বিস্ময়কর কোরআন

৭২ আল-জ্বিন ( الجن )

1

قُل أوحِيَ إِلَيَّ أَنَّهُ استَمَعَ نَفَرٌ مِنَ الجِنِّ فَقالوا إِنّا سَمِعنا قُرآنًا عَجَبًا

Say: “I have been enjoined, that a small group of Jinn listened (to the QurꜤān), and said: ‘We have heard an amazing qurꜤān,

বিস্ময়কর কোরআনঃ বলো: “আমাকে জানানো হয়েছে যে, জিনদের একটি ছোট দল (কোরআন) শুনেছিল, এবং বলেছিল: ‘আমরা একটি বিস্ময়কর কোরআন শুনেছি,

মুহিউদ্দীন খানঃ বলুনঃ আমার প্রতি ওহী নাযিল করা হয়েছে যে, জিনদের একটি দল কোরআন শ্রবণ করেছে, অতঃপর তারা বলেছেঃ আমরা বিস্ময়কর কোরআন শ্রবণ করেছি;

2

يَهدي إِلَى الرُّشدِ فَآمَنّا بِهِ ۖ وَلَن نُشرِكَ بِرَبِّنا أَحَدًا

“ ‘that guides to the way to find the right direction, and thus we believed in it, and we shall not associate anyone with our lord,

বিস্ময়কর কোরআনঃ “ ‘যা সঠিক পথের দিকে পরিচালিত করে, এবং তাই আমরা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করলাম এবং আমরা আমাদের পালনকর্তার সাথে কাউকে শরীক করবো না,

মুহিউদ্দীন খানঃ যা সৎপথ প্রদর্শন করে। ফলে আমরা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমরা কখনও আমাদের পালনকর্তার সাথে কাউকে শরীক করব না।

3

وَأَنَّهُ تَعالىٰ جَدُّ رَبِّنا مَا اتَّخَذَ صاحِبَةً وَلا وَلَدًا

“ ‘and that he – exalted be our lord’s majesty! – has designated neither a consort nor a son as a representative for himself,

বিস্ময়কর কোরআনঃ “ ‘এবং তিনি আমাদের পালনকর্তা, যার মহিমা সবচেয়ে উচু! – নিজের জন্য একজন প্রতিনিধি হিসাবে কোনও সঙ্গিনী বা পুত্রকে মনোনীত করেননি,

মুহিউদ্দীন খানঃ এবং আরও বিশ্বাস করি যে, আমাদের পালনকর্তার মহান মর্যাদা সবার উর্ধ্বে। তিনি কোন পত্নী গ্রহণ করেননি এবং তাঁর কোন সন্তান নেই।

4

وَأَنَّهُ كانَ يَقولُ سَفيهُنا عَلَى اللَّهِ شَطَطًا

“ ‘and that the foolish among us used to make misleading claims about Allahh,

বিস্ময়কর কোরআনঃ “ ‘এবং আমাদের মধ্যে মূর্খরা আল্লাহ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর দাবি করত,

মুহিউদ্দীন খানঃ আমাদের মধ্যে নির্বোধেরা আল্লাহ তা’আলা সম্পর্কে বাড়াবাড়ির কথাবার্তা বলত।

5

وَأَنّا ظَنَنّا أَن لَن تَقولَ الإِنسُ وَالجِنُّ عَلَى اللَّهِ كَذِبًا

“ ‘and that we had believed (wrongly) that the Inss (the designated people who are directly guidable) and the Jinn (the people who adopted Iblees’s ways) would never say lies about Allahh,

বিস্ময়কর কোরআনঃ “ ‘এবং আমরা (ভুলভাবে) বিশ্বাস করতাম যে ইনস (প্রত্যক্ষভাবে নির্দেশযোগ্য ব্যক্তি) এবং জিন (যারা ইবলীসের পথ অবলম্বন করে) আল্লাহ সম্পর্কে কখনও মিথ্যা বলবে না,

মুহিউদ্দীন খানঃ অথচ আমরা মনে করতাম, মানুষ ও জিন কখনও আল্লাহ তা’আলা সম্পর্কে মিথ্যা বলতে পারে না।

6

وَأَنَّهُ كانَ رِجالٌ مِنَ الإِنسِ يَعوذونَ بِرِجالٍ مِنَ الجِنِّ فَزادوهُم رَهَقًا

“ ‘and that there were people from Inss who would seek refuge in people from Jinn, but they only increased them in vileness,

বিস্ময়কর কোরআনঃ “ ‘এবং ইনস থেকে এমন কিছু মানুষ ছিল যারা জিনের থেকে কিছু মানুষের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতো, কিন্তু তারা কেবল তাদের নিকৃষ্টতা বাড়িয়ে দিয়েছিলো,

মুহিউদ্দীন খানঃ অনেক মানুষ অনেক জিনের আশ্রয় নিত, ফলে তারা জিনদের আত্নম্ভরিতা বাড়িয়ে দিত।

7

وَأَنَّهُم ظَنّوا كَما ظَنَنتُم أَن لَن يَبعَثَ اللَّهُ أَحَدًا

“ ‘and that they (the Inss and the Jinn) had believed (wrongly), as you had believed (wrongly), that Allahh would not raise any more (messengers),

বিস্ময়কর কোরআনঃ “ ‘এবং তারা (ইনস এবং জিন) (ভুলভাবে) বিশ্বাস করেছিলো, যেমন তোমরা (ভুলভাবে) বিশ্বাস করেছিলে, যে আল্লাহ আর কোনো (রাসূল) উন্নীত করবেন না,

মুহিউদ্দীন খানঃ তারা ধারণা করত, যেমন তোমরা মানবেরা ধারণা কর যে, মৃত্যুর পর আল্লাহ তা’আলা কখনও কাউকে পুনরুত্থিত করবেন না।

8

وَأَنّا لَمَسنَا السَّماءَ فَوَجَدناها مُلِئَت حَرَسًا شَديدًا وَشُهُبًا

“ ‘and that we sought a touch of understanding, but found it filled with stern guards and confusing mix of colors (of interpretations),

বিস্ময়কর কোরআনঃ “ ‘এবং যে আমরা উপলব্ধির একটি স্পর্শ চেয়েছিলাম, কিন্তু এটি কঠোর প্রহরী এবং রঙের বিভ্রান্তিকর মিশ্রণে (ব্যাখ্যায়) ভরা,

মুহিউদ্দীন খানঃ আমরা আকাশ পর্যবেক্ষণ করছি, অতঃপর দেখতে পেয়েছি যে, কঠোর প্রহরী ও উল্কাপিন্ড দ্বারা আকাশ পরিপূর্ণ।

9

وَأَنّا كُنّا نَقعُدُ مِنها مَقاعِدَ لِلسَّمعِ ۖ فَمَن يَستَمِعِ الآنَ يَجِد لَهُ شِهابًا رَصَدًا

“ ‘and that we used to take up positions for hearing (any understanding), but
whoever attempts to hear now, he finds only confusing colors of understanding awaiting him,

বিস্ময়কর কোরআনঃ “ ‘এবং যে আমরা শ্রবণের (যে কোনও উপলব্ধির) জন্য অবস্থান গ্রহণ করতাম, কিন্তু যে কেউ এখন শোনার চেষ্টা করে, সে খুজে পায় কেবল বোঝার বিভ্রান্তিকর রঙগুলি যা তার জন্য অপেক্ষা করছে,

মুহিউদ্দীন খানঃ আমরা আকাশের বিভিন্ন ঘাঁটিতে সংবাদ শ্রবণার্থে বসতাম। এখন কেউ সংবাদ শুনতে চাইলে সে জলন্ত উল্কাপিন্ড ওঁৎ পেতে থাকতে দেখে।

10

وَأَنّا لا نَدري أَشَرٌّ أُريدَ بِمَن فِي الأَرضِ أَم أَرادَ بِهِم رَبُّهُم رَشَدًا

“ ‘and that we know not whether evil is intended for those engaging the scripture, or if their lord intends for them to find a way to the right direction,

বিস্ময়কর কোরআনঃ “ ‘এবং আমরা জানি না যে যারা কিতাবে জড়িত তাদের জন্য মন্দ উদ্দেশ্য কি না, অথবা তাদের প্রভু তাদের জন্য সঠিক পথের দিক খুঁজে দিতে চান,

মুহিউদ্দীন খানঃ আমরা জানি না পৃথিবীবাসীদের অমঙ্গল সাধন করা অভীষ্ট, না তাদের পালনকর্তা তাদের মঙ্গল সাধন করার ইচ্ছা রাখেন।

11

وَأَنّا مِنَّا الصّالِحونَ وَمِنّا دونَ ذٰلِكَ ۖ كُنّا طَرائِقَ قِدَدًا

“ ‘and that (we believed wrongly that) among us were some who work the correct terminology, but some were short of that: We were divergent paths,

বিস্ময়কর কোরআনঃ এবং (আমরা ভুলভাবে বিশ্বাস করেছিলাম যে) আমাদের মধ্যে কেউ কেউ ছিল যারা সঠিক পরিভাষায় কাজ করে, কিন্তু কেউ কেউ এর থেকে কম ছিলো: আমরা ভিন্ন পথে ছিলাম,

মুহিউদ্দীন খানঃ আমাদের কেউ কেউ সৎকর্মপরায়ণ এবং কেউ কেউ এরূপ নয়। আমরা ছিলাম বিভিন্ন পথে বিভক্ত।

12

وَأَنّا ظَنَنّا أَن لَن نُعجِزَ اللَّهَ فِي الأَرضِ وَلَن نُعجِزَهُ هَرَبًا

“ ‘and that (we believed that we would never frustrate Allahh in the scripture, and that we would never frustrate him by escaping (from our obvious state of misguidance),

বিস্ময়কর কোরআনঃ এবং আমরা বিশ্বাস করতাম যে, কিতাবে আমরা আল্লাহকে কখনও নিরাশ করবো না এবং আমরা কখনও (আমাদের সুস্পষ্ট পথভ্রষ্টতা থেকে) পলায়নের মাধ্যমে তাকে নিরাশ করবো না।

মুহিউদ্দীন খানঃ আমরা বুঝতে পেরেছি যে, আমরা পৃথিবীতে আল্লাহ তা’আলাকে পরাস্ত করতে পারব না এবং পলায়ন করেও তাকে অপারক করত পরব না।

13

وَأَنّا لَمّا سَمِعنَا الهُدىٰ آمَنّا بِهِ ۖ فَمَن يُؤمِن بِرَبِّهِ فَلا يَخافُ بَخسًا وَلا رَهَقًا

“ ‘and that when we heard the guidance (i.e., the QurꜤān), we believed in it, for, whoever believes in it, he shall fear neither being short-changed nor vileness,

বিস্ময়কর কোরআনঃ এবং যখন আমরা হেদায়েত (অর্থাৎ কোরআন) শুনেছিলাম, তখন আমরা এতে বিশ্বাস করেছিলাম, কারণ যে কেউ এতে বিশ্বাস করে, সে কোন লোকসান বা নিকৃষ্টতার আশংকা করবে না।

মুহিউদ্দীন খানঃ আমরা যখন সুপথের নির্দেশ শুনলাম, তখন তাতে বিশ্বাস স্থাপন করলাম। অতএব, যে তার পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস করে, সে লোকসান ও জোর-জবরের আশংকা করে না।

14

وَأَنّا مِنَّا المُسلِمونَ وَمِنَّا القاسِطونَ ۖ فَمَن أَسلَمَ فَأُولٰئِكَ تَحَرَّوا رَشَدًا

“ ‘and that among us (now) are some who accepted Islam, and some who are inequitable; but those who accepted Islam, then those have sought the way of the right direction.’

বিস্ময়কর কোরআনঃ এবং আমাদের মধ্যে (এখন) কেউ কেউ ইসলাম গ্রহণ করেছে এবং কেউ কেউ ন্যায়পরতাহীন। কিন্তু যারা ইসলাম গ্রহণ করেছে, তারাই সঠিক পথের সন্ধান করেছে।”

মুহিউদ্দীন খানঃ আমাদের কিছুসংখ্যক আজ্ঞাবহ এবং কিছুসংখ্যক অন্যায়কারী। যারা আজ্ঞাবহ হয়, তারা সৎপথ বেছে নিয়েছে।

15

وَأَمَّا القاسِطونَ فَكانوا لِجَهَنَّمَ حَطَبًا

(continue saying, O Muḥammad!:) “and as for those who are inequitable, they have been designated as fueling Jahannam,

বিস্ময়কর কোরআনঃ (ও মোহাম্মদঃ) এবং যারা ন্যায়পরতাহীন, তাদের জাহান্নামের ইন্ধনদাতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে,

মুহিউদ্দীন খানঃ আর যারা অন্যায়কারী, তারা তো জাহান্নামের ইন্ধন।

16

وَأَن لَوِ استَقاموا عَلَى الطَّريقَةِ لَأَسقَيناهُم ماءً غَدَقًا

“and that, had they persisted on their (originally correct) path, we (Allahh) would have quenched them abundantly with (divine) water (i.e., provided them with the divine guidance),

বিস্ময়কর কোরআনঃ এবং যদি তারা তাদের (আসল সঠিক) পথে অটল থাকতো, তাহলে আমরা তাদেরকে প্রচুর পরিমাণে (পবিত্র) পানি দিয়ে (অর্থাৎ তাদেরকে পবিত্র নির্দেশনা প্রদান করে) তৃপ্ত করতাম,

মুহিউদ্দীন খানঃ আর এই প্রত্যাদেশ করা হয়েছে যে, তারা যদি সত্যপথে কায়েম থাকত, তবে আমি তাদেরকে প্রচুর পানি বর্ষণে সিক্ত করতাম।

17

لِنَفتِنَهُم فيهِ ۚ وَمَن يُعرِض عَن ذِكرِ رَبِّهِ يَسلُكهُ عَذابًا صَعَدًا

“so that we may purge them (of the misguidance) with it (i.e., the divine water); and whoever disregard the Zikr of his lord, he will put him into a rigorous punishment,

বিস্ময়কর কোরআনঃ যাতে আমরা এর (অর্থাৎ, পবিত্র পানি) দ্বারা তাদের (পথভ্রষ্টতা থেকে) মুক্ত করতে পারি; আর যে ব্যক্তি তার রবের যিকিরকে অবজ্ঞা করবে, তিনি তাকে কঠোর শাস্তির মধ্যে নিক্ষেপ করবেন,

মুহিউদ্দীন খানঃ যাতে এ ব্যাপারে তাদেরকে পরীক্ষা করি। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তিনি তাকে উদীয়মান আযাবে পরিচালিত করবেন।

18

وَأَنَّ المَساجِدَ لِلَّهِ فَلا تَدعوا مَعَ اللَّهِ أَحَدًا

“and that the occasions for prostrating in submission must be dedicated to Allahh: Call not upon, therefore, anyone with Allahh,

বিস্ময়কর কোরআনঃ এবং আত্নসমর্পণে সিজদা করার উপলক্ষসমূহ অবশ্যই আল্লাহর প্রতি উৎসর্গীকৃত হতে হবে: অতএব, আল্লাহর সাথে কাউকে আহবান কোরো না।

মুহিউদ্দীন খানঃ এবং এই ওহীও করা হয়েছে যে, মসজিদসমূহ আল্লাহ তা’আলাকে স্মরণ করার জন্য। অতএব, তোমরা আল্লাহ তা’আলার সাথে কাউকে ডেকো না।

19

وَأَنَّهُ لَمّا قامَ عَبدُ اللَّهِ يَدعوهُ كادوا يَكونونَ عَلَيهِ لِبَدًا

“and when the seeker of Allahh stood (still) supplicating to him (Allahh), they almost stifled him in masses.”

বিস্ময়কর কোরআনঃ এবং যখন আল্লাহর অন্বেষণকারী দাঁড়িয়ে (স্থির) তাঁর (আল্লাহর) কাছে প্রার্থনা করতে থাকে, তখন তারা অনেকে তাকে প্রায় স্তব্ধ করে দেয়।

মুহিউদ্দীন খানঃ আর যখন আল্লাহ তা’আলার বান্দা তাঁকে ডাকার জন্যে দন্ডায়মান হল, তখন অনেক জিন তার কাছে ভিড় জমাল।

20

قُل إِنَّما أَدعو رَبّي وَلا أُشرِكُ بِهِ أَحَدًا

Say (O Muḥammad): “I call but upon my lord, and I do not associate with him anyone.”

বিস্ময়কর কোরআনঃ (ও মুহাম্মাদ) বলো, আমি আমার প্রতিপালককে ডাকি এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করি না।

মুহিউদ্দীন খানঃ বলুনঃ আমি তো আমার পালনকর্তাকেই ডাকি এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করি না।

21

قُل إِنّي لا أَملِكُ لَكُم ضَرًّا وَلا رَشَدًا

Say (O Muḥammad): “I have control over you neither for harm nor the way to the right direction.”

বিস্ময়কর কোরআনঃ (ও মুহাম্মাদ) বলো, “তোমাদের উপর কোন ক্ষতি বা সঠিক পথের আনার ব্যাপারে তোমাদের উপর আমার কোন নিয়ন্ত্রন নেই।”

মুহিউদ্দীন খানঃ বলুনঃ আমি তোমাদের ক্ষতি সাধন করার ও সুপথে আনয়ন করার মালিক নই।

22

قُل إِنّي لَن يُجيرَني مِنَ اللَّهِ أَحَدٌ وَلَن أَجِدَ مِن دونِهِ مُلتَحَدًا

Say (O Muḥammad): “Indeed, no one will protect me besides Allahh, and I shall never go seeking a provider of deviant linguistic indications as an intermediary between me and him,

বিস্ময়কর কোরআনঃ (ও মুহাম্মাদ) বল: “নিশ্চয়ই, আল্লাহ ছাড়া কেউ আমাকে রক্ষা করবে না, এবং আমি কখনই আমার এবং তার মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে বিচ্যুত ভাষাগত ইঙ্গিত প্রদানকারীর সন্ধান করব না,

মুহিউদ্দীন খানঃ বলুনঃ আল্লাহ তা’আলার কবল থেকে আমাকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না এবং তিনি ব্যতীত আমি কোন আশ্রয়স্থল পাব না।

23

إِلّا بَلاغًا مِنَ اللَّهِ وَرِسالاتِهِ ۚ وَمَن يَعصِ اللَّهَ وَرَسولَهُ فَإِنَّ لَهُ نارَ جَهَنَّمَ خالِدينَ فيها أَبَدًا

“except to deliver, as required by Allahh and his messages; and whoever disobeys
Allahh and his messenger: To him is the dimly lit illumination of man-made fire that belongs to Jahannam, dwelling therein forever.”

বিস্ময়কর কোরআনঃ “আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন বিতরণকারী এবং তার বার্তাগুলো ছাড়া; আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করে, তার কাছে মানবসৃষ্ট আগুনের ম্লান আলো, যা জাহান্নামের, সেখানে চিরকাল থাকবে।”

মুহিউদ্দীন খানঃ কিন্তু আল্লাহ তা’আলার বাণী পৌছানো ও তাঁর পয়গাম প্রচার করাই আমার কাজ। যে আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে অমান্য করে, তার জন্যে রয়েছে জাহান্নামের অগ্নি। তথায় তারা চিরকাল থাকবে।

24

حَتّىٰ إِذا رَأَوا ما يوعَدونَ فَسَيَعلَمونَ مَن أَضعَفُ ناصِرًا وَأَقَلُّ عَدَدًا

(Say to them all the above) Until they see what they are promised, and then they shall know with certainty who is the weaker supporter, and fewer in count.

বিস্ময়কর কোরআনঃ (তাদেরকে উপরের সকলকিছু বলো) যতক্ষণ না তারা দেখতে পায় যা তাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে এবং তারপর তারা নিশ্চিতভাবে জানতে পারবে কে দুর্বল সমর্থনকারী এবং সংখ্যায় কম।

মুহিউদ্দীন খানঃ এমনকি যখন তারা প্রতিশ্রুত শাস্তি দেখতে পাবে, তখন তারা জানতে পারবে, কার সাহায্যকারী দূর্বল এবং কার সংখ্যা কম।

25

قُل إِن أَدري أَقَريبٌ ما توعَدونَ أَم يَجعَلُ لَهُ رَبّي أَمَدًا

Say: “I know not with certainty whether what you are promised is near or whether my lord will extend its appointed time.”

বিস্ময়কর কোরআনঃ বলোঃ আমি নিশ্চিতভাবে জানি না যে, তোমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তা নিকটবর্তী নাকি আমার রব এর নির্ধারিত সময় বাড়িয়ে দেবেন।

মুহিউদ্দীন খানঃ বলুনঃ আমি জানি না তোমাদের প্রতিশ্রুত বিষয় আসন্ন না আমার পালনকর্তা এর জন্যে কোন মেয়াদ স্থির করে রেখেছেন।

26

عالِمُ الغَيبِ فَلا يُظهِرُ عَلىٰ غَيبِهِ أَحَدًا

(Allahh is) The custodian of undisclosed knowledge, and thus, he does not reveal his undisclosed knowledge to anyone,

বিস্ময়কর কোরআনঃ (আল্লাহ) অপ্রকাশিত জ্ঞানের রক্ষক, এবং তিনি তার অপ্রকাশিত জ্ঞান কারো কাছে প্রকাশ করেন না,

মুহিউদ্দীন খানঃ তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানী। পরন্ত তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না।ন।

27

إِلّا مَنِ ارتَضىٰ مِن رَسولٍ فَإِنَّهُ يَسلُكُ مِن بَينِ يَدَيهِ وَمِن خَلفِهِ رَصَدًا

Except to a messenger that he chooses, and then he (Allahh) assigns monitors to safeguard his path forward and guards to preserve his achievements,

বিস্ময়কর কোরআনঃ একজন রাসূল ব্যতীত যাকে তিনি বেছে নেন, অতঃপর তিনি (আল্লাহ) তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত করেন তার পথ রক্ষা করতে এবং তার অর্জন রক্ষা করার জন্য পাহারা দিতে।

মুহিউদ্দীন খানঃ তাঁর মনোনীত রসূল ব্যতীত। তখন তিনি তার অগ্রে ও পশ্চাতে প্রহরী নিযুক্ত করেন

28

لِيَعلَمَ أَن قَد أَبلَغوا رِسالاتِ رَبِّهِم وَأَحاطَ بِما لَدَيهِم وَأَحصىٰ كُلَّ شَيءٍ عَدَدًا

For Allahh to establish the evidence that such messengers have delivered the messages from their lord, and Allahh has full knowledge about them, and Allahh has accounted for all ayas (both in the QurꜤān and in the universe) with (laws of) mathematics.

বিস্ময়কর কোরআনঃ আল্লাহ্ র জন্য এই ধরণের প্রমাণ স্থাপন করা যে, রাসূলগণ তাদের প্রভুর কাছ থেকে বাণীসমূহ পৌঁছে দিয়েছেন, এবং আল্লাহ তাদের সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান রাখেন, এবং আল্লাহ গণিতের (আইন) দ্বারা সমস্ত আয়াতের (কোরআন এবং মহাবিশ্ব উভয়ের) হিসাব রেখেছেন।

মুহিউদ্দীন খানঃ যাতে আল্লাহ তা’আলা জেনে নেন যে, রসূলগণ তাঁদের পালনকর্তার পয়গাম পৌছিয়েছেন কি না। রসূলগণের কাছে যা আছে, তা তাঁর জ্ঞান-গোচর। তিনি সবকিছুর সংখ্যার হিসাব রাখেন।

নংসূরার নামমোট আয়াতঅনুবাদ করা হয়েছে
1আল- ফাতিহা77
2আল-বাকারা28664
3আল-ইমরান20056
4নিসা17632
5আল-মায়িদাহ12035
6আল-আনাম16535
7আল-আরাফ20662
8আল-আনফাল7511
9আত-তাওবাহ1298
10ইউনুস10925
11হুদ12325
12ইউসুফ111111
13আর-রাদ4310
14ইবরাহীম526
15আল-হিজর9918
16আন-নাহল12838
17বনি ইসরাইল11129
18আল-কাহফ11074
19মারিয়াম9853
20ত্বা হা13539
21আল-আম্বিয়া11239
22আল-হাজ্ব7811
23আল-মুমিনুন11832
24আন-নূর646
25আল-ফুরকান7744
26আশ-শুআরা22735
27আন-নমল9356
28আল-কাসাস8828
29আল-আনকাবুত6914
30আল-রুম6034
31লুকমান3424
32আস-সাজদাহ309
33আল-আহযাব7335
34আস-সাবা547
35আল-ফাতির4510
36ইয়া সিন8383
37আস-সাফফাত18252
38সোয়াদ8839
39আয-যুমার7533
40আল-মুমিন8520
41ফুসসিলাত5420
42আশ-শূরা539
43আয-যুখরুফ8935
44আদ-দুখান5919
45আল-জাসিয়াহ3712
46আল-আহকাফ3517
47মুহাম্মদ3813
48আল-ফাতহ299
49আল-হুজুরাত184
50ক্বাফ4524
51আয-যারিয়াত6017
52আত-তুর493
53আন-নাজম6262
54আল-ক্বমর5519
55আর-রাহমান7878
56আল-ওয়াকিয়াহ9696
57আল-হাদিদ297
58আল-মুজাদিলাহ222
59আল-হাশর243
60আল-মুমতাহানা132
61আস-সাফ146
62আল-জুমুআহ115
63আল-মুনাফিকুন111
64আত-তাগাবুন182
65আত-ত্বালাক121
66আত-তাহরীম126
67আল-মুলক308
68আল-ক্বলম528
69আল-হাক্ক্বাহ5219
70আল-মাআরিজ444
71নূহ286
72আল-জ্বিন2828
73মুযাম্মিল202
74মুদাসসির561
75আল-কিয়ামাহ4023
76আল-ইনসান3131
77আল-মুরসালাত5050
78আন-নাবা4040
79আন-নাযিয়াত463
80আবাসা4242
81আত-তাকবির2929
82আল-ইনফিতার1919
83আত-তাতফিক367
84আল-ইনশিকাক2525
85আল-বুরুজ222
86আত-তারিক1717
87আল-আলা190
88আল-গাশিয়াহ261
89আল-ফজর304
90আল-বালাদ207
91আশ-শামস1515
92আল-লাইল210
93আদ-দুহা111
94আল-ইনশিরাহ88
95আত-তীন81
96আল-আলাক1919
97আল-ক্বাদর55
98আল-বাইয়িনাহ83
99আল-যিলযাল88
100আল-আদিয়াত1111
101আল-কারিয়াহ110
102আত-তাকাছুর88
103আল-আসর30
104আল-হুমাযাহ99
105ফীল55
106আল-কুরাইশ41
107আল-মাউন70
108আল-কাওসার30
109আল-কাফিরুন60
110আন-নাসর30
111লাহাব55
112আল-ইখলাস40
113আল-ফালাক55
114আন-নাস66
  62362307