৪৩ আয-যুখরুফ ( الزخرف )
وَالَّذِيْ نَزَّلَ مِنَ السَّمَاۤءِ مَاۤءًۢ بِقَدَرٍۚ فَاَنْشَرْنَا بِهٖ بَلْدَةً مَّيْتًا ۚ كَذٰلِكَ تُخْرَجُوْنَ
“And (tell your community of the Qur’an too: He is the same deity) who made accessible, with elucidation, from the abstract understanding (of the Torah), (divine) water, in measured amounts, and thus revivified using evidence-based knowledge with it (i.e., the divine water) a spiritually dead ‘Baldah’ (a spiritually dead ‘Nafs’ of a living human being, during this life). This is how you (too, i.e., the community of the Qur’an) may be brought out (after death, from your eventual punishment and periods of darknesses).
বিস্ময়কর কোরআনঃ “এবং (তোমার কোরআনের সম্প্রদায়কেও বল: তিনি একই উপাস্য) যিনি (তাওরাতের) বিমূর্ত উপলব্ধি থেকে, (পবিত্র) পানি, পরিমাপিত পরিমাণে, ব্যাখ্যা সহ উপলভ্য করেছেন, এবং এভাবে এর সাথে (অর্থাৎ পবিত্র পানির সাথে) প্রমাণ-ভিত্তিক জ্ঞান ব্যবহার করে আধ্যাত্মিকভাবে মৃত ‘বালদাহ’ (এই জীবনে, একজন জীবিত মানুষের আধ্যাত্মিকভাবে মৃত ‘নাফস’) কে পুনরুজ্জীবিত করেছেন। এভাবেই তোমাদেরকেও (অর্থাৎ কোরআনের সম্প্রদায়কেও) বের করে আনা হতে পারে (মৃত্যুর পর, তোমাদের চূড়ান্ত শাস্তি ও অন্ধকারকাল থেকে)।
মুহিউদ্দীন খানঃ এবং যিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন পরিমিত। আতঃপর তদ্দ্বারা আমি মৃত ভূ-ভাগকে পুনরুজ্জীবিত করেছি। তোমরা এমনিভাবে উত্থিত হবে।
وَالَّذِيْ خَلَقَ الْاَزْوَاجَ كُلَّهَا وَجَعَلَ لَكُمْ مِّنَ الْفُلْكِ وَالْاَنْعَامِ مَا تَرْكَبُوْنَۙ
“And (addressing Bani Issra‘ll, and by extension the community of the Quran too, tell them, O Muhammad: He is also the same deity) who created all counterparts, and rendered for you, of supplications and of some who were granted favors, that upon which you ride,
বিস্ময়কর কোরআনঃ “আর (বনি ইসরাঈলকে সম্বোধন করে এবং কোরআনের সম্প্রদায়কেও বলে দাও, ও মুহাম্মাদ, তিনি একই উপাস্য) যিনি তোমাদের জন্য সমস্ত প্রতিরূপ সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের জন্য দোয়া প্রদান করেছেন ও অনুগ্রহপ্রাপ্ত কিছু লোক যাদের দোয়া কবুল করেছেন, যার উপর তোমরা আরোহণ কর।
মুহিউদ্দীন খানঃ এবং যিনি সবকিছুর যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং নৌকা ও চতুস্পদ জন্তুকে তোমাদের জন্যে যানবাহনে পরিণত করেছেন,
لِتَسْتَوٗا عَلٰى ظُهُوْرِهٖ ثُمَّ تَذْكُرُوْا نِعْمَةَ رَبِّكُمْ اِذَا اسْتَوَيْتُمْ عَلَيْهِ وَتَقُوْلُوْا سُبْحٰنَ الَّذِيْ سَخَّرَ لَنَا هٰذَا وَمَا كُنَّا لَهٗ مُقْرِنِيْنَۙ
“So that you become balanced upon the exposures brought forth by him (i.e., the Nabiy Muḥammad), and then you recall the favor of your lord when you become balanced upon his (new) way, and then you (Banī Issrā’il) say: ‘(This is) Only the way of he who subjected this (Nabiy Muḥammad) for our benefit, even as we never taught him anything, which would have misled him to have as a ‘Qareen’ one of our earlier misleading patriarchs.
বিস্ময়কর কোরআনঃ “যাতে তোমরা তার (অর্থাৎ নবী মুহাম্মদ) দ্বারা প্রকাশিত আলোক সম্পাতের প্রতি ভারসাম্য বজায় রাখতে পার, অতঃপর তোমরা তোমাদের পালনকর্তার অনুগ্রহের কথা স্মরণ কর, যখন তোমরা তাঁর (নতুন) পথে ভারসাম্য বজায় রাখবে, এবং তারপর তোমরা (বনি ইসরাঈল) বল: ‘(এটি) একমাত্র তাঁর পথ যে এটি (নবী মুহাম্মাদকে) আমাদের কল্যাণের জন্য বশে এনেছেন, এমনকি আমরা তাকে এমন কিছু শিখাইনি, যা তাকে আমাদের পূর্ববর্তী বিভ্রান্তিকর পিতৃপুরুষদের মধ্যে একজন ‘কারিন’ হিসাবে বিভ্রান্ত করত।
মুহিউদ্দীন খানঃ যাতে তোমরা তাদের পিঠের উপর আরোহণ কর। অতঃপর তোমাদের পালনকর্তার নেয়ামত স্মরণ কর এবং বল পবিত্র তিনি, যিনি এদেরকে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন এবং আমরা এদেরকে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না।
وَاِنَّآ اِلٰى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُوْنَ
”And (both communities shall recognize that) only to our lord are we to change (from our prior ways)!'”
বিস্ময়কর কোরআনঃ “এবং (উভয় সম্প্রদায়ই স্বীকার করবে যে) কেবল মাত্র আমাদের পালনকর্তার কাছেই আমরা (আমাদের পূর্ববর্তী পথ থেকে) পরিবর্তিত হতে পারি।
মুহিউদ্দীন খানঃ আমরা অবশ্যই আমাদের পালনকর্তার দিকে ফিরে যাব।
وَجَعَلُوْا لَهٗ مِنْ عِبَادِهٖ جُزْءًا ۗاِنَّ الْاِنْسَانَ لَكَفُوْرٌ مُّبِيْنٌ
For, they (Banī IssrāꜤīl , just as you shall do too ) have learned to attribute to him, a part (of their supplications) from his wayfarers (during their physical life).
বিস্ময়কর কোরআনঃ কেননা, তারা (বনি ইসরাঈল, যেমনটি তোমরাও করবে) তাঁর পথিকদের কাছ থেকে (তাদের দোয়াসমূহের) একটি অংশ তাঁর উপর আরোপ করতে শিখেছে।
মুহিউদ্দীন খানঃ তারা আল্লাহর বান্দাদের মধ্য থেকে আল্লাহর অংশ স্থির করেছে। বাস্তবিক মানুষ স্পষ্ট অকৃতজ্ঞ।
وَجَعَلُوا الْمَلٰۤىِٕكَةَ الَّذِيْنَ هُمْ عِبٰدُ الرَّحْمٰنِ اِنَاثًا ۗ اَشَهِدُوْا خَلْقَهُمْ ۗسَتُكْتَبُ شَهَادَتُهُمْ وَيُسْٔـَلُوْنَ
And they ascribed feminine labels to the angels who are, in their afterlife, the
wayfarers of ‘Ar-Raḥmān’. Did they witness their creation? Their (false) testimony
shall be inscribed, and they shall be questioned (about it).
বিস্ময়কর কোরআনঃ এবং তারা ফেরেশতাদেরকে মেয়েলি লেবেল আরোপ করেছে যারা তাদের পরের জীবনে ‘আর-রহমান’-এর পথিক। তারা কি তাদের সৃষ্টি প্রত্যক্ষ করেছে? তাদের (মিথ্যা) সাক্ষ্য লিপিবদ্ধ করা হবে এবং তাদের (এ সম্পর্কে) জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মুহিউদ্দীন খানঃ তারা নারী স্থির করে ফেরেশতাগণকে, যারা আল্লাহর বান্দা। তারা কি তাদের সৃষ্টি প্রত্যক্ষ করেছে? এখন তাদের দাবী লিপিবদ্ধ করা হবে এবং তাদের জিজ্ঞাসা করা হবে।
بَل قالوا إِنّا وَجَدنا آباءَنا عَلىٰ أُمَّةٍ وَإِنّا عَلىٰ آثارِهِم مُهتَدونَ
They said: “We found our forefathers on this way for a long time, and we shall remain guided on their tracks.”
বিস্ময়কর কোরআনঃ তারা বলেছিলো, “আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের দীর্ঘকাল এই পথে পেয়েছি এবং আমরা তাদের পথেই পথপ্রাপ্ত থাকব।”
মুহিউদ্দীন খানঃ বরং তারা বলে, আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে পেয়েছি এক পথের পথিক এবং আমরা তাদেরই পদাংক অনুসরণ করে পথপ্রাপ্ত।
وَكَذٰلِكَ ما أَرسَلنا مِن قَبلِكَ في قَريَةٍ مِن نَذيرٍ إِلّا قالَ مُترَفوها إِنّا وَجَدنا آباءَنا عَلىٰ أُمَّةٍ وَإِنّا عَلىٰ آثارِهِم مُقتَدونَ
And this is the way it is: Any time we sent a warner to a coterie before you, its elites would say: “We found our forefathers on this way for a long time, and we shall keep imitating their tracks.”
বিস্ময়কর কোরআনঃ আর এইভাবেই আমরা যখনই তোমার পূর্ববর্তী কোন সম্প্রদায়ের কাছে সতর্ককারী পাঠাতাম, তখন তার অভিজাতরা বলতো, “আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে এই পথে দীর্ঘকাল ধরে পেয়েছি, আর আমরা অবশ্যই তাদের পথ অনুসরণ করে যাবো।”
মুহিউদ্দীন খানঃ এমনিভাবে আপনার পূর্বে আমি যখন কোন জনপদে কোন সতর্ককারী প্রেরণ করেছি, তখনই তাদের বিত্তশালীরা বলেছে, আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে পেয়েছি এক পথের পথিক এবং আমরা তাদেরই পদাংক অনুসরণ করে চলছি।
قالَ أَوَلَو جِئتُكُم بِأَهدىٰ مِمّا وَجَدتُم عَلَيهِ آباءَكُم ۖ قالوا إِنّا بِما أُرسِلتُم بِهِ كافِرونَ
He (the warner) said: “What if I brought you better guidance than what you found your forefathers upon?” They said: “We reject that with which you have been missioned.”
বিস্ময়কর কোরআনঃ সে (সতর্ককারী) বলেছিলো, “যদি আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের পূর্বপুরুষদেরকে যে বিষয়ে পেয়েছো তার চেয়ে উত্তম পথনির্দেশ নিয়ে আসি?” তারা বলেছিলো, “তোমাকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আমরা তা প্রত্যাখ্যান করি।”
মুহিউদ্দীন খানঃ সে বলত, তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষদেরকে যে বিষয়ের উপর পেয়েছ, আমি যদি তদপেক্ষা উত্তম বিষয় নিয়ে তোমাদের কাছে এসে থাকি, তবুও কি তোমরা তাই বলবে? তারা বলত তোমরা যে বিষয়সহ প্রেরিত হয়েছ, তা আমরা মানব না।
اِلَّا الَّذِيْ فَطَرَنِيْ فَاِنَّهٗ سَيَهْدِيْنِ
Ibrāhīm said: “I worship no one, except the one who brought me out: He shall guide me!”
বিস্ময়কর কোরআনঃ ইব্রাহীম বলেছিল: “আমি কারো ইবাদত করি না, তাকে ব্যতীত যিনি আমাকে বের করে এনেছেন: তিনি আমাকে পথ দেখাবেন।”
মুহিউদ্দীন খানঃ তবে আমার সম্পর্ক তাঁর সাথে যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। অতএব, তিনিই আমাকে সৎপথ প্রদর্শন করবেন।
وَمَن يَعشُ عَن ذِكرِ الرَّحمٰنِ نُقَيِّض لَهُ شَيطانًا فَهُوَ لَهُ قَرينٌ
And whoever refuses to see the importance of Dhikr of Raḥmān, against him, specifically, we establish a shell, a shayṭān, and he becomes adjoined to him.
বিস্ময়কর কোরআনঃ এবং যে ব্যক্তি রাহমানের যিকিরের গুরুত্ব দেখতে অস্বীকার করে, তার বিরুদ্ধে বিশেষভাবে, আমরা একটি খোলস, একটি শয়তান স্থাপন করি এবং সে তার সাথে সংযুক্ত হয়ে যায়।”
মুহিউদ্দীন খানঃ যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণ থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয়, আমি তার জন্যে এক শয়তান নিয়োজিত করে দেই, অতঃপর সে-ই হয় তার সঙ্গী।
وَإِنَّهُم لَيَصُدّونَهُم عَنِ السَّبيلِ وَيَحسَبونَ أَنَّهُم مُهتَدونَ
And they obstruct them from the (right) way while presuming that they are seeking guidance.
বিস্ময়কর কোরআনঃ আর তারা (অনেক শায়তানরা) তাদের (সঠিক) পথ থেকে বাধা দেয়, অথচ তারা মনে করে যে, তারা হেদায়েত অন্বেষণ করছে।
মুহিউদ্দীন খানঃ শয়তানরাই মানুষকে সৎপথে বাধা দান করে, আর মানুষ মনে করে যে, তারা সৎপথে রয়েছে।
حَتّىٰ إِذا جاءَنا قالَ يا لَيتَ بَيني وَبَينَكَ بُعدَ المَشرِقَينِ فَبِئسَ القَرينُ
Until after a while, when he comes to us, he says (to his adjoined other): “O how I wish there was between me and you a distance like that between the locations of the two sunrises!” What a terrible adjoined other he is!
বিস্ময়কর কোরআনঃ কিছুক্ষণ পর পর্যন্ত, যখন সে আমাদের কাছে আসে, তখন সে বলে (তার সংলগ্ন অন্যকে) : “হায়, আমার এবং তোমার মধ্যে যদি দুটি সূর্যোদয়ের অবস্থানের মতো দূরত্ব থাকত!” কি ভয়ানক সংলগ্ন অন্য সে!
মুহিউদ্দীন খানঃ অবশেষে যখন সে আমার কাছে আসবে, তখন সে শয়তানকে বলবে, হায়, আমার ও তোমার মধ্যে যদি পূর্ব-পশ্চিমের দূরত্ব থাকত। কত হীন সঙ্গী সে।
وَلَنْ يَّنْفَعَكُمُ الْيَوْمَ اِذْ ظَّلَمْتُمْ اَنَّكُمْ فِى الْعَذَابِ مُشْتَرِكُوْنَ
And of no benefit to you at this time, as you have been transgressors, that you are partners in the punishment of separation.
বিস্ময়কর কোরআনঃ এবং এই সময়ে তোমাদের কোন উপকারে আসবে না, যেমন তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী হয়েছ, যেহেতু তোমরা বিচ্ছিন্নতার শাস্তির অংশীদার।
মুহিউদ্দীন খানঃ তোমরা যখন কুফর করছিলে, তখন তোমাদের আজকের আযাবে শরীক হওয়া কোন কাজে আসবে না।
وَاسأَل مَن أَرسَلنا مِن قَبلِكَ مِن رُسُلِنا أَجَعَلنا مِن دونِ الرَّحمٰنِ آلِهَةً يُعبَدونَ
And ask some of the messengers whom we sent before you: Did we insert as intermediaries to Ar-Raḥmān any gods to be worshiped?
বিস্ময়কর কোরআনঃ আর তোমার পূর্বে আমি যেসব রাসূল প্রেরণ করেছি, তাদের কতককে জিজ্ঞেস কর, আমরা কি আর-রহমান-এর সাথে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কোন উপাস্যকে প্রবেশ করিয়েছি, যার এবাদত করা হবে?
মুহিউদ্দীন খানঃ আপনার পূর্বে আমি যেসব রসূল প্রেরণ করেছি, তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, দয়াময় আল্লাহ ব্যতীত আমি কি কোন উপাস্য স্থির করেছিলাম এবাদতের জন্যে?
وَلَقَدْ اَرْسَلْنَا مُوْسٰى بِاٰيٰتِنَآ اِلٰى فِرْعَوْنَ وَمَلَا۟ىِٕهٖ فَقَالَ اِنِّيْ رَسُوْلُ رَبِّ الْعٰلَمِيْنَ
বিস্ময়কর কোরআনঃ আর আমরা মূসাকে আমাদের নিদর্শনাবলীসহ ফিরআউন ও তার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে পাঠিয়েছিলাম এবং সে (মূসা) বলেছিল: “আমি সকল জগতের পালনকর্তার পক্ষ থেকে প্রেরিত রাসূল!”
মুহিউদ্দীন খানঃ আমি মূসাকে আমার নিদর্শনাবলী দিয়ে ফেরাউন ও তার পরিষদবর্গের কাছে প্রেরণ করেছিলাম, অতঃপর সে বলেছিল, আমি বিশ্ব পালনকর্তার রসূল।
فَلَمَّا كَشَفْنَا عَنْهُمُ الْعَذَابَ اِذَا هُمْ يَنْكُثُوْنَ
However, when we (i.e., the angels represented by Mūssā, aka Jibrīl) removed from them the punishment (of separation), (you find now, that) they renege (on their pledge).
বিস্ময়কর কোরআনঃ যাইহোক, যখন আমরা (অর্থাৎ, মূসা, ওরফে জিব্রীল দ্বারা প্রতিনিধিত্বকারী ফেরেশতারা) তাদের কাছ থেকে (বিচ্ছিন্নতার শাস্তি) অপসারণ করি, (এখন তোমরা দেখতে পাও যে) তারা (তাদের অঙ্গীকার থেকে) সরে যায়।
মুহিউদ্দীন খানঃ অতঃপর যখন আমি তাদের থেকে আযাব প্রত্যাহার করে নিলাম, তখনই তারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করতে লাগলো।
وَنادىٰ فِرعَونُ في قَومِهِ قالَ يا قَومِ أَلَيسَ لي مُلكُ مِصرَ وَهٰذِهِ الأَنهارُ تَجري مِن تَحتي ۖ أَفَلا تُبصِرونَ
And FirƐaoun announced (declared) among his people: He said: “My people! Does not The rulership of Miṣr belong to me? and these rivers flow below me.” Do you not observe?**
**See 28:72 and 51:21 which use the same expression, اَفَلَا تُبْصِرُوْنَۗ in the voice of the narrator
বিস্ময়কর কোরআনঃ ফেরাউন তার সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোষণা করেছিলো, সে বলেছিলো: “ও আমার সম্প্রদায়! মিসরের শাসন তো আমারই, আর এই নদীগুলো আমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়, তোমরা কি লক্ষ্য করো না?”
মুহিউদ্দীন খানঃ ফেরাউন তার সম্প্রদায়কে ডেকে বলল, হে আমার কওম, আমি কি মিসরের অধিপতি নই? এই নদী গুলো আমার নিম্নদেশে প্রবাহিত হয়, তোমরা কি দেখ না?
أَم أَنا خَيرٌ مِن هٰذَا الَّذي هُوَ مَهينٌ وَلا يَكادُ يُبينُ
And FirƐaoun continued: ‘Or am I better than this one who is lowly, and who can barely express himself?’
বিস্ময়কর কোরআনঃ ‘অথবা আমি কি তার চেয়ে উত্তম নই, যে নীচু আর যে খুব কমই নিজেকে প্রকাশ করতে পারে?’
মুহিউদ্দীন খানঃ আমি যে শ্রেষ্ট এ ব্যক্তি থেকে, যে নীচ এবং কথা বলতেও সক্ষম নয়।
فَاسْتَخَفَّ قَوْمَهٗ فَاَطَاعُوْهُ ۗاِنَّهُمْ كَانُوْا قَوْمًا فٰسِقِيْنَ
For, he (i.e., FirƐaoun) persuaded his people with light (erroneous) claims (appealing to their intellectual laziness and frailty), and thus they obeyed him. Indeed, they were a deviant community.
বিস্ময়কর কোরআনঃ কারণ, সে (অর্থাৎ, ফিরআউন) তার লোকেদের হালকা (ভুল) দাবি (যা ছিল তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক অলসতা এবং দুর্বলতার প্রতি আবেদনময়ী) দিয়ে প্ররোচিত করেছিল এবং এইভাবে তারা তার আনুগত্য করেছিল। প্রকৃতপক্ষে, তারা ছিল একটি বিপথগামী সম্প্রদায়।
মুহিউদ্দীন খানঃ অতঃপর সে তার সম্প্রদায়কে বোকা বানিয়ে দিল, ফলে তারা তার কথা মেনে নিল। নিশ্চয় তারা ছিল পাপাচারী সম্প্রদায়।
فَلَمَّآ اٰسَفُوْنَا انْتَقَمْنَا مِنْهُمْ فَاَغْرَقْنٰهُمْ اَجْمَعِيْنَۙ
But when they angered us (i.e., the angels represented by Mūssā, aka Jibrīl), we (i.e., the angels represented by Mūssā, aka Jibrīl) exacted revenge against them and drowned them (in the sea of confusion) all together.
বিস্ময়কর কোরআনঃ কিন্তু যখন তারা আমাদের (অর্থাৎ মূসা ওরফে জিবরীল দ্বারা প্রতিনিধিত্বকারী ফেরেশতাদের) রাগান্বিত করেছিল, তখন আমরা (অর্থাৎ মূসা ওরফে জিবরীল দ্বারা প্রতিনিধিত্বকারী ফেরেশতারা) তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিয়েছিলাম এবং তাদের (বিভ্রান্তির সমুদ্রে) ডুবিয়ে দিয়েছিলাম, সবাইকে একসাথে।
মুহিউদ্দীন খানঃ অতঃপর যখন আমাকে রাগাম্বিত করল তখন আমি তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিলাম এবং নিমজ্জত করলাম। তাদের সবাইকে।
فَجَعَلناهُم سَلَفًا وَمَثَلًا لِلآخِرينَ
And thus, we (i.e., the angels represented by Mūssā, aka Jibrīl) rendered them (i.e., the group of rejecters among BanīIssrāꜤīl) a precedence and a counterexample for the others (i.e., for the QurꜤān followers community).
বিস্ময়কর কোরআনঃ আর এভাবেই আমরা (অর্থাৎ মূসা ওরফে জিবরীল দ্বারা প্রতিনিধিত্বকারী ফেরেশতাগণ) তাদেরকে (অর্থাৎ, বনিইসরাইলের মধ্যে প্রত্যাখ্যানকারীদের দলকে) অন্যদের (অর্থাৎ কোরআন অনুসারী সম্প্রদায়ের) জন্য একটি পূর্ববর্তিতা এবং একটি পাল্টা উদাহরণ হিসেবে প্রদান করেছি।
মুহিউদ্দীন খানঃ অতঃপর আমি তাদেরকে করে দিলাম অতীত লোক ও দৃষ্টান্ত পরবর্তীদের জন্যে।
وَلَمّا ضُرِبَ ابنُ مَريَمَ مَثَلًا إِذا قَومُكَ مِنهُ يَصِدّونَ
And when Maryam’s son was singled out in an example (by your community, Banī Issrā’il, in Aya 4:157), then (you find that) your community consumed purulence because of it,
বিস্ময়কর কোরআনঃ আর যখন মারিয়মের পুত্রকে আলাদা করা হয়েছিল একটি উদাহরণে (তোমার সম্প্রদায় বনী ইসরাঈল দ্বারা, আয়াত 4:157), তখন (তুমি দেখতে পাও যে) তোমার সম্প্রদায়টি এর কারণে পুঁজ গ্রহণ করেছিল,
মুহিউদ্দীন খানঃ যখনই মরিয়ম তনয়ের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করা হল, তখনই আপনার সম্প্রদায় হঞ্জগোল শুরু করে দিল
وَقالوا أَآلِهَتُنا خَيرٌ أَم هُوَ ۚ ما ضَرَبوهُ لَكَ إِلّا جَدَلًا ۚ بَل هُم قَومٌ خَصِمونَ
And they (the rejecters among your community, Banī Issrā’īl) said: “Are our deities better or he (i.e., Ɛīssä ibn Maryam)?” They only singled him out (i.e., claiming that they killed him) as a counterexample for you as a way to dispute (your claim that you are a messenger of Allahh, not because they can get to you!). Nay! They are an argumentative community.
বিস্ময়কর কোরআনঃ এবং তারা (তোমার সম্প্রদায় বনী ইসরাঈলের ভিতর প্রত্যাখ্যানকারীরা) বলেছিলো: “আমাদের উপাস্যরা উত্তম, না সে (অর্থাৎ, ঈসা ইবনে মারিয়াম)?” তারা শুধুমাত্র তাকে আলাদা করেছিল (অর্থাৎ, তাকে হত্যা করার দাবি করেছিল) একটি পাল্টা উদাহরন হিসাবে তোমার সাথে বিবাদ করতে (তোমার দাবি নিয়ে যে তুমি আল্লাহর রাসূল, এইজন্যে নয় যে তারা তোমার কাছে যেতে পারে!)। বস্তুত তারা একটি তর্কপ্রবণ সম্প্রদায়।
মুহিউদ্দীন খানঃ এবং বলল, আমাদের উপাস্যরা শ্রেষ্ঠ, না সে? তারা আপনার সামনে যে উদাহরণ উপস্থাপন করে তা কেবল বিতর্কের জন্যেই করে। বস্তুতঃ তারা হল এক বিতর্ককারী সম্প্রদায়।
إِن هُوَ إِلّا عَبدٌ أَنعَمنا عَلَيهِ وَجَعَلناهُ مَثَلًا لِبَني إِسرائيلَ
Indeed, he (Ɛīssā, son of Maryam) is but a wayfarer upon whom we (i.e., the angels represented by Mūssā, aka Jibril) have bestowed favors, and whom we (i.e., the angels) rendered as a counterexample to Banī Issrāil.
বিস্ময়কর কোরআনঃ প্রকৃতপক্ষে, সে (মারিয়ম পুত্র ঈসা) একজন পথিক মাত্র, যাকে আমরা (অর্থাৎ, মূসা, ওরফে জিব্রিল দ্বারা প্রতিনিধিত্বকারী ফেরেশতারা) অনুগ্রহ দান করেছি, এবং যাকে আমরা (অর্থাৎ ফেরেশতারা) বনী ইসরাঈলের প্রতি পাল্টা উদাহরণ হিসাবে রেখেছিলাম।
মুহিউদ্দীন খানঃ সে তো এক বান্দাই বটে আমি তার প্রতি অনুগ্রহ করেছি এবং তাকে করেছি বণী-ইসরাঈলের জন্যে আদর্শ।
وَلَو نَشاءُ لَجَعَلنا مِنكُم مَلائِكَةً فِي الأَرضِ يَخلُفونَ
And had we willed it, we would have established, instead of you, angels to succeed in inheriting the scripture.
বিস্ময়কর কোরআনঃ আর আমরা যদি ইচ্ছা করতাম, তাহলে আমরা তোমাদের পরিবর্তে ফেরেশতাদেরকে কিতাবের উত্তরাধিকারী হতে প্রতিষ্ঠিত করতাম।
মুহিউদ্দীন খানঃ আমি ইচ্ছা করলে তোমাদের থেকে ফেরেশতা সৃষ্টি করতাম, যারা পৃথিবীতে একের পর এক বসবাস করত।
وَإِنَّهُ لَعِلمٌ لِلسّاعَةِ فَلا تَمتَرُنَّ بِها وَاتَّبِعونِ ۚ هٰذا صِراطٌ مُستَقيمٌ
And it (the counterexample) is evidence based knowledge (that is a pre-requisite) for the hour (ie., the time of daze); and thus, do not go seeking knowledge about it (somewhere else), and follow me: This is a methodology for self correction! And it (the story of Ɛīssā ibn Maryam as a counterexample) is evidence-based knowledge (that is granted) to the ‘Sāɛa’ (i.e., the irrigators); and thus, do not go seeking knowledge about it (somewhere else), and follow me: This is a methodology for self-correction!
বিস্ময়কর কোরআনঃ এবং এটি (একটি পাল্টা উদাহরণ হিসাবে ঈসা ইবনে মারিয়ামের কাহিনী) হল প্রমাণ-ভিত্তিক জ্ঞান যা ‘সাআ’কে (অর্থাৎ, সেচকারীদের) (মঞ্জুর করা হয়); এবং তাই, এটি সম্পর্কে জ্ঞান খুঁজতে যাবে না (অন্য কোথাও), এবং আমাকে অনুসরণ কর: এটি স্ব-সংশোধনের জন্য একটি পদ্ধতি!
মুহিউদ্দীন খানঃ সুতরাং তা হল কেয়ামতের নিদর্শন। কাজেই তোমরা কেয়ামতে সন্দেহ করো না এবং আমার কথা মান। এটা এক সরল পথ।
وَلا يَصُدَّنَّكُمُ الشَّيطانُ ۖ إِنَّهُ لَكُم عَدُوٌّ مُبينٌ
Let not Shayṭān block you (specifically the ones engaging the divine guidance): He is against you, specifically, a manifest enemy.
বিস্ময়কর কোরআনঃ শয়তান যেন তোমাকে অবরুদ্ধ না করে (বিশেষ করে যারা পবিত্র নির্দেশনায় কাজ করে): সে তোমার বিরুদ্ধে, বিশেষ করে, স্পষ্ট শত্রু।
মুহিউদ্দীন খানঃ শয়তান যেন তোমাদেরকে নিবৃত্ত না করে। সে তোমাদের প্রকাশ্য শুত্রু।
وَلَمّا جاءَ عيسىٰ بِالبَيِّناتِ قالَ قَد جِئتُكُم بِالحِكمَةِ وَلِأُبَيِّنَ لَكُم بَعضَ الَّذي تَختَلِفونَ فيهِ ۖ فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطيعونِ
And when 3īssācame with the instruments of deduction (i.e., the techniques for extracting evidence from the scripture) he said: “I brought you Al-Ḥikmah, and to expose to you, in accordance with your ways, some of what you used to disagree about among yourselves. And thus, be disciplined in your seeking of Allahh, and obey me!”
বিস্ময়কর কোরআনঃ এবং যখন ঈসা সাধারণ নীতি থেকে একটি নির্দিষ্ট সত্যের অনুক্রম ও গোপন করার উপকরণ (অর্থাৎ, কিতাব থেকে প্রমাণ আহরণের কৌশল) নিয়ে এসেছিলো, সে বলেছিলো: “আমি তোমাদের কাছে আল-হিকমাহ নিয়ে এসেছি এবং তোমাদের কাছে তোমাদের পথ অনুসারে প্রকাশ করতে, যার মধ্যে কিছু বিষয়ে তোমরা নিজেদের মধ্যে মতানৈক্য করতে। সুতরাং তোমরা আল্লাহর অন্বেষণে সুশৃঙ্খল হও এবং আমাকে মান্য কর।“
মুহিউদ্দীন খানঃ ঈসা যখন স্পষ্ট নিদর্শনসহ আগমন করল, তখন বলল, আমি তোমাদের কাছে প্রজ্ঞা নিয়ে এসেছি এবং তোমরা যে, কোন কোন বিষয়ে মতভেদ করছ তা ব্যক্ত করার জন্যে এসেছি, অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার কথা মান।
هَلْ يَنظُرُونَ إِلَّا ٱلسَّاعَةَ أَن تَأْتِيَهُم بَغْتَةًۭ وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ
Do they have anything to anticipate other than ‘As-SāƐah’ (the irrigators of the
scripture), arriving to them suddenly while they perceive (it) not.
বিস্ময়কর কোরআনঃ তাদের কাছে কি সেচকারী ছাড়া অপেক্ষা করার উত্তম আর কিছু আছে, হঠাৎ করে তাদের কাছে আসার জন্য, যখন তারা বুঝতে পারে না?
মুহিউদ্দীন খানঃ তারা কেবল কেয়ামতেরই অপেক্ষা করছে যে, আকস্মিকভাবে তাদের কাছে এসে যাবে এবং তারা খবর ও রাখবে না।
ٱلْأَخِلَّآءُ يَوْمَئِذٍۭ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ إِلَّا ٱلْمُتَّقِينَ
(People who acted as) Throughways, at that time, are inimical to each other, except the ones who are disciplined (in applying the self-correcting methodology, in the scripture).
বিস্ময়কর কোরআনঃ সেই সময়ে যারা (দাবিকৃত জ্ঞানের) বাহক হিসাবে কাজ করেছিল, তারা একে অপরের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন, (কিতাবে আত্ম-সংশোধন পদ্ধতি প্রয়োগে) সুশৃঙ্খল ব্যক্তিরা ছাড়া।
মুহিউদ্দীন খানঃ বন্ধুবর্গ সেদিন একে অপরের শত্রু হবে, তবে খোদাভীরুরা নয়।
يَـٰعِبَادِ لَا خَوْفٌ عَلَيْكُمُ ٱلْيَوْمَ وَلَآ أَنتُمْ تَحْزَنُونَ
O my wayfarers! Upon you there shall be no fear now, nor shall you suffer sorrow:
বিস্ময়কর কোরআনঃ ও আমার পথিকগণ! আজ তোমাদের উপর কোন ভয় নেই এবং তোমরা দুঃখিতও হবে না:
মুহিউদ্দীন খানঃ হে আমার বান্দাগণ, তোমাদের আজ কোন ভয় নেই এবং তোমরা দুঃখিতও হবে না।
اَلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا بِاٰيٰتِنَا وَكَانُوْا مُسْلِمِيْنَۚ
Those (are the ones who) who believed in our signs and have been submitters.
বিস্ময়কর কোরআনঃ তারাই আমাদের নিদর্শনাবলীতে বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং আজ্ঞাবহ হয়েছে।
মুহিউদ্দীন খানঃ তোমরা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস স্থাপন করেছিলে এবং তোমরা আজ্ঞাবহ ছিলে।
اُدْخُلُوا الْجَنَّةَ اَنْتُمْ وَاَزْوَاجُكُمْ تُحْبَرُوْنَ
Enter the concealed abode of privileged understanding, you and your counterparts, to be made productive.
বিস্ময়কর কোরআনঃ তোমরা এবং তোমাদের অনুরূপদের কে উৎপাদনশীল করে তোলার জন্য, সুবিধাপ্রাপ্ত বিশেষ বোঝার গোপন আবাসস্থলে প্রবেশ কর।
মুহিউদ্দীন খানঃ জান্নাতের প্রবেশ কর তোমরা এবং তোমাদের বিবিগণ সানন্দে।
لَقَدْ جِئْنٰكُمْ بِالْحَقِّ وَلٰكِنَّ اَكْثَرَكُمْ لِلْحَقِّ كٰرِهُوْنَ
We brought you the truth, but most of you have a hatred for the truth!
বিস্ময়কর কোরআনঃ আমরা তোমাদের কাছে সত্য নিয়ে এসেছিলাম, কিন্তু তোমাদের অধিকাংশই সত্যের প্রতি ঘৃণা পোষণ করে।
মুহিউদ্দীন খানঃ আমি তোমাদের কাছে সত্যধর্ম পৌঁছিয়েছি; কিন্তু তোমাদের অধিকাংশই সত্যধর্মে নিস্পৃহ!
قُل إِن كانَ لِلرَّحمٰنِ وَلَدٌ فَأَنا أَوَّلُ العابِدينَ
Say: “Ar-Raḥmān does not have a son! And thus, I am foremost among the wayfarers (the seekers, towards Allahh, along this creed)!”
বিস্ময়কর কোরআনঃ বল: “আর-রাহমান এর কোন সন্তান নেই। আর তাই আমি পথিকদের মধ্যে সর্বাগ্রে আছি (আল্লাহর দিকে অনুসন্ধানকারী, এই ধর্মমতের সাথে)।”
মুহিউদ্দীন খানঃ বলুন, দয়াময় আল্লাহর কোন সন্তান থাকলে আমি সর্ব প্রথম তার এবাদত করব।
وَهُوَ الَّذِيْ فِى السَّمَاۤءِ اِلٰهٌ وَّ فِى الْاَرْضِ اِلٰهٌ ۗوَهُوَ الْحَكِيْمُ الْعَلِيْمُ
And it is he (, Allahh) who is (the only) deity in the abstract understanding, and in the scripture, (the only) deity. And he is the provider of linguistic discernment, the provider of evidence-based knowledge.
বিস্ময়কর কোরআনঃ এবং তিনিই (একমাত্র) উপাস্য বিমূর্ত উপলব্ধিতে , এবং (একমাত্র) উপাস্য কিতাবে। এবং তিনি ভাষাগত বিচক্ষণতার প্রদানকারী, প্রমাণ ভিত্তিক জ্ঞান প্রদানকারী।
মুহিউদ্দীন খানঃ তিনিই উপাস্য নভোমন্ডলে এবং তিনিই উপাস্য ভুমন্ডলে। তিনি প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ,
وَتَبٰرَكَ الَّذِيْ لَهٗ مُلْكُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا ۚوَعِنْدَهٗ عِلْمُ السَّاعَةِۚ وَاِلَيْهِ تُرْجَعُوْنَ
And reciprocating in blessing is the one (Allahh) to whom belongs the governance of the layers of understanding with the scripture, and what is between them, and with him (Allahh) is the knowledge provided to the irrigators, and to him shall you return to your (original) mission.
বিস্ময়কর কোরআনঃ আর আশীর্বাদের প্রতিদান তিনিই (আল্লাহ) যাঁর কাছে কিতাবের সাথে বোঝাপড়ার স্তরগুলির শাসন এবং তাদের মধ্যে যা রয়েছে, এবং তাঁর কাছেই রয়েছে সেচকারীদেরকে দেওয়া জ্ঞান, এবং তার কাছেই তোমরা ফিরে যাবে তোমাদের (মূল) উদ্দেশ্যের দিকে।
মুহিউদ্দীন খানঃ বরকতময় তিনিই, নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু যার। তাঁরই কাছে আছে কেয়ামতের জ্ঞান এবং তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।