপন্ন করে তার প্রভুর অনুমতিক্রমে (কোনো বাধা ছাড়াই), কিন্তু নিকৃষ্ট (ব্যক্তি) তার নিকৃষ্ট অবস্থা থেকে বের হয় না, তবে প্রতিকূল দুর্দশা ব্যতীত। এভাবেই আমরা নিদর্শনসমূহকে এমন এক সম্প্রদায়ের জন্য লক্ষ্য বস্তু করি যারা (তাদের প্রভুর সাথে সঠিকভাবে) যোগাযোগ করে।

মুহিউদ্দীন খানঃ যে শহর উৎকৃষ্ট, তার ফসল তার প্রতিপালকের নির্দেশে উৎপন্ন হয় এবং যা নিকৃষ্ট তাতে অল্পই ফসল উৎপন্ন হয়। এমনিভাবে আমি আয়াতসমূহ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বর্ণনা করি কৃতজ্ঞ সম্প্রদায়ের জন্যে।

Abrahamic Locution Duaa for 13 October 2022

70

قَالُوْٓا اَجِئْتَنَا لِنَعْبُدَ اللّٰهَ وَحْدَهٗ وَنَذَرَ مَا كَانَ يَعْبُدُ اٰبَاۤؤُنَاۚ فَأْتِنَا بِمَا تَعِدُنَآ اِنْ كُنْتَ مِنَ الصّٰدِقِيْنَ

They said: “Did you come to us so that we worship Allahh alone, and leave what our forefathers used to worship? Then bring us what you promise us if you are among the truthful!”

বিস্ময়কর কোরআনঃ তারা বলল: ‘তুমি কি আমাদের কাছে এলে এই জন্য যে আমরা যেন একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করি, আর আমাদের পূর্বপুরুষরা যা উপাসনা করত তা ছেড়ে দিই? তাহলে তুমি যদি সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হও, আমাদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছো—সেটা নিয়ে এসো!’

মুহিউদ্দীন খানঃ তারা বললঃ তুমি কি আমাদের কাছে এজন্যে এসেছ যে আমরা এক আল্লাহর এবাদত করি এবং আমাদের বাপ-দাদা যাদের পূজা করত, তাদেরকে ছেড়ে দেই? অতএব নিয়ে আস আমাদের কাছে যাদ্দ্বারা আমাদেরকে ভয় দেখাচ্ছ, যদি তুমি সত্যবাদী হও।

নংসূরার নামমোট আয়াতঅনুবাদ করা হয়েছে
1আল- ফাতিহা77
2আল-বাকারা28664
3আল-ইমরান20056
4নিসা17632
5আল-মায়িদাহ12035
6আল-আনাম16535
7আল-আরাফ20662
8আল-আনফাল7511
9আত-তাওবাহ1298
10ইউনুস10925
11হুদ12325
12ইউসুফ111111
13আর-রাদ4310
14ইবরাহীম526
15আল-হিজর9918
16আন-নাহল12838
17বনি ইসরাইল11129
18আল-কাহফ11074
19মারিয়াম9853
20ত্বা হা13539
21আল-আম্বিয়া11239
22আল-হাজ্ব7811
23আল-মুমিনুন11832
24আন-নূর646
25আল-ফুরকান7744
26আশ-শুআরা22735
27আন-নমল9356
28আল-কাসাস8828
29আল-আনকাবুত6914
30আল-রুম6034
31লুকমান3424
32আস-সাজদাহ309
33আল-আহযাব7335
34আস-সাবা547
35আল-ফাতির4510
36ইয়া সিন8383
37আস-সাফফাত18252
38সোয়াদ8839
39আয-যুমার7533
40আল-মুমিন8520
41ফুসসিলাত5420
42আশ-শূরা539
43আয-যুখরুফ8935
44আদ-দুখান5919
45আল-জাসিয়াহ3712
46আল-আহকাফ3517
47মুহাম্মদ3813
48আল-ফাতহ299
49আল-হুজুরাত184
50ক্বাফ4524
51আয-যারিয়াত6017
52আত-তুর493
53আন-নাজম6262
54আল-ক্বমর5519
55আর-রাহমান7878
56আল-ওয়াকিয়াহ9696
57আল-হাদিদ297
58আল-মুজাদিলাহ222
59আল-হাশর243
60আল-মুমতাহানা132
61আস-সাফ146
62আল-জুমুআহ115
63আল-মুনাফিকুন111
64আত-তাগাবুন182
65আত-ত্বালাক121
66আত-তাহরীম126
67আল-মুলক308
68আল-ক্বলম528
69আল-হাক্ক্বাহ5219
70আল-মাআরিজ444
71নূহ286
72আল-জ্বিন2828
73মুযাম্মিল202
74মুদাসসির561
75আল-কিয়ামাহ4023
76আল-ইনসান3131
77আল-মুরসালাত5050
78আন-নাবা4040
79আন-নাযিয়াত463
80আবাসা4242
81আত-তাকবির2929
82আল-ইনফিতার1919
83আত-তাতফিক367
84আল-ইনশিকাক2525
85আল-বুরুজ222
86আত-তারিক1717
87আল-আলা190
88আল-গাশিয়াহ261
89আল-ফজর304
90আল-বালাদ207
91আশ-শামস1515
92আল-লাইল210
93আদ-দুহা111
94আল-ইনশিরাহ88
95আত-তীন81
96আল-আলাক1919
97আল-ক্বাদর55
98আল-বাইয়িনাহ83
99আল-যিলযাল88
100আল-আদিয়াত1111
101আল-কারিয়াহ110
102আত-তাকাছুর88
103আল-আসর30
104আল-হুমাযাহ99
105ফীল55
106আল-কুরাইশ41
107আল-মাউন70
108আল-কাওসার30
109আল-কাফিরুন60
110আন-নাসর30
111লাহাব55
112আল-ইখলাস40
113আল-ফালাক55
114আন-নাস66
  62362307