বিস্ময়কর কোরআন

জাহান্নাম

যদি ধরে নিই… ‘জাহান্নাম’ আসলে পাপীদের এক স্তূপ, যারা আমাদের জীবদ্দশাতেই ক্বারীন রূপে আমাদের কাছে ফিরে আসে?

Indeed, those who rejected spend their wealth to block (people) from the way of Allahh. So, they will spend it; then it will be against them a (cause of) regret, and then they will be defeated. And those who have rejected -they will be gathered to (participate in) ‘Jahannam’. (8:36)

নিঃসন্দেহে, যারা প্রত্যাখ্যান করেছে, তারা আল্লাহর পথে মানুষকে বাধা দেওয়ার জন্য নিজেদের সম্পদ ব্যয় করে। সুতরাং, তারা তা ব্যয় করবেই; অতঃপর তা তাদের জন্য হয়ে উঠবে অনুতাপের কারণ, আর পরবর্তীতে তারা পরাজিত হবে। এবং যারা প্রত্যাখ্যান করেছে—তাদেরকে জাহান্নামে (অংশগ্রহণের জন্য) একত্র করা হবে। (8:36)

(This is) so that Allahh provides a distinction between the wicked and the volitional seekers, and place the wicked some atop others, and heap them all together, and remand them into ‘Jahannam’. Those are the losers. (8:37)
 
(এটি) এজন্য যে আল্লাহ্‌ পাপীদের ও স্বেচ্ছাপ্রণোদিত অনুসন্ধানকারীদের মধ্যে পার্থক্য স্থাপন করেন, এবং পাপীদের এককে অপরের উপর স্থাপন করেন, তাদের সকলকে স্তূপীকৃত করেন, এবং জাহান্নামে প্রেরণ করেন। তারাই হচ্ছে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত। (8:37)

কোরআনের কিছু পাঠকদের জন্য জাহান্নাম:

Allahh has promised the hypocrites, men and women, and the rejecters (to be remanded into) the ‘fire’ of ‘Jahannam’, persistently in a daze therein: It’s all they get, and Allahh has cursed them, and to them is a reforming punishment of separation. (9:68)

আল্লাহ্ মুনাফিক পুরুষ ও নারী এবং প্রত্যাখ্যানকারীদেরকে জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যেখানে তারা অবিরতভাবে তন্দ্রাচ্ছন্নতায় বিভ্রান্ত অবস্থায় থাকবে— সেটাই তাদের প্রাপ্য। আল্লাহ্ তাদের প্রতি লানত করেছেন, আর তাদের জন্য রয়েছে সংশোধিত বিচ্ছিন্নতার শাস্তি। (9:68)

Like those before you: they were stronger than you in power and more abundant in wealth and children, and thus, they sought delays in their creations, and you (the readers of the Quran) sought delays in your creations as those before you sought delays in their creations, and you indulged in matters without evidence-based knowledge like the matters they engaged without evidence-based knowledge. Those, their deeds have perished in this world and in the delayed, diligent understanding, and they are the losers. (9:69)

তোমাদের পূর্ববর্তীদের মতো: তারা তোমাদের চেয়ে শক্তিতে বলীয়ান ছিল এবং সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে অধিক প্রাচুর্যময় ছিল, এবং এভাবে, তারা তাদের সৃষ্টিতে কালক্ষেপ করতে চেয়েছিল, আর তোমরা (কোরআনের পাঠকরা) তোমাদের সৃষ্টিতে কালক্ষেপ করতে চেয়েছ যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীরা তাদের সৃষ্টিতে কালক্ষেপ করতে চেয়েছিল, এবং তোমরা প্রমাণভিত্তিক জ্ঞান ছাড়াই বিষয়গুলিতে মগ্ন হয়েছ যেমন তারা প্রমাণভিত্তিক জ্ঞান ছাড়াই বিষয়গুলিতে জড়িত হয়েছিল। তাদের কর্ম এই দুনিয়াতে এবং দীর্ঘ সময় নিয়ে করা পরিশ্রমী বোঝাপড়ায় বিনষ্ট হয়েছে, এবং তারাই ক্ষতিগ্রস্ত। (9:69)

পূর্বের সম্প্রদায় থেকে:

And for every community is a (due) term. And thus, when their term comes due, they cannot delay a ‘SāƐah’ (a group of irrigators) nor will they hasten (it). (7:34)

আর প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য একটি (নির্ধারিত) সময়সীমা রয়েছে। সুতরাং, যখন তাদের সময় পূর্ণ হয়, তখন তারা ‘সাআ’ (সেচকারীদের একটি দল) কে দেরি করাতে পারে না এবং (এটিকে) ত্বরান্বিতও করতে পারে না। (7:34)

O followers of ādam, if there come to you emissaries from within you1, narrating upon you (fragments of stories with) my signs, then whoever is disciplined (in engaging the scripture) and applies the divine lexicon, no fear shall befall them, nor shall they grieve.  (7:35)

হে আদমের অনুসারীগণ! যদি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের নিকটে আমার দূতরা আসে—যারা তোমাদের নিকটে আমার আয়াতসমূহ (দিয়ে গল্পের টুকরোগুলি) বর্ণনা করে—তবে যারা নিয়মানুবর্তিতার সাথে (কিতাবে) অনুসন্ধান করবে এবং আল্লাহ্‌র নির্ধারিত শব্দভাণ্ডার প্রয়োগ করবে, তাদের ওপর না কোনো ভয় আসবে, আর না তারা দুঃখিত হবে। (7:35)

But the ones who belie our signs and are conceited in neglecting them – those are the companions of the ‘fire’ (i.e., the man-made, dimly lit illumination): They are upon it as they daze. (7:36)

আর যারা আমার আয়াতসমূহে মিথ্যারোপ এবং গর্বভরে সেগুলোকে উপেক্ষা করে—তারা হল ‘আগুনের’ (অর্থাৎ, মানুষের তৈরি, ম্লান আলোর) সাথী। তার মধ্যেই তারা তাদের তন্দ্রাচ্ছন্নতায়। (7:36)

Who, then, is more of a transgressor than someone who concocts lies about Allahh, or who belies his signs. Those people will be subjected to their due share of the (warnings and punishments mentioned in the) scripture, until when our emissaries come (feminine) for them, to remunerate (masculine) them, they say: “Where are the ones you used to invite as intermediaries between you and Allahh?” They reply: “They have gone astray from us!” And they testified against themselves that they were rejecters. (7:37)

তাহলে, আল্লাহ্‌র সম্পর্কে মিথ্যা উদ্ভাবনকারী বা তাঁর আয়াতসমূহে মিথ্যারোপকারীর চেয়ে বড় পাপী আর কে? তারা কিতাবে (উল্লেখিত সতর্কতা এবং শাস্তির) তাদের প্রাপ্য অংশ ভোগ করবে, যতক্ষণ না আমাদের দূতগণ তাদের কাছে আসবে তাদের প্রতিদান দিতে, তারা বলবে: “যাদেরকে তোমরা আল্লাহ্‌ ও তোমাদের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ডাকতে, তারা কোথায়?” তারা উত্তর দেয়: “তারা আমাদের থেকে পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে!” এবং তারা নিজেদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে যে তারা প্রত্যাখ্যানকারী ছিল। (7:37)

He (Allahh) said: “Enter you all, in the (same) way of many ‘Jinn’ and ‘Inss’ communities before you, in the ‘fire’ (i.e., the man-made, dimly lit illumination): Every time a community enters (another community) it curses its sister, until, at last, when they all successively are made aware of each other in it (i.e., in the curse), the last (cursed community) of them says about the first of them: “Our Lord! These are the ones who misled us, and thus, suffer them a punishment that is a multiple (exposure) to the ‘fire’!” He (Allahh) replies: “To each is a multiple, but you (the last cursed community) just do not have evidence-based knowledge! (7:38)

তিনি (আল্লাহ) বললেন: “তোমরা সবাই প্রবেশ করো, যেমন পূর্ববর্তী অনেক ‘জিন’ ও ‘ইনস’ সম্প্রদায় প্রবেশ করেছিল ‘আগুন’ এ (অর্থাৎ, মানুষের তৈরি, অন্ধকারে ম্লান আলোতে): প্রতি বার একটি সম্প্রদায় প্রবেশ করে (অন্য একটি সম্প্রদায়ে) অভিশাপ দেয় সাথেরটিকে, যতক্ষণ না, অবশেষে, তাদের একে অপরকে এতে (অর্থাৎ, অভিশাপে) পর্যায়ক্রমে পরস্পর সম্পর্কে সজাগ করা হয়, তখন তাদের শেষ (অভিশপ্ত সম্প্রদায়) প্রথম সম্পর্কে বলে: ‘আমাদের প্রভু! এরা আমাদের বিভ্রান্ত করেছে, অতএব, তাদের উপর এমন শাস্তি প্রদান করুন যা ‘আগুনে’ একাধিক (সংস্পর্শ)!’ তিনি (আল্লাহ) বলেন: ‘তোমাদের মধ্যে প্রত্যেকের জন্য একাধিক, কিন্তু তোমরা (শেষ অভিশপ্ত সম্প্রদায়) শুধু প্রমাণ ভিত্তিক জ্ঞান রাখো না! (7:38)

আল্লাহ তাদের হুকুম দেন: “তোমরা সকলে প্রবেশ করো”—অর্থাৎ, আগের যেসব সম্প্রদায় তোমাদের আগে এসেছে, তাদেরই পরিণতির মধ্যে প্রবেশ করো—অগ্নিতে, এক মানবসৃষ্ট, ম্লান আলোয় মোড়ানো বিভ্রান্তির জগতে। কেন? কারণ তারা নিজেরাই নির্মাণ করেছিল ভ্রান্ত কাঠামো, প্রমাণভিত্তিক জ্ঞান ও আসমানী নির্দেশনা থেকে বিচ্যুত হয়ে।

আখ্যানটি এগিয়ে চলে: প্রতিবার কোনো একটি সম্প্রদায় প্রবেশ করে, তার সাথে প্রবেশ করে আরেকটি ‘সাথি সম্প্রদায়’, যাকে বলা হয়েছে তাদের ‘ক্বারীন’—অর্থাৎ, তাদের একত্রিত, অবিচ্ছিন্ন সঙ্গী। প্রবেশের সময় একে অপরকে অভিশাপ দেয় তারা।

এই পারস্পরিক অভিশাপের আদান-প্রদান ক্রমশ তীব্র হয়, যতক্ষণ না সব সম্প্রদায়, একে একে, এই অভিশাপের মধ্যে একে অপরকে সম্পূর্ণরূপে চিনে ফেলে। এখানে “এতে” বলতে বোঝানো হয়েছে এই পারস্পরিক অভিশাপ—এই সমষ্টিগত দোষারোপ।

কুরআন এখানে ‘ক্বারীন’ ধারণাটিকে একটি সামষ্টিক ব্যাখ্যার মাধ্যমে উপস্থাপন করছে। এই শাপগ্রস্ত চূড়ান্ত সম্প্রদায়টি বলছে পূর্ববর্তী প্রজন্ম সম্পর্কে:

“আমাদের প্রভু! এরা আমাদের বিভ্রান্ত করেছে, অতএব, তাদের উপর এমন শাস্তি প্রদান করুন যা ‘আগুনে’ একাধিক (সংস্পর্শ)!”

এখানে পরবর্তী প্রজন্ম নিজেদের নির্দোষ দাবি করে পূর্ববর্তী প্রজন্মের উপর দোষ চাপাচ্ছে, এবং তাদের বিচ্যুতির অভিযোগ এনে তাদের জন্য একাধিক শাস্তির আবেদন করছে

কিন্তু আল্লাহ সুবিচার ও প্রজ্ঞার সাথে উত্তর দেন:

“প্রত্যেকের জন্য রয়েছে একাধিক…”

তিনি বলেননি, কিসের একাধিক। পাপীদের জন্য তা শাস্তির একাধিক; সৎদের জন্য তা পুরস্কারের একাধিক। এভাবে আয়াতটি তার ভাষাগত পরিসর সংরক্ষণ করে, যাতে উভয় ভাগ্যই অন্তর্ভুক্ত হয়।

এরপর আসে এক তিরস্কার:

“তোমরা…”—এই বলে তিনি সম্বোধন করেন সেই চূড়ান্ত শাপগ্রস্ত সম্প্রদায়কে যারা অভিযোগ করেছিল—“…তোমাদের কোনো প্রমাণভিত্তিক জ্ঞান নেই।”

তারা বক্তব্য দিচ্ছে অন্তর্দৃষ্টি ছাড়াই, কোন স্পষ্ট জ্ঞানতাত্ত্বিক ভিত্তি ছাড়াই; কেবল দোষারোপ করছে অথচ নিজেরাই সত্য ও নির্দেশনার মানদণ্ড পরিত্যাগ করেছে।

And the first ones (i.e., the messengers) says to their last: “Thus, you have no benediction that we owed you! And thus, taste the punishment (of separation) in accordance with what you used to earn!” (7:39)

আর প্রথমরা (অর্থাৎ, রাসূলগণ) তাদের শেষদের বলে: “তাই, তোমাদের কাছে কোনো অনুগ্রহ নেই—যা আমরা তোমাদের দিয়ে থাকি! সুতরাং, তোমরা যা অর্জন করতে অভ্যস্ত ছিলে সে অনুযায়ী (বিচ্ছিন্নতার) শাস্তি স্বাদ গ্রহণ করো!” (7:39)

প্রথমদের—অর্থাৎ রাসূল, তার ঘনিষ্ঠ সাহাবীগণ, সাক্ষীগণ, এবং মূল বার্তার প্রাথমিক গ্রহণকারীগণ—শেষদিকেরদেরকে বলেন:

“তোমাদের প্রতি আমাদের কোনো অনুগ্রহ (ফাদল) নেই।”

এখানে আমাদের মনোযোগ দেওয়া উচিত: ফাদল শব্দটি বোঝায় সেই অনুগ্রহ যা “তন্দ্রাচ্ছন্নতার মধ্যে” লাভ করা যায়—অর্থাৎ এই দুনিয়ার জীবনে। সুতরাং, এখানে আল্লাহ বলছেন এমন একদল মানুষের কথা, যারা পূর্ববর্তীদের অভিশাপ দিচ্ছে; আর পূর্ববর্তী দলটি জবাবে বলছে, “তোমাদের প্রতি আমাদের কোনো অনুগ্রহ নেই যা ‘তন্দ্রাচ্ছন্নতার মধ্যে’ তোমাদের প্রাপ্য ছিল।”

এর মানে, পুরো দৃশ্যপটটি এই দুনিয়ার জীবনের মধ্যেই ঘটছে। আমরা যে বিষয়ে বলছি, এটাই তা। সুতরাং, জাহান্নামের যে উল্লেখ আছে, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের একে অপরের মধ্যে প্রবেশ করার যে বর্ণনা আছে—সবই এই জীবনের মধ্যেই ঘটছে।

এখন, এগুলো কীভাবে কাজ করছে, ঠিকভাবে আমরা জানি না। আল্লাহ আমাদের কিছু বাস্তবতা, কিছু সত্য জানাচ্ছেন, যদিও সেই সত্যের “পদার্থবিদ্যা”—অর্থাৎ কার্যপ্রণালী বা প্রক্রিয়াগুলি—হয়ত আল্লাহ চাইলে আমরা পরে আবিষ্কার করতে পারি।

এখানে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—আল্লাহ নিশ্চিত করছেন যে, কিছু ভালো আছে এবং কিছু খারাপ আছে। আর ভালোরা বলছে:
“তোমাদের প্রতি আমাদের কোনো অনুগ্রহ (ফাদল) নেই কেন? কারণ, তোমরাই নিজের ইচ্ছায় পথভ্রষ্ট হয়েছো। আমাদের কোনো দায় নেই।”

এবং এখন আমরা শিখছি, যে ক্বারীনরা খারাপ, তারা আলাদা—ভালো ক্বারীনদের থেকে একেবারেই ভিন্ন।

Those who have belied our signs and have ignored them in conceit: The gateways of abstract understanding shall not be open to them, and they do not enter into ‘Jannah’ until the camel slips through the eye of the needle (or, alternatively, so that the overall understanding would be immersed through the poisonous contributions of the Qareens)2. And this (in the next few Ayat) is how we recompense the butchers of interpretation (those who corrupted the interpretation of scripture): (7:40)

যারা আমাদের আয়াতসমূহে মিথ্যারোপ করেছে এবং অহংকার করে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে—তাদের জন্য বিমূর্ত বোধগম্যতার দ্বার উন্মুক্ত হবে না। আর তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ না উট সূচের ছিদ্র দিয়ে প্রবেশ করে (বা অন্যভাবে, যাতে তাদের সামগ্রিক বোঝাপড়া ক্বারীনদের বিষাক্ত প্রভাবে নিমজ্জিত হয়ে যায়)। এবং এভাবেই (পরবর্তী কয়েকটি আয়াতে) আমরা প্রতিদান দেই তাফসিরের কসাইদেরকে (যারা আল্লাহর বাণীর অর্থ বিকৃত করেছে)। (7:40)

To them, are layers of ‘Jahannam’ upon which they rest, and above them are shrouds (of confusion). And this (in the next few Ayat) is how we recompense the transgressors. (7:41) 

তাদের জন্য আছে জাহান্নামের স্তর যার উপর তারা হেলান দেয়, এবং তাদের ঊর্ধ্বে রয়েছে বিভ্রান্তির চাদরসমূহ। আর এভাবেই (পরবর্তী কয়েকটি আয়াতে) আমরা প্রতিদান দিয়ে থাকি পাপীদেরকে।⁴ (7:41) 

পূর্ববর্তী আয়াতে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছিল যে বিভিন্ন ক্বারীন—অর্থাৎ ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত সঙ্গী—একে অপরের উপর স্তূপীকৃত হয়। বর্তমান আয়াতে যে বর্ণনা দেয়া হয়েছে, তা সম্ভবত সেই একই ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করছে—এবং এটিই সেই ধারণার দ্বিতীয় নিশ্চিতকরণ। অতএব, এখানে যে চিত্র ফুটে উঠছে তা হলো বিভ্রান্তি ও বিকৃতির স্তরসমূহে পূর্ণ ক্বারীনদের একটি স্তূপ, যেখানে আল্লাহর দিশাকে প্রত্যাখ্যানকারীরা যেন চাপা পড়ে থাকে।

এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ওঠে: এটি কি কেবল রূপক, রূপকাশ্রিত বা নাটকীয় ভাষা? এই স্তরভিত্তিক শাস্তিগুলি কি প্রতীকী, নাকি এগুলো বাস্তব কোনো কিছুকে নির্দেশ করে?

কুরআন কোনো দ্ব্যর্থতা রাখে না। এটি স্পষ্ট করে বলে যে এগুলো বাস্তব বর্ণনা—যেগুলো হয়তো আপাতত আমাদের ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জ্ঞানের বাইরে, কিন্তু কুরআনের অন্যান্য প্রকাশিত সত্যের মতোই তা প্রকৃত এবং নির্ভরযোগ্য।

এর পাশাপাশি, এই প্রত্যাখ্যানকারীদের উপর রয়েছে ভ্রান্তির পর্দা—যা স্পষ্টতা বা উপলব্ধিকে আরও বাধাগ্রস্ত করে এবং তাদের আল্লাহর আলো থেকে বিচ্ছিন্নতার আরেকটি মাত্রা যুক্ত করে।

But those who believed and toiled on the scripture (in accordance with the divine lexicon): We do not charge a person except (in accordance with) its capacity! Those are the companions of ‘Jannah’! Within it they daze! (7:42) 

কিন্তু যারা বিশ্বাস এনেছে এবং কিতাবের উপর মেহনত করেছে (পবিত্র শব্দকোষ অনুযায়ী): আমরা কোনো ব্যক্তিকে তার ক্ষমতার বাইরে কিছু চাপাই না! তারা হল ‘জান্নাতের’ সাথী! এর মধ্যে তারা তাদের তন্দ্রাচ্ছন্নতায়! (7:42) 

নিশ্চিতকরণ:
 
Thus, and for the excessive ones is an evil return: (38:55)
 
এভাবে, এবং পাপীদের জন্য রয়েছে মন্দ প্রত্যাবর্তন: (38:55)
 
‘Jahannam’ upon which they are seared, and then the most wretched of resting places. (38:56)
 
‘জাহান্নাম’ যেখানে তারা দগ্ধ হবে, এবং তারপর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিশ্রামস্থল। (38:56)
 

এই অবস্থা তাদের জন্য প্রযোজ্য, যারা মৃত্যুর পর ফিরে এসেছে, এবং আল্লাহ তাদেরকে ক্বারীন হিসেবে বর্ণনা করেছেন—পাপী সত্তা। তাদের প্রতিফল কী? সেটি হলো জাহান্নাম। এটি একেবারে সঙ্গতিপূর্ণ পূর্বের আলোচনার সাথে: যখন ক্বারীন সত্তাগুলো ফিরে আসে এবং একটির উপর আরেকটি স্তরীকৃত হয়, সেই স্তরীকরণ বাহ্যিকভাবে নয়, বরং ব্যক্তির ভিতরেই ঘটে।

এটি সংঘটিত হয় প্রতিটি সেই ব্যক্তির ভিতরে, যে এ ধরনের ক্বারীন প্রাপ্তির উপযুক্ত—সব মানুষের মধ্যে নয়, বরং শুধুমাত্র তাদের মধ্যে যারা সত্যিই এর উপযুক্ত। সেই ব্যক্তির ভিতরে একাধিক ক্বারীন অবস্থান করে, স্তরে স্তরে এবং সংযুক্তভাবে। সুতরাং, এখানে যে জাহান্নামের কথা বলা হয়েছে, তা অন্তর্গত—একটি ব্যক্তিগত শাস্তি, যেখানে একাধিক ক্বারীন তার নাফস এর ভিতরে স্তরীকৃতভাবে অবস্থান করছে।

Thus, and let them taste it among their intimate company and in (their increasingly) darkening excesses, (38:57)

সুতরাং, এবং তাদেরকে এটি আস্বাদন করতে দাও—তাদের অন্তরঙ্গ সঙ্গীদের মাঝে এবং (তাদের ক্রমাগত) ঘনীভূত হওয়া অন্ধকারাচ্ছন্ন সীমালঙ্ঘনে। (38:57)

And another (group) of the same type (with them) are the many (followers) paired (to them): (38:58)

আর (তাদের সঙ্গে) একই ধরণের আরেকটি (দল) রয়েছে—অনেক (অনুসারী)—যাদেরকে (তাদের সঙ্গে) জোড়া লাগানো হয়েছে: (38:58)

This (other group) is a troop (of defenders) rushing headlong (into rejection, following along) with you, (even though) there is insufficient room for them (to be defenders with you). They are all being seared upon the man-made, dimly lit illumination. (38:59)

এটি (অন্য দলটি) একটি বাহিনী (সমর্থকদের) যারা অধোমুখে ধাবিত হয় (প্রত্যাখ্যানের দিকে) তোমাদের সাথে (অনুসরণ করে), (যদিও) তাদের জন্য (তোমাদের সাথে সমর্থক হওয়ার) পর্যাপ্ত জায়গা নেই। তারা সবাই মানব-নির্মিত, ম্লান আলোকে দগ্ধ হচ্ছে। (38:59)

(To the original excessive ones) They (the rushing troop) said (when they are wedged together): “Nay! It is for you that there is insufficient room (to be wedged with us)! You have advanced it (your excessiveness that led us to follow you) for us! And wretched was that (excessiveness) to which (you caused us) to be attached!” (38:60)

(মূল পাপীদের উদ্দেশ্যে) তারা (ধাবমান বাহিনী) বলল (যখন তারা একে অপরের সঙ্গে গাঁথা হয়ে পড়লো): “বরং! তোমাদের জন্যই (আমাদের সাথে আটকে থাকার) পর্যাপ্ত জায়গা নেই! তোমরাই এটি (তোমাদের সীমালঙ্ঘন যা আমাদেরকে তোমাদের অনুসরণে নিয়ে এসেছে) আমাদের জন্য অগ্রসর করেছিলে! আর কতই না নিকৃষ্ট ছিল সেই (সীমালঙ্ঘন) যার সাথে (তোমরা আমাদেরকে) সংযুক্ত করেছিলে!”  (38:60)

They say: “Our lord! Whoever forwarded this to us, increase him multiples in the ‘fire’! (38:61)

তারা বলে: “আমাদের প্রভু! যে এটি আমাদের কাছে অগ্রসর করেছে, তার জন্য ‘আগুন’ বহুগুণ বৃদ্ধি করুন! (38:61)

And they say: “Why is it that we don’t see some people whom we thought of as evil doers? (38:62)

আর তারা বলে: “কী হলো যে আমরা দেখতে পাচ্ছি না কিছু লোককে, যাদের আমরা দুরাচারী মনে করতাম?” (38:62)

“Did we take them in ridicule, or have our eyesight suffered diplopia, unable to see them?” (38:63)

“আমরা কি তাদেরকে উপহাসের বস্তু করে নিয়েছিলাম, নাকি আমাদের চোখই দ্বৈতদৃষ্টি আক্রান্ত হয়ে তাদের চিনতে পারছে না?” (38:63)

That is, truly, the quarreling among the cohorts of the man-made, dimly lit illumination. (38:64)

এটাই তো আসলে মানব-নির্মিত, ম্লান আলোকের দলগুলোর মধ্যকার বিবাদ। (38:64)

নংসূরার নামমোট আয়াতঅনুবাদ করা হয়েছে
1আল- ফাতিহা77
2আল-বাকারা28664
3আল-ইমরান20056
4নিসা17632
5আল-মায়িদাহ12035
6আল-আনাম16535
7আল-আরাফ20662
8আল-আনফাল7511
9আত-তাওবাহ1298
10ইউনুস10925
11হুদ12325
12ইউসুফ111111
13আর-রাদ4310
14ইবরাহীম526
15আল-হিজর9918
16আন-নাহল12838
17বনি ইসরাইল11129
18আল-কাহফ11074
19মারিয়াম9853
20ত্বা হা13539
21আল-আম্বিয়া11239
22আল-হাজ্ব7811
23আল-মুমিনুন11832
24আন-নূর646
25আল-ফুরকান7744
26আশ-শুআরা22735
27আন-নমল9356
28আল-কাসাস8828
29আল-আনকাবুত6914
30আল-রুম6034
31লুকমান3424
32আস-সাজদাহ309
33আল-আহযাব7335
34আস-সাবা547
35আল-ফাতির4510
36ইয়া সিন8383
37আস-সাফফাত18252
38সোয়াদ8839
39আয-যুমার7533
40আল-মুমিন8520
41ফুসসিলাত5420
42আশ-শূরা539
43আয-যুখরুফ8935
44আদ-দুখান5919
45আল-জাসিয়াহ3712
46আল-আহকাফ3517
47মুহাম্মদ3813
48আল-ফাতহ299
49আল-হুজুরাত184
50ক্বাফ4524
51আয-যারিয়াত6017
52আত-তুর493
53আন-নাজম6262
54আল-ক্বমর5519
55আর-রাহমান7878
56আল-ওয়াকিয়াহ9696
57আল-হাদিদ297
58আল-মুজাদিলাহ222
59আল-হাশর243
60আল-মুমতাহানা132
61আস-সাফ146
62আল-জুমুআহ115
63আল-মুনাফিকুন111
64আত-তাগাবুন182
65আত-ত্বালাক121
66আত-তাহরীম126
67আল-মুলক308
68আল-ক্বলম528
69আল-হাক্ক্বাহ5219
70আল-মাআরিজ444
71নূহ286
72আল-জ্বিন2828
73মুযাম্মিল202
74মুদাসসির561
75আল-কিয়ামাহ4023
76আল-ইনসান3131
77আল-মুরসালাত5050
78আন-নাবা4040
79আন-নাযিয়াত463
80আবাসা4242
81আত-তাকবির2929
82আল-ইনফিতার1919
83আত-তাতফিক367
84আল-ইনশিকাক2525
85আল-বুরুজ222
86আত-তারিক1717
87আল-আলা190
88আল-গাশিয়াহ261
89আল-ফজর304
90আল-বালাদ207
91আশ-শামস1515
92আল-লাইল210
93আদ-দুহা111
94আল-ইনশিরাহ88
95আত-তীন81
96আল-আলাক1919
97আল-ক্বাদর55
98আল-বাইয়িনাহ83
99আল-যিলযাল88
100আল-আদিয়াত1111
101আল-কারিয়াহ110
102আত-তাকাছুর88
103আল-আসর30
104আল-হুমাযাহ99
105ফীল55
106আল-কুরাইশ41
107আল-মাউন70
108আল-কাওসার30
109আল-কাফিরুন60
110আন-নাসর30
111লাহাব55
112আল-ইখলাস40
113আল-ফালাক55
114আন-নাস66
  62362307