১. সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা: সূরা ইয়াসীন ৩৬:২০-২৮ আয়াতসমূহ
Note: অতীত সম্প্রদায় সম্পর্কে নির্দেশাবলী এবং নিশ্চিতকরণ যাদের কাছে মুহাম্মদকে সতর্ককারী হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছিল।
And from outside the community of established order, a man who seeks (to engage) in the scripture (repented and) came forth14: He said: “O my community! Follow the (way to connect with the) emissaries! (36:20)
আর প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্থার সমাজের বাইরে থেকে এক ব্যক্তি, যে কিতাবে (সম্পৃক্ত হতে) চেয়েছিল, (অনুতাপ করে) এগিয়ে এল: সে বলল, “হে আমার জাতি! দূতদের (সাথে সংযোগের) পথ অনুসরণ করো!” (36:20)
“Follow those who do not ask you a recompense, and they are seekers of guidance! (36:21)
“তাদের অনুসরণ কর যারা তোমার কাছে প্রতিদান চায় না এবং তারা পথনির্দেশনা অন্বেষনকারী! (36:21)
“And what excuse do I have for not worshiping (in the past) the one who exposed me (to the correct path) and to whom you will be returned to resume your mission? (36:22)
“আর কী ওজর আমার থাকতে পারে তাঁর ইবাদত না করার (অতীতে), যিনি আমাকে (সঠিক পথ) প্রদর্শন করেছেন এবং যাঁর কাছে তোমরা তোমাদের মিশন পুনরায় শুরু করার জন্য ফিরে যাবে? (36:22)
“(Is it right that) I take as intermediaries to him (others as) deities? If ‘Ar-Rahmān’ intends for me some harm, their pairing with me (i.e., their conjoining as my ‘Qareen’) will not provide a substitute for me (to protect me against Allahh) at all, nor can they save me! (36:23)
“(এটা কি ঠিক হবে যে) আমি তাঁর কাছে পৌঁছার জন্য (অন্যদেরকে) উপাস্যরূপে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গ্রহণ করি? যদি ‘আর-রহমান’ আমার জন্য কোনো ক্ষতি চেয়ে থাকেন, তাহলে তাদের আমার সঙ্গে যুগলবদ্ধ হওয়া (অর্থাৎ, ক্বারীন হিসেবে সংযুক্ত হওয়া) আমার জন্য কোনো বিকল্প রক্ষা এনে দিতে পারবে না, এবং তারা আমাকে রক্ষা করতেও পারবে না। (36:23)
“Indeed, I would then be in clear aberrance. (36:24)
“অবশ্যই তাহলে আমি স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে থাকতাম। (36:24)
“Indeed, I have believed in your lord, so listen to me.” (36:25)
“প্রকৃতপক্ষে, আমি তোমাদের প্রভুর প্রতি বিশ্বাস এনেছি, তাই তোমরা আমার কথা শোনো।” (36:25)
It was said (to him): “Enter the concealed abode of privileged understanding!” He said: “I wish my community would develop evidence-based knowledge, (36:26)
তাকে বলা হয়েছিল: “প্রবেশ করো গোপন আবাসে—বিশেষ অন্তর্দৃষ্টির আশ্রয়ে!” সে বলেছিল: “আমি আশা করি আমার সম্প্রদায় প্রমাণ-ভিত্তিক জ্ঞান অর্জন করবে, (36:26)
“Of what (path and instruments) my lord granted for me to (use to) reconnect with him (despite my prior errancy) and (how he thus) remanded me among those to whom the softspoken emissaries speak!” (36:27)
“আমার প্রভু যা (পথ ও উপকরণ) আমাকে দান করেছিলেন— যাতে আমি তাঁর সঙ্গে পুনরায় সংযুক্ত হতে পারি (আমার পূর্ববর্তী ভ্রান্তির পরেও), এবং (যেভাবে তিনি) আমাকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন তাদের মাঝে, যাদের সাথে কোমলভাষী দূতরা কথা বলে!” (36:27)
২. সূরা ইয়াসিনের ৩৬:২০-২৮ আয়াতে উল্লিখিত ব্যক্তি কে?
মূসা নামসহ উল্লেখিত,
যাঁকে আল্লাহ্ পুনঃসংযোগের সুযোগ দান করেছিলেন
He (Mūssä) said (in a supplication to Allahh, at a time after the murder was completed): “O my lord! I transgressed against myself! Grant me, then, to reconnect with you!” And he (Allahh) granted him (a course of actions to) reconnect with him (with Allahh) – for, verily, he is the one truly capable of reconnecting (with his wayfarers), merciful. (28:16)
সে (মূসা) বলেছিল (এক প্রার্থনায় আল্লাহর প্রতি, হত্যাকাণ্ড সংঘটনের পরবর্তী সময়ে): “আমার প্রভু! আমি আমার নিজের ওপর জুলুম করেছি! অতএব, আমাকে আপনার সাথে পুনঃসংযোগের সুযোগ দিন!” আর তিনি (আল্লাহ) তাঁকে (একটি কর্মপন্থা) দান করলেন, যার মাধ্যমে সে তাঁর (আল্লাহর) সাথে পুনঃসংযুক্ত হতে পারলো— সত্যই তিনি (আল্লাহ) তাঁর অন্বষণকারীদের সাথে পুনঃসংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম, পরম দয়ালু। (28:16)
And after him (being part of the legions provided to you, Muḥammad), we brought down no (divine) legions (bringing any guidance) upon his community (i.e., yours too as a Nabiy, Muḥammad) from the abstract understanding (of the Torah), and we never intended to do so (after you)! (36:28)
আর তার (মূসার) পরে (যে তোমার জন্য প্রেরিত বাহিনীগুলোর অন্তর্ভুক্ত ছিল, হে মুহাম্মদ), আমরা তার সম্প্রদায়ের (অর্থাৎ, নবী হিসেবে তোমার সম্প্রদায়েরও) উপর কোনো (আসমানী) বাহিনীই অবতীর্ণ করিনি (যারা পথনির্দেশনা আনবে) তাওরাতের বিমূর্ত অন্তর্দৃষ্টি থেকে, এবং আমরা তা করার ইচ্ছাও করিনি (তোমার পর আর কখনও)! (36:28)
আর কোনো ফেরেশতা আসবে না
‘মেয়াদোত্তীর্ণ তাওরাত’ এর অনুসারীদেরকে আসমানী পথনির্দেশনা দিতে!
৩. বিশেষ চিহ্নিতকরণ: رَسُوْلٍ كَرِيْمٍۙ (rasūlin karīmin) প্রমাণ করে যে মূসা হলেন জিবরীল
وَجَعَلَنِيْ مِنَ الْمُكْرَمِيْنَ (36:27)…
… এবং তিনি (আল্লাহ) আমাকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন তাদের মাঝে, যাদের সাথে কোমলভাষী দূতরা কথা বলে! (36:27)
Nay! This (sūrah) is (an exercise for you the reader) to exert an effort into remembering (someone you should remember). (80:11)
শুধু তাই নয়! এই (সূরা) হল (পাঠক, তোমার জন্য একটি অনুশীলন) মনে রাখার জন্য একটি প্রচেষ্টার প্রয়োগ (এমন কাউকে তোমার মনে রাখা উচিত)। (80:11)
And whosoever chooses (to do so) shall remember him (that designee whom you should remember), (80:12)
আর যে (তা করতে) নির্বাচন করে, সে তাকে (উক্ত মনোনীত ব্যক্তিকে যাকে তোমাদের স্মরণ করা উচিত) স্মরণ করবে। (80:12)
(For, he is mentioned) In purified tomes (i.e., the QurꜤān), (80:13)
(কারণ, সে উল্লিখিত আছে) বিশুদ্ধ গ্রন্থে (অর্থাৎ, কোরআন -এ), (80:13)
That are exalted and protected (by angels), (80:14)
যা সুউচ্চ এবং সংরক্ষিত (ফেরেশতাদের দ্বারা), (80:14)
بِأَيدي سَفَرَةٍ (80:15) كِرامٍ بَرَرَةٍ (80:16)
In the hands of (angelic) emissaries, (80:15) Who are themselves purified (from error), soft-spoken, loyal and scrupulous. (80:16)
(ফেরেশতাসুলভ) দূতদের হাতে, (80:15) যারা নিজেরা শুদ্ধ (ভুল থেকে মুক্ত), কোমলভাষী, বিশ্বস্ত এবং অতীব সতর্ক। (80:16)
اِنَّهٗ لَقَوْلُ رَسُوْلٍ كَرِيْمٍۙ (69:40)
It (the Qur’an) is the speech of a soft-spoken emissary. (69:40)
এটি (কুরআন) এক কোমলভাষী দূতের বক্তব্য। (69:40)
And it is not the speech of a poet: How infrequently do you believe! (69:41)
এটি কোনো কবির বক্তব্য নয়: তোমরা কত অল্পই না বিশ্বাস করো! (69:41)
And neither is it the speech of a divinator: How infrequently do you seek to seed your comprehension! (69:42)
এটি কোনো গণকের বক্তব্যও নয়: তোমরা কত অল্পই না তোমাদের বোধকে বপন করার চেষ্টা করো! (69:42)
Repeatedly disclosed (in portions, successively) from the lord of all the realms! (69:43)
বারবার প্রকাশিত হয়েছে (ধাপে ধাপে, ধারাবাহিকভাবে) জগতসমূহের প্রভুর পক্ষ থেকে! (69:43)
It (the Qur’an) is surely the speech of a soft-spoken emissary, (81:19)
এটি (কোরআন) নিশ্চয়ই এক কোমলভাষী দূতের বক্তব্য, (81:19)
And we had already tried before them the community of FirƐaoun, and there came for them a soft-spoken messenger, (44:17)
আর তাদের আগেই আমরা ফির‘আউনের সম্প্রদায়কে পরীক্ষা করেছিলাম, এবং তাদের নিকট এক কোমলভাষী রাসূল আগত হয়েছিল, (44:17)
৪. কোরআনকে কি “কাওল” (বক্তব্য/বাণী) হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে?
And indeed, we have successfully linked the speech* for them perchance they remember: (28:51)
আর প্রকৃতপক্ষে, আমরা তাদের জন্য বক্তব্যগুলোকে সফলভাবে সংযুক্ত* করেছি যাতে তারা স্মরণ করতে পারে: (28:51)
*টীকা: এখানে “বক্তব্য সংযুক্তকরণ” বলতে বোঝানো হয়েছে কুরআনের আয়াতসমূহকে ভাষাগতভাবে সংযুক্ত করা — যা পূর্ববর্তী গ্রন্থ ও বনি ইসরাঈলের নবীদের প্রতি প্রেরিত ওহির আয়াতগুলোর সাথেও সম্পর্কযুক্ত। “তাদের” বলতে ইঙ্গিত করা হয়েছে “পূর্ববর্তী গ্রন্থের অনুসারীদের” প্রতি। এই সংযুক্তকরণ কুরআনের অভ্যন্তরীণ আন্তঃসম্পর্কের প্রতিও ইঙ্গিত করে, যেখানে একাধিক আয়াত পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে পথপ্রত্যাশী মেহনতকারীদের জন্য চিহ্ন সৃষ্টি করে।
Those to whom we have allowed to learn the scripture before it (before the Qur’an): In it they believe. (28:52)
যাদের আমরা এর আগে (কোরআনের পূর্বে) কিতাব শিখতে অনুমতি দিয়েছিলাম—তারা এতে (এই কুরআনে) বিশ্বাস আনে। (28:52)
And whenever it is recited upon them, they profess, “We believe in it, for, we recognize it as the truth from our lord – and, indeed, even before it we had surrendered ourselves to our lord!” (28:53)
আর যখনই এটি তাদের ওপর তিলাওয়াত করা হয়, তারা ঘোষণা করে: “আমরা এতে বিশ্বাস এনেছি, কারণ আমরা এটিকে আমাদের প্রভুর পক্ষ থেকে সত্য বলে সনাক্ত করি—এবং, অবশ্যই, এর আগেও আমরা আমাদের প্রভুর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলাম!” (28:53)
একটি বিশেষ দুআ যা মূসা করেছিলেন!
Go to FirƐaoun, for, he has been excessive. (20:24)
ফেরাউনের নিকট যাও, কারণ, সে দারুণ উদ্ধত হয়ে পড়েছে। (20:24)
He (Mūssā) said: “My lord! Splay my breast (i.e., grant me open-mindedness so that I may understand and receive the divine guidance)! (20:25)
সে (মূসা) বলল: “আমার প্রভু! আমার বক্ষ প্রসারিত করুন (অর্থাৎ, আমাকে মুক্ত মন দান করুন যাতে আমি আসমানী নির্দেশনা বুঝতে ও গ্রহণ করতে পারি)! (20:25)
“And make my cognitive abilities ready for my undertaking! (20:26)
“এবং আমার জ্ঞানগত সামর্থ্যকে আমার কর্তব্যের জন্য প্রস্তুত করুন! (20:26)
“And untether any false conviction (in them) due to my locution, (20:27)
“এবং আমার বক্তব্যের কারণে (তাদের মধ্যে) কোনো ভুল বিশ্বাস হয়ে থাকলে তা মুক্ত করুন, (20:27)
“(So that) They understand my speech! (20:28)
“(যেন) তারা আমার বক্তব্য বুঝতে পারে! (20:28)
“And render to my benefit, the bearer of responsibility (true culprit for the crime of killing a young man) from among my (old) cohorts, (20:29)
“এবং আমার (পুরাতন) সহচরদের মধ্য থেকে (একজন তরুণকে হত্যার অপরাধের প্রকৃত দায়ভার বহনকারীকে) আমার সুবিধার্থে প্রকাশ করুন, (20:29)
“Harun, my brother! (20:30)
“আমার ভাই, হারুন! (20:30)
“Strengthen with him my band (of supporters), (20:31)
“তার মাধ্যমে আমার (সমর্থকদের) দলকে শক্তিশালী করুন, (20:31)
“And make him a partner in my (future) undertaking (to FirƐaoun), (20:32)
“এবং তাকে আমার (ভবিষ্যৎ) কার্যক্রমে (ফির‘আউনের প্রতি) একজন অংশীদার করে দিন, (20:32)
“So that we (with Banī Issrā’īl) apply your way, abundantly, (20:33)
“যেন আমরা (বনী ইসরাঈলসহ) আপনার পথ অধিকহারে প্রয়োগ করতে পারি, (20:33)
“And engage your Żikr, abundantly. (20:34)
“আর আপনার যিকির বেশি বেশি করি। (20:34)
“Indeed, you have already provided us much insight!” (20:35)
“প্রকৃতপক্ষে, আপনি ইতিমধ্যেই আমাদের অনেক অন্তর্দৃষ্টি দিয়েছেন!” (20:35)
He (Allahh) said: “You have been allowed to learn how to ask correctly, O Müssä!” (20:36)
তিনি (আল্লাহ) বললেন: “হে মুসা! তোমাকে সঠিকভাবে কিভাবে চাইতে হয় তা শেখার অনুমতি দেওয়া হল।” (20:36)
নোট: মূসা যুবককে হত্যা করেননি! এটা করেছিল হারুন! এ বিষয়ে আরও জানতে পারবেন ভবিষ্যতের পর্বে!
সূরা আল-ইনশিরাহ (94)
(O Mūssā!) Did we not splay your breast (figuratively, to understand and receive the divine guidance)?* (94:1)
(ও মূসা!) আমরা কি তোমার বক্ষ (আসমানী নির্দেশনা বোঝার ও গ্রহণ করার জন্য) প্রসারিত করিনি?* (94:1)
And we have unburdened you, (94:2)
এবং আমরা তোমাকে করেছি ভারমুক্ত, (94:2)
Which corrupted (your reputation) behind you, (94:3)
যা তোমার পিছনে (তোমার সুনাম) কলুষিত করেছে, (94:3)
To honor you, we have elevated your zikr. (94:4)
এবং আমরা তোমার যিকির (কোরআনের গল্পে) উচ্চতর করেছি। (94:4)
For, difficulty is always accompanied by an opportunity to receive divine guidance in line with your cognitive readiness*. (94:5)
কারণ, প্রকৃতপক্ষে, মুশকিলের সাথে সর্বদা তোমার জ্ঞানীয় প্রস্তুতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে পবিত্র নির্দেশনা পাওয়ার সুযোগ থাকে*। (94:5)
*নোট: এটি একটি পদ্ধতিগত আয়াত, শুধুমাত্র আপনার কঠিন সময়ে সান্ত্বনা নয়!!! এটি আপনাকে বলে যে কীভাবে আপনার কঠিন সময়গুলোকে আল্লাহর কাছাকাছি আসার জন্য বিনিয়োগ করতে হবে। কঠিনতা এবং চ্যালেঞ্জগুলোকে আটকে থাকা জ্ঞানগত ভুল মতামতগুলো চেঁছে ফেলার প্রক্রিয়া হিসেবে ভাবুন। যেখানে আমি হোঁচট খাই সেখানেই সম্পদ!
Difficulty is always accompanied by an opportunity to receive divine guidance in line with your cognitive readiness. (94:6)
প্রকৃতপক্ষে, মুশকিলের সাথে সর্বদা তোমার জ্ঞানীয় প্রস্তুতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে পবিত্র নির্দেশনা পাওয়ার সুযোগ থাকে। (94:6)
And thus, when you (O Muhammad) are (feeling) empty*, seek (through the Qur’an) until tiredness**, (94:7)
আর তাই, (ও মুহাম্মাদ) যখন তুমি শূন্যতা অনুভব কর*, তখন ক্লান্ত না হওয়া পর্যন্ত (কোরআনের মাধ্যমে) অনুসন্ধান কর”, (94:7)
*Note: আয়াত ২৮:১০-এ মুসার মায়ের হৃদয় শূন্য হয়ে যায়, যার অর্থ কী করা উচিত তা অস্পষ্ট হয়ে যাওয়া।
And to your lord (O Muhammad) direct your longing! (94:8)
আর (ও মুহাম্মাদ) তোমার প্রভুর দিকে তোমার আকাঙ্খা একমুখী কর! (94:8)
আল্লাহ মূসার প্রার্থনা দুটি অংশে গ্রহণ করেছেন: সূরা ২০ এবং সূরা ৩৬। আল্লাহ মূসাকে নিযুক্ত করেছেন যিনি তার লোকদের বোঝার জন্য “কাওল” নিয়ে আসেন।
5. মূসা কেন কুরআনের সাথে জড়িত ছিলেন?
কারণ এটি বনী ইসরাইলের প্রতি চলমান বক্তব্যের একটি অংশ।
কুরআন নির্দেশনা এবং পরিবর্তনের দলিল:
৬. জিবরীল কে?”
উত্তর: “মূসা, একজন ফেরেশতা হিসেবে যিনি বনী ইসরাইলের নবীদের শিক্ষা দিতে এবং বনী ইসরাইলের মধ্যে যারা প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের শাস্তি দিতে ফিরে এসেছিলেন!”
এর অন্তর্ভুক্ত ছিল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম–কে শিক্ষা দেওয়ার জন্য তার ফিরে আসা, যিনি বনী ইসরাঈলের শেষ নবী ছিলেন!
৮. জিবরীলের ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ: جبريل
জিবরীল (جبريل) — এর মতো ইসমাঈল এবং ইসরাঈল
ইসরাঈল = যিনি আল্লাহর আদেশে গোপনে চলাফেরা করতেন
ইসমাঈল = যিনি আল্লাহর আদেশে অন্যদের শুনতে সক্ষম করেছিলেন
জিবরীল = যিনি আল্লাহর আদেশে সংস্কার এবং শাস্তি উভয়ই নিয়ে আসেন
মূসাই ছিলেন একমাত্র ব্যক্তি যাকে কুরআনের ক্রমানুসারে “জাব্বার” جَبَّار হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
10. আরও প্রমান
And (we also allowed to learn some of the scripture’s instruments of concealment) some messengers whom we have recounted upon you before, and some messengers whom we did not recount upon you. And Allahh permitted/enabled Mūssā to speak (and on his behalf as Jibreel) many times (4:164)
আর কিছু রাসূল, যাদের কাহিনী আমরা তোমার কাছে পূর্বে বর্ণনা করেছি, এবং কিছু রাসূল, যাদের কাহিনী আমরা তোমার কাছে বর্ণনা করিনি। আর আল্লাহ মূসাকে অনুমতি ও সামর্থ্য দিয়েছিলেন বহুবার কথা বলার—(জিবরীল রূপে তাঁর পক্ষ থেকে) (4:164)
(to) Messengers providing glad tidings, and warning, so that, after the messengers, people have no argument against Allahh. And Allahh has always been unassailable, provider of linguistic discernment. (4:165)
রাসূলদের(কে) সুসংবাদ প্রদান করতে এবং সতর্ক করতে, যাতে রাসূলদের পরে আল্লাহর বিরুদ্ধে মানুষের কোন যুক্তি না থাকে। এবং আল্লাহ সর্বদাই অপ্রতিরোধ্য, ভাষাগত বিচক্ষণতা প্রদানকারী। (4:165)
Say: “Whoever is an enemy to Jibreel, (know that) he has made it (the Qur’an) repeatedly accessible upon your core, by the permission of Allahh, correcting that which was available, and as a guidanée and glad tidings to the believers. (2:97)
বলো: “যে জিবরীলের শত্রু — (জেনে রাখো) তিনি আল্লাহর অনুমতিক্রমে একে (কোরআনকে) তোমার অন্তরের ওপর বারবার প্রবেশযোগ্য করেছেন, যা আগে ছিল তা সংশোধন করে, এবং এটি বিশ্বাসীদের জন্য দিশারী ও সুসংবাদ হিসেবে এসেছে।” (2:97)
Whoever is an enemy to Allahh, his angels, his messengers, Jibreel, and Mīkāl, then Allahh is an enemy to the rejecters. (2:98)
যে আল্লাহর, তাঁর ফেরেশতাগণের, তাঁর রাসূলগণের, জিবরীল ও মীকাইলের শত্রু — তবে আল্লাহ প্রত্যাখ্যানকারীদের শত্রু। (2:98)
And ask some of the messengers whom we sent before you: Did we insert as intermediaries to Ar-Raḥmān any gods to be worshiped? (43:45)
আর (ও মুহাম্মদ) তুমি তোমার পূর্বে প্রেরিত রাসূলদের মধ্যে কিছুকে জিজ্ঞেস কর: আমরা কি আর-রাহমানের সঙ্গে উপাসনার জন্য কোনো উপাস্যকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে স্থাপন করেছিলাম? (43:45)
And we have sent Mūsā with our signs to Fir’aoun and his notables, and he (Mūsā) said, ‘I am a messenger from the lord of all the realms! (43:46)
আর আমরা মূসাকে আমাদের নিদর্শনসহ ফেরাউনের কাছে ও তার প্রধানদের কাছে পাঠিয়েছিলাম, এবং সে (মূসা) বলেছিল, ‘আমি জগতসমূহের প্রভুর পক্ষ থেকে প্রেরিত এক রাসূল!’ (43:46)
অতএব, জিজ্ঞাসা কর মূসাকে!
১১. কেন এটি কুরআনে আরও স্পষ্ট নয়?
কারণ এটি তাদের জন্য একটি বিশেষ উপহার যারা পরিশ্রম করে! আমরা ইতিমধ্যে যে অনেক কিছু প্রকাশ করেছি তার মতোই!
এটি তৃতীয় পর্যায়ের সেচকারীদের (আস-সাআ) জন্য একটি বিশেষ মর্যাদা।
১২. কেন আমাদের প্রিয় সাঃ এটি উল্লেখ করেননি?
And we have allowed Müssä to learn the scripture, and thus, do not engage in discussions about meeting him! And we remanded him (repeatedly) as guidance to Banī Issrā’il. (32:23)
আর আমরা মূসাকে কিতাব শেখার অনুমতি দিয়েছি, তাই তুমি তার সাক্ষাৎ সম্পর্কে আলোচনা করতে যেও না! আর আমরা তাকে বনী ইসরাঈলের জন্য (বারবার) পথনির্দেশক বানিয়েছিলাম। (32:23)
এই কারণেই মুহাম্মদ এই তথ্যটি প্রকাশ করেননি:
তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এটি না করার জন্য!
১৩. সাহাবীদের কেউ কেউ কি জিবরীল সম্পর্কে জানতেন?
সহীহ বুখারী:
“মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিবরীলকে দেখেছিলেন এবং তাঁর ছয়শো জানাহ (কিতবীয় প্রমাণ) ছিল।
যা মূল তওরাতের ৬০০+ আইনগত নির্দেশনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ!”
অন্য এক বর্ণনায়, আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ, একজন ঘনিষ্ঠ সাহাবী, জিবরীলের ছয়শো ডানা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে উত্তর দিতে অস্বীকার করেন।
১৪. উপসংহার:
১. একটি বিখ্যাত হাদিস যা বলেছে: “মৃতদের উপর সূরা ইয়াসিন পাঠ করো” তা অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ এবং উত্তম উপদেশ!
২. সকল তাফসির গ্রন্থে দাবি করা হয়েছে যে সূরা ৯৪ মুহাম্মদকে সম্বোধন করে লেখা হয়েছিল, যা প্রমাণ করে তারা কুরআনের আয়াতগুলির মধ্যে সংযোগ স্থাপনে কতটা অমনোযোগী ছিল।
৩. সকল তাফসির গ্রন্থে জিবরীলকে একটি পৌরাণিক চিত্র (ডানাযুক্ত ফেরেশতা হিসেবে) হিসাবে চিত্রিত করা হয়েছে, যা আমাদের বলে যে তারা সম্পূর্ণভাবে খ্রিস্টীয় লোককথা এবং বাইবেলের পৌরাণিক কাহিনীতে নিমজ্জিত ছিল!
৪. জিবরীল সম্পর্কে জ্ঞান কুরআনের বিশাল অংশের অর্থ উন্মোচন করে, এবং এখন আমরা আল্লাহর অনুমতিক্রমে আরও অনেক কিছু বুঝতে পারি।
৫. এখনও অনেক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বাকি আছে, এবং আরও অনেক প্রমাণ উপস্থাপন করার আছে। আমি আপনাকে ধৈর্য ধরতে এবং ভবিষ্যতের অংশগুলি দেখতে থাকার অনুরোধ করছি।