২ আল-বাকারা ( البقرة )
وَاِذْ اَخَذْنَا مِيْثَاقَكُمْ وَرَفَعْنَا فَوْقَكُمُ الطُّوْرَۗ خُذُوْا مَآ اٰتَيْنٰكُمْ بِقُوَّةٍ وَّاسْمَعُوْا ۗ قَالُوْا سَمِعْنَا وَعَصَيْنَا وَاُشْرِبُوْا فِيْ قُلُوْبِهِمُ الْعِجْلَ بِكُفْرِهِمْ ۗ قُلْ بِئْسَمَا يَأْمُرُكُمْ بِهٖٓ اِيْمَانُكُمْ اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِيْنَ
And when we have accepted your covenant and raised above you the (man with development) stages (i.e., Mūssā): Take what we have allowed you to learn with strength, and listen! They said: “We heard and disobeyed!” And they were drenched in their cores in the rushed interpretation due to their rejection (of guidance). Say: “How wretched is that which your faith commands you, if you were (even) believers.”
বিস্ময়কর কোরআনঃ আর যখন আমরা তোমাদের অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলাম এবং তোমাদের উপর উন্নীত করেছিলাম (মানুষ, বিকাশ এর) পর্যায়গুলোসহ (অর্থাৎ, মূসা): “যা আমরা তোমাদের শিখতে দিয়েছি, তা দৃঢ়তার সাথে গ্রহণ করো এবং শুনো!” তারা বলল: “আমরা শুনেছি এবং অমান্য করেছি!” এবং তারা নিজেদের অন্তরে নিমজ্জিত হয়েছিল দ্রুত ব্যাখ্যার প্রতি, তাদের প্রত্যাখ্যানের কারণে। বল: “কত নিকৃষ্ট সেই বিষয় যা তোমাদের বিশ্বাস তোমাদের নির্দেশ দেয়, যদি তোমরা (বাস্তবিকই) বিশ্বাসী হতে!”
মুহিউদ্দীন খানঃ আর যখন আমি তোমাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিলাম এবং তুর পর্বতকে তোমাদের উপর তুলে ধরলাম যে, শক্ত করে ধর, আমি যা তোমাদের দিয়েছি আর শোন। তারা বলল, আমরা শুনেছি আর অমান্য করেছি। কুফরের কারণে তাদের অন্তরে গোবৎসপ্রীতি পান করানো হয়েছিল। বলে দিন, তোমরা বিশ্বাসী হলে, তোমাদের সে বিশ্বাস মন্দ বিষয়াদি শিক্ষা দেয়।
Daily Abrahamic Locution Duaa for 11th December, 2023
قُلْ مَنْ كَانَ عَدُوًّا لِّجِبْرِيْلَ فَاِنَّهٗ نَزَّلَهٗ عَلٰى قَلْبِكَ بِاِذْنِ اللّٰهِ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ وَهُدًى وَّبُشْرٰى لِلْمُؤْمِنِيْنَ
Say: “Whoever is an enemy to Jibreel, (know that) he has made it (the Qur’an) repeatedly accessible upon your core, by the permission of Allahh, correcting that which was available, and as a guidanée and glad tidings to the believers.
বিস্ময়কর কোরআনঃ বল: “যে কেউ জিব্রীলের শত্রু, (জেনে রাখ) সে এটি (কোরআন) বারবার তোমার অন্তরে উপলভ্য করেছে, আল্লাহর অনুমতিক্রমে, যা আগে ছিল তা সংশোধন করে এবং বিশ্বাসীদের জন্য এক দিশারী ও সুসংবাদ হিসেবে।”
মুহিউদ্দীন খানঃ আপনি বলে দিন, যে কেউ জিবরাঈলের শত্রু হয়-যেহেতু তিনি আল্লাহর আদেশে এ কালাম আপনার অন্তরে নাযিল করেছেন, যা সত্যায়নকারী তাদের সম্মুখস্থ কালামের এবং মুমিনদের জন্য পথপ্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা।
مَنْ كَانَ عَدُوًّا لِّلّٰهِ وَمَلٰۤىِٕكَتِهٖ وَرُسُلِهٖ وَجِبْرِيْلَ وَمِيْكٰىلَ فَاِنَّ اللّٰهَ عَدُوٌّ لِّلْكٰفِرِيْنَ
Whoever is an enemy to Allahh, his angels, his messengers, Jibreel, and Mīkāl, then Allahh is an enemy to the rejecters.
বিস্ময়কর কোরআনঃ যে কেউ আল্লাহর, তাঁর ফেরেশতাদের, তাঁর রাসূলদের, জিব্রীল এবং মীকাইলের শত্রু, তবে নিশ্চিত জানো, আল্লাহ প্রত্যাখ্যানকারীদের শত্রু।
মুহিউদ্দীন খানঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তাঁর ফেরেশতা ও রসূলগণ এবং জিবরাঈল ও মিকাঈলের শত্রু হয়, নিশ্চিতই আল্লাহ সেসব কাফেরের শত্রু।
ما يَوَدُّ الَّذينَ كَفَروا مِن أَهلِ الكِتابِ وَلَا المُشرِكينَ أَن يُنَزَّلَ عَلَيكُم مِن خَيرٍ مِن رَبِّكُم ۗ وَاللَّهُ يَختَصُّ بِرَحمَتِهِ مَن يَشاءُ ۚ وَاللَّهُ ذُو الفَضلِ العَظيمِ
বিস্ময়কর কোরআনঃ যারা কিতাবের অনুসারীদের মধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছিল এবং যারা শরীক করেছে তারা কেউই চায় না যে, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কাছ থেকে ব্যাখ্যাসহ জ্ঞান লাভ কর। আর আল্লাহ তাঁর রহমত আলাদা করে যাকে ইচ্ছা দান করেন – তার প্রতি যে পছন্দ করে (এটি অন্বেষণ করতে), এবং আল্লাহই সর্বাভিব্যাপ্ত কল্যাণের অধিকারী।
মুহিউদ্দীন খানঃ আহলে-কিতাব ও মুশরিকদের মধ্যে যারা কাফের, তাদের মনঃপুত নয় যে, তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি কোন কল্যাণ অবতীর্ণ হোক। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বিশেষ ভাবে স্বীয় অনুগ্রহ দান করেন। আল্লাহ মহান অনুগ্রহদাতা।
ما نَنسَخ مِن آيَةٍ أَو نُنسِها نَأتِ بِخَيرٍ مِنها أَو مِثلِها ۗ أَلَم تَعلَم أَنَّ اللَّهَ عَلىٰ كُلِّ شَيءٍ قَديرٌ
Any sign that we abrogate (in your worldview) or make you forget, we shall bring deeper understanding out of it or a deeper understanding from another one like it. Did you not know that Allahh provides measured apportionments (of elucidation) atop every part of the Quran?
বিস্ময়কর কোরআনঃ যে কোন নিদর্শন (আয়াত) যা আমরা বাতিল করি (তোমার জীবনবেদ* থেকে) বা তোমাকে ভুলে যেতে বাধ্য করি, আমরা এটি থেকে গভীর বোঝাপড়া বা এর মতো অন্য একটির কাছ থেকে গভীর বোঝাপড়া নিয়ে আসবো। তুমি কি জানো না যে, আল্লাহ কোরআনের প্রতিটি অংশের উপরে পরিমাপকৃত অংশ (ব্যাখ্যা) প্রদান করেন?
Note: জীবনবেদ* — Weltanschauung, মানব জীবনের নিয়ন্ত্রক-নীতি; জীবন-দর্শন, a comprehensive view of the world and human life / a particular philosophy or view of life; the worldview of an individual or group.
মুহিউদ্দীন খানঃ আমি কোন আয়াত রহিত করলে অথবা বিস্মৃত করিয়ে দিলে তদপেক্ষা উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান?
اَلَمْ تَعْلَمْ اَنَّ اللّٰهَ لَهٗ مُلْكُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ ۗ وَمَا لَكُمْ مِّنْ دُوْنِ اللّٰهِ مِنْ وَّلِيٍّ وَّلَا نَصِيْرٍ
বিস্ময়কর কোরআনঃ তোমাদের কি প্রমাণ-ভিত্তিক জ্ঞান নেই যে, কিতাব সহ বোঝার স্তরগুলির আধিপত্য আল্লাহরই, এবং আল্লাহর কাছ থেকে (তোমাকে রক্ষা করার) কোন পৃষ্ঠপোষক বা সাহায্যকারী থাকবে না?
মুহিউদ্দীন খানঃ তুমি কি জান না যে, আল্লাহর জন্যই নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের আধিপত্য? আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের কোন বন্ধু ও সাহায্যকারী নেই।
اَمْ تُرِيْدُوْنَ اَنْ تَسْـَٔلُوْا رَسُوْلَكُمْ كَمَا سُىِٕلَ مُوْسٰى مِنْ قَبْلُ ۗوَمَنْ يَّتَبَدَّلِ الْكُفْرَ بِالْاِيْمَانِ فَقَدْ ضَلَّ سَوَاۤءَ السَّبِيْلِ
বিস্ময়কর কোরআনঃ অথবা তোমরা কি তোমাদের রাসূলকে জিজ্ঞেস করতে চাও, যেমনটি মুসাকে পূর্বে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল? আর যে ব্যক্তি প্রত্যাখ্যানকে বিশ্বাসের স্থলাভিষিক্ত করে, সে অবশ্যই ভারসাম্যপূর্ণ পথ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে।
মুহিউদ্দীন খানঃ ইতিপূর্বে মূসা (আঃ) যেমন জিজ্ঞাসিত হয়েছিলেন, (মুসলমানগন, ) তোমরাও কি তোমাদের রসূলকে তেমনি প্রশ্ন করতে চাও? যে কেউ ঈমানের পরিবর্তে কুফর গ্রহন করে, সে সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়।
وَدَّ كَثِيْرٌ مِّنْ اَهْلِ الْكِتٰبِ لَوْ يَرُدُّوْنَكُمْ مِّنْۢ بَعْدِ اِيْمَانِكُمْ كُفَّارًاۚ حَسَدًا مِّنْ عِنْدِ اَنْفُسِهِمْ مِّنْۢ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمُ الْحَقُّ ۚ فَاعْفُوْا وَاصْفَحُوْا حَتّٰى يَأْتِيَ اللّٰهُ بِاَمْرِهٖ ۗ اِنَّ اللّٰهَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
বিস্ময়কর কোরআনঃ কিতাবের অনেক দলই চায় যে, তুমি বিশ্বাস আনার পর, তাদের নিজেদের মধ্যে ঈর্ষার কারণে, সত্য তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও তারা তোমাকে প্রত্যাখ্যানকারীতে পরিণত করবে। অতএব, তোমরা ক্ষমা কর এবং উপেক্ষা কর যতক্ষণ না আল্লাহ তার আদেশ প্রকাশ করেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ কোরআনের প্রতিটি অংশের উপরে পরিমাপকৃত বন্টন প্রদান করেছেন।
মুহিউদ্দীন খানঃ আহলে কিতাবদের অনেকেই প্রতিহিংসাবশতঃ চায় যে, মুসলমান হওয়ার পর তোমাদেরকে কোন রকমে কাফের বানিয়ে দেয়। তাদের কাছে সত্য প্রকাশিত হওয়ার পর (তারা এটা চায়)। যাক তোমরা আল্লাহর নির্দেশ আসা পর্যন্ত তাদের ক্ষমা কর এবং উপেক্ষা কর। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
وَقَالُوا اتَّخَذَ اللّٰهُ وَلَدًا ۙسُبْحٰنَهٗ ۗ بَلْ لَّهٗ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِۗ كُلٌّ لَّهٗ قَانِتُوْنَ
And they said: Allahh has taken a (proxy) son, as his only way!” In fact, to him belongs all that is in the layers of understanding and the scripture! All of them are, (in deferment to him,) practicing (spiritual) silence!
বিস্ময়কর কোরআনঃ তারা বলল, “আল্লাহ্ একটি (প্রতিনিধি) পুত্র গ্রহণ করেছেন, যা তার একমাত্র পথ!” প্রকৃতপক্ষে, যা কিছু উপলব্ধির স্তর এবং কিতাবে রয়েছে, সবই তাঁরই অন্তর্ভুক্ত! এদের সবাই (তাঁর প্রতি নতি প্রকাশে) আত্মিক নীরবতায় মগ্ন।
মুহিউদ্দীন খানঃ তারা বলে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন। তিনি তো এসব কিছু থেকে পবিত্র, বরং নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু রয়েছে সবই তার আজ্ঞাধীন।
وَلَن تَرْضَىٰ عَنكَ ٱلْيَهُودُ وَلَا ٱلنَّصَـٰرَىٰ حَتَّىٰ تَتَّبِعَ مِلَّتَهُمْ ۗ قُلْ إِنَّ هُدَى ٱللَّهِ هُوَ ٱلْهُدَىٰ ۗ وَلَئِنِ ٱتَّبَعْتَ أَهْوَآءَهُم بَعْدَ ٱلَّذِى جَآءَكَ مِنَ ٱلْعِلْمِ ۙ مَا لَكَ مِنَ ٱللَّهِ مِن وَلِىٍّۢ وَلَا نَصِيرٍ
“An the Jews an the Christians shall not be content with you until you follow their ‘Millat’. Say (O Muḥammad): “Indeed the guidance from Allahh is the true guidance!” And if you follow their opinions after what you have received of the evidence-based knowledge, then you shall have no patron and no supporter (to protect you) from Allahh!”
বিস্ময়কর কোরআনঃ “ইহুদী এবং খ্রিস্টানরা তোমার উপর সন্তুষ্ট হবে না যতক্ষণ না তুমি তাদের ‘রচনাশৈলী’ (composition style) অনুসরণ কর। (ও মুহাম্মাদ) বল, “নিশ্চয়ই আল্লাহর পক্ষ থেকে পথনির্দেশই প্রকৃত পথনির্দেশ!” এবং যদি তুমি তাদের মতামত অনুসরণ কর, সেই প্রমাণভিত্তিক জ্ঞান পাওয়ার পর যা তোমার কাছে এসেছে, তবে তোমার জন্য আল্লাহর বিরুদ্ধে কোনো অভিভাবক বা সাহায্যকারী থাকবে না।”
মুহিউদ্দীন খানঃ ইহুদী ও খ্রীষ্টানরা কখনই আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যে পর্যন্ত না আপনি তাদের ধর্মের অনুসরণ করেন। বলে দিন, যে পথ আল্লাহ প্রদর্শন করেন, তাই হল সরল পথ। যদি আপনি তাদের আকাঙ্খাসমূহের অনুসরণ করেন, ঐ জ্ঞান লাভের পর, যা আপনার কাছে পৌঁছেছে, তবে কেউ আল্লাহর কবল থেকে আপনার উদ্ধারকারী ও সাহায্যকারী নেই।