বিস্ময়কর কোরআন

আল্লাহর দিকে অন্বেষণকারী

আল্লাহর পথে একজন অন্বেষণকারী হওয়ার মর্যাদায় পৌঁছানো—
শুধু এই দুনিয়ার জীবনে নয়, বরং তার পরেও!

وَجَعَلُوْا لَهٗ مِنْ عِبَادِهٖ جُزْءًا ۗاِنَّ الْاِنْسَانَ لَكَفُوْرٌ مُّبِيْنٌ (43:15)

For, they (Banī IssrāꜤīl , just as you shall do too ) have learned to attribute to him, a part (of their supplications) from his wayfarers (during their physical life). (43:15)

কারণ, তারা (বনী ইস্‌রাঈল—ঠিক যেমন তোমরাও করবে) শিখে নিয়েছিল তাঁর প্রতি আরোপ করতে,
(তাদের প্রার্থনাগুলোর) একটি অংশ, তাঁর অন্বেষণকারীদের (তাদের পার্থিব জীবনের সময়) কাছ থেকে। (43:15)

وَجَعَلُوا الْمَلٰۤىِٕكَةَ الَّذِيْنَ هُمْ عِبٰدُ الرَّحْمٰنِ اِنَاثًا ۗ اَشَهِدُوْا خَلْقَهُمْ ۗسَتُكْتَبُ شَهَادَتُهُمْ وَيُسْٔـَلُوْنَ (43:19)

And they ascribed feminine labels to the angels who are, in their afterlife, the wayfarers of ‘Ar-Raḥmān’. Did they witness their creation? Their (false) testimony shall be inscribed, and they shall be questioned (about it). (43:19)

আর তারা ফেরেশতাদেরকে নারী বাচক লেবেলে আখ্যায়িত করেছিল— যারা, পরকালে, ‘আর-রাহমান’-এর অন্বেষণকারী। তারা কি তাদের সৃষ্টি প্রত্যক্ষ করেছে? তাদের এই (মিথ্যা) সাক্ষ্য লিপিবদ্ধ করা হবে, এবং তাদেরকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। (43:19)

And the wayfarers of ‘Ar-Raḥmān’ are the ones who ‘walk’ in accordance with the scripture, treading carefully, and if the ignorants (who abuse the divine lexicon) address them, they reply (in accordance with the knowledge that is received) in exclusivity, (25:63)

আর-রহ্‌মান-এর অন্বেষণকারীগণ হচ্ছে  তারা, যারা কিতাবের নির্দেশনা অনুসারে ‘চলে’, সতর্কতার সঙ্গে পা ফেলে। আর যখন অজ্ঞরা—(যারা আল্লাহর বাণীর পরিভাষা বিকৃত করে)—তাদেরকে সম্বোধন করে, তখন তারা (প্রাপ্ত জ্ঞান অনুযায়ী) নির্বিশেষে উত্তর প্রদান করে, (25:63)

And (the wayfarers of ‘Ar-Raḥmān’ are also) those who dwell in accordance with the ‘Buyūt’ (the divinely selected linguistic, metaphorical motifs from and for the sake) of their lord, submitting in prostration and restoring, (25:64)

আর (তারাও আর-রাহমানের অন্বষণকারী) —যারা তাদের প্রভুর পক্ষ থেকে নির্ধারিত ‘বুয়ূত’ (আসমানীভাবে নির্বাচিত রূপকের মূলভাব) অনুসারে সবিস্তারে ভাবে, সেজদায় আত্মসমর্পণ করে এবং পুনরুদ্ধার করে, (25:64)

যখন আল্লাহ পানি, মেঘ, ও বৃষ্টিপাতের কথা বলেন এবং এর পরবর্তী পর্যায়ে পৃথিবীতে উদ্ভিদের জন্মের বর্ণনা দেন, তখন তিনি কেবল দৃশ্যমান চিত্রের বর্ণনা দিচ্ছেন না—বরং একটি সম্মিলিত রূপক কাঠামোর আকারে একটি জটিল বোধগত মূলভাব উপস্থাপন করছেন। এই উপাদানগুলোর প্রতিটিই—পানি, বৃষ্টি, অঙ্কুরোদ্গম—একটি ভাষাগত গঠন হিসেবে বহুবিধ অর্থ বহন করে। এদের সম্মিলনে গঠিত হয় একটি বাইত—অর্থাৎ কুরআনিক ভাষায় একটি সামগ্রিক মূলভাব।

আল্লাহ আমাদেরকে এই বাইতসমূহের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তা উপলব্ধি করার নির্দেশ দিচ্ছেন—যেন এগুলো বিচ্ছিন্ন শব্দ বা আয়াত নয়, বরং একত্রে গঠিত এমন বহুস্তরবিশিষ্ট প্রতীক, যা পাঠকের চিন্তাধারাকে শোধিত, দিকনির্দেশিত ও পুনর্গঠিত করার উদ্দেশ্যে অবতীর্ণ হয়েছে।

অতএব, যারা এই বাইতসমূহের মধ্যে বাস করে—অর্থাৎ যারা এর ভিত্তিতে জীবনযাপন করে—তাদেরকে কুরআন সিজদাকারী হিসেবে বর্ণনা করে। এই সিজদা কেবল একটি শারীরিক কর্ম নয়; এটি একটি প্রতীকী ও জ্ঞানতাত্ত্বিক আত্মসমর্পণ। তারা সিজদার মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করছে—অর্থাৎ, তাদের এই সিজদা এমন বুয়ূত-এর প্রতি একটি আত্মসমর্পণের কাজ। মনোযোগ দিন: এই সিজদা হলো আত্মসমর্পণ করা, নত হওয়া, নিজের কপাল মাটিতে নামানো—কিতাবের প্রতির—এই বুয়ূত-এর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণের একটি প্রকাশ। আর এই আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়েই তারা সেই বুয়ূত-এর সঠিক উপলব্ধিকে পুনরুদ্ধার ও পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটাই তাদের প্রথম বৈশিষ্ট্য

তবে প্রশ্ন হচ্ছে—এখানে আসল বার্তাটি কী? মূলত এটি কুরআন বোঝা—এর উপর চলা, এর শব্দের উপর অতীব যত্ন, বিনয় ও অধ্যবসায়ের সঙ্গে পদচারণা করা। অর্থাৎ, কুরআনের উপর যেভাবে চলা উচিত—তাকে তুচ্ছ বা হালকা করে নয়, বরং গভীর মনোযোগ, রূপক ইঙ্গিত এবং জ্ঞানতাত্ত্বিক উদ্দেশ্য নিয়ে এর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা।

And (the wayfarers of ‘Ar-Raḥmān’ are also) who say: “Our lord! Steer away from us the punishment (of separation) of ‘Jahannam’!” Indeed, its punishment has been decreed as a penalty. (25:65)

এবং (তারাও আর-রাহমানের অন্বষণকারী) যারা বলে: “আমাদের প্রভু! আমাদের থেকে ‘জাহান্নাম’-এর (বিচ্ছিন্নতার) শাস্তি দূরে সরিয়ে দিন!” নিশ্চয়ই, এর শাস্তি একটি একটি নির্ধারিত প্রতিফল। (25:65)

It (Jahannam) is (a combination of) harmful as a location of permanence and a temporary residence. (25:66)

এটি (জাহান্নাম) হল ক্ষতিকর (যেখানে সংমিশ্রণ ঘটে) স্থায়িত্বের আবাস ও অস্থায়ী বাসস্থানের। (25:66)

And (the wayfarers of ‘Ar-Raḥmān’ are also) those who when they ‘spend’, they do not do so excessively and do not restrict excessively, and instead it (their practice) is in between that (i.e., between the two extremes), for (the purposes only of) restoration. (25:67)

আর (তারাও আর-রাহমানের অন্বষণকারী) যারা যখন ‘ব্যয়’ করে, তখন তারা তা অতিরিক্তও করে না, আবার কঠোরভাবে সীমিতও করে না, এবং পরিবর্তে এটি (তাদের অনুশীলন) এর মাঝামাঝি পথে থাকে (অর্থাৎ, দুই চরম সীমার মধ্যবর্তী) — (শুধুমাত্র) পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে। (25:67)

And (the wayfarers of ‘Ar-Raḥmān’ are also) those who do not supplicate to another deity with Allahh, and do not ‘kill’ the ‘nafs’ to which Allahh has restricted access except using the truth, and do not debase. And whoever acts that way shall be met according with his/her sins: (25:68)

আর (তারাও আর-রাহমানের অন্বষণকারী) যারা আল্লাহ্‌র সঙ্গে অন্য কোনো উপাস্যকে ডাকে না, এবং যে ‘নফস’-এ আল্লাহ প্রবেশাধিকার সীমিত করেছেন, তাদেরকে ‘হত্যা’ করে না, কেবল সত্যকে ব্যবহার করা ব্যতীত, এবং অপমানজনক আচরণে জড়ায় না। এবং যে এই পথে কাজ করে তার সাথে তার পাপ অনুযায়ী আচরণ করা হবে: (25:68)

যারা আল্লাহ্‌র সঙ্গে অন্য কোনো উপাস্যকে আহ্বান করে না—ভালভাবে লক্ষ্য করুন। এমন কোনো মুসলমান কি আছেন, যিনি সুস্থ মস্তিষ্কে আল্লাহকে ডেকে অপর কোনো উপাস্যকেও আহ্বান করবেন? নিশ্চয়ই না। তাহলে এই আয়াতে প্রকৃতপক্ষে কী বলা হচ্ছে?

এই আয়াতটি এমন প্রার্থনার প্রতি ইঙ্গিত করছে যা আল্লাহ কর্তৃক অনুমোদিত নয়—অর্থাৎ, যদি কেউ কুরআনের নির্ধারিত পরিভাষা ব্যবহার না করে আল্লাহকে প্রার্থনা করে, তবে সে কার পরিভাষা ব্যবহার করছে? উত্তর হলো: কোনো মানবসৃষ্ট পরিভাষা। সুতরাং, কেউ যদি আল্লাহকে এমন একটি ধর্মীয় বা মতবাদগত পরিভাষা ব্যবহার করে প্রার্থনা করে যা অন্য কেউ তৈরি করেছে, তবে সে কার্যত ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহর সঙ্গে সমকক্ষ করে নিচ্ছে—তাকে এক ধরনের ইলাহ (উপাস্য) বানিয়ে নিচ্ছে।

এটাই এই আয়াতের মূল সতর্কতা: দোয়ার ভাষা ও পরিভাষা কোনো মানুষ বা অন্য কোনো মতবাদ থেকে আসা উচিত নয়—এটি শুধুমাত্র ঐশী পরিভাষা থেকে আসতে হবে—সেটি হলো আল্লাহ কর্তৃক অবতীর্ণ কুরআনিক পরিভাষা।

আয়াতটি আরো বলে: তারা সেই নাফসকে হত্যা করে না, সত্যের ভিত্তিতে ছাড়া। এখানে হত্যার অর্থটি স্পষ্ট করা গুরুত্বপূর্ণ। “নাফস হত্যা করা” বলতে কোনো অস্ত্র দিয়ে শারীরিক হত্যা বোঝানো হচ্ছে না। বরং এটি বোঝাচ্ছে নাফসের আধ্যাত্মিক ও জ্ঞানতাত্ত্বিক ধ্বংস

নাফস হলো সচেতন, শিক্ষাগ্রহণকারী সত্তা—এটি শরীর থেকে ভিন্ন একটি অস্তিত্ব, একটি স্বতন্ত্র মেটাফিজিকাল সত্তা।

এই প্রসঙ্গে নাফস হত্যা বলতে বোঝানো হচ্ছে: তাকে সঠিকভাবে শিক্ষাগ্রহণ থেকে বিরত রাখা, অথবা অন্যদের শিক্ষা দিতে সাহায্য করা থেকে বাধা দেওয়া। নাফসের দুটি মৌলিক কার্য: (১) জ্ঞান অর্জন করা এবং (২) অন্যকে জ্ঞান অর্জনে সক্ষম করে তোলা। কেউ যদি এ দুটি ভূমিকা পালনে নাফসকে বাধা দেয়, তবে সে কার্যত নাফসকে “হত্যা” করল।

তাই আল্লাহ্‌ আমাদের শিক্ষা দিচ্ছেন—অন্যদের থেকে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ কেড়ে নিয়ে অথবা তাদেরকে অন্যদের শেখাতে সহযোগিতা না করে যেন আমরা তাদেরকে বাধাগ্রস্ত না করি। সংক্ষেপে, নাফসকে তার স্বাভাবিক আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞানার্জন ও জ্ঞানবণ্টনের উদ্দেশ্য থেকে বিরত রাখা মানেই তার অস্তিত্ব নিঃশেষ করে দেওয়া—এটাই সেই মেটাফিজিকাল হত্যা যা এই আয়াতে সতর্ক করা হয়েছে।

যে কেউ এ ধরনের কাজ করে—হোক তা অনুমোদনবিহীন পরিভাষা ব্যবহার করে আল্লাহকে ডাকা, নাফসকে বাধা দেওয়া, বা অপমানজনক আচরণে জড়ানো—সে তার সীমালঙ্ঘনের সমান শাস্তি লাভ করবে

To him, the punishment (of separation) shall be doubled on the day of restoration, and in it he shall experience the daze while demeaned, (25:69)

তার জন্য, পুনরুদ্ধারের সময়ে (বিচ্ছিন্তার) শাস্তি দ্বিগুণ করা হবে এবং এতে সে তন্দ্রাচ্ছন্নতার (গভীর ঘুমের আগে আংশিক অচেতনের সময়কাল) অভিজ্ঞতা লাভ করবে লাঞ্ছিত অবস্থায়, (25:69)

পুনরূদ্ধারের দিনে বিচ্ছিন্তার শাস্তি দ্বিগুণ হয়ে যাবে। আগেই আলোচিত হয়েছে, এটি কোনো সার্বজনীন অভিজ্ঞতা নয় যা সকলের উপর একভাবে প্রযোজ্য। এটি ব্যক্তি ভেদে ভিন্ন—যেমনটি প্রথাগত শিক্ষায় বলা হয়েছে যে এটি সব মানুষের জন্য একটি একক, মহাজাগতিক দিন হবে—কুরআনে এর কোনো প্রমাণ নেই। বরং, কুরআন প্রতিটি ব্যক্তিকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করে, প্রতিটি ঘটনাকে স্বতন্ত্রভাবে সংজ্ঞায়িত করে।

এই পুনরূদ্ধার কারো জীবদ্দশাতেই ঘটতে পারে, যদি সে জাগ্রত হয় এবং আল্লাহর সঠিক পথে ফিরে আসে। তবে যদি কেউ নিজেকে পুনরূদ্ধার না করে—যদি সে সত্য প্রত্যাখ্যান করে—তাহলে এই পুনরূদ্ধার ঘটবে তার দেহগত মৃত্যুর পরে, তখন তার সামনে নেমে আসবে নানাবিধ কঠিন পরিণতি।

আমরা আশাবাদী যে আমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত হব যারা এই জীবদ্দশাতেই পুনরূদ্ধারপ্রাপ্ত হয়, যাদের উপর কোনো শাস্তি আসবে না। কিন্তু যারা বিভ্রান্তিতে থেকে যায়, তাদের শাস্তি দ্বিগুণ হবে। তারা এই শাস্তি ভোগ করবে সেই তন্দ্রাচ্ছন্নতার মধ্যে, যেখানে তারা অপমানিত ও লাঞ্ছিত অবস্থায় থাকবে।

এর মানে হচ্ছে, কিছু ব্যক্তি জীবিত অবস্থাতেই শাস্তি ভোগ করে, বাস্তব সময়েই। আর অন্যরা, মৃত্যুর পরে, ফিরে আসে সেই তন্দ্রাচ্ছন্নতার মধ্যে— তারা ফিরে আসে তাদের দ্বারা বিভ্রান্ত মানুষদের মাঝে।

যারা মিথ্যা শিক্ষা দিচ্ছেন এবং এই কথাগুলো শুনছেন: নিজেকে মৃত্যুর মুহূর্তের মুখোমুখি করার আগে– ভুল, বিভ্রান্তি, এবং যেসব ক্ষতি করেছেন, সেগুলো সংশোধন করে নিন।

Except whoever ceases and toils a good toiling in accordance with the divine lexicon, for, to those, Allahh shall exchange their harmful sins with insights. And Allahh has always been amenable to reconnect people with him, merciful. (25:70)

কিন্তু যে বিরত হয় এবং আসমানী শব্দকোষ অনুযায়ী উত্তম মেহনত করে, তাদের জন্য, আল্লাহ তাদের ক্ষতিকর পাপগুলোকে অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে বদলে দিবেন। আর আল্লাহ্‌ তো সর্বদা মানুষকে তাঁর সঙ্গে পুনরায় সংযুক্ত করতে সদাপ্রস্তুত—পরম দয়ালু। (25:70)

And whoever ceases and toils in accordance with the divine lexicon, then he ceases (his old practices) for the sake of Allahh, a persistent ceasing. (25:71)

আর যে বিরত হয় এবং আসমানী শব্দকোষ অনুযায়ী মেহনত করে, তারপর সে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই (তার পুরানো অভ্যাস থেকে) বিরত হয়, একটি অবিরাম বিরতি। (25:71)

And (the wayfarers of ‘Ar-Raḥmān’ are also) those who do not bend their testimony to (yield to) crookedness, and when they happen upon linguistic confusion (erroneously assigned to the scriptural lexicon) they pass by while remembering the soft whisperings (they received from the angels regarding such linguistic confusion). (25:72)

আর (আর-রাহমানের অন্বেষণকারী তো তারাও) যারা তাদের সাক্ষ্যকে বক্রতার দিকে ঝুঁকিয়ে দেয় না, আর যখন তারা ভাষাগত বিভ্রান্তির মুখোমুখি হয় (যা ভুলভাবে কিতাবের পরিভাষায় আরোপিত হয়েছে), তখন তারা তা অতিক্রম করে যায় স্মরণ রাখে সেই কোমল ফিসফিসানিগুলো—(যা তারা ফেরেশতাদের কাছ থেকে এ ধরনের ভাষাগত বিভ্রান্তি সম্পর্কে পেয়েছিল)। (25:72)

And (the wayfarers of ‘Ar-Raḥmān’ are also) those who, when they are reminded about the signs of their lord, they do not treat them (like) a rumbling sound in a state of deafness and blindness. (25:73)

আর (আর-রাহমানের অন্বেষণকারী তো তারাও) যারা, যখন তাদের প্রভুর আয়াতসমূহ তাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, তখন তারা সেগুলোকে বধিরতা ও অন্ধতার অবস্থায় একটি অস্পষ্ট গর্জনের মতো বিবেচনা করে না। (25:73)

And (the wayfarers of ‘Ar-Raḥmān’ are also) those who say: “Our lord! Grant us from our counterparts and our progenies (in the afterlife) some (undisclosed divine) secrets, and make us exemplars for the disciplined ones.” (25:74)

আর (আর-রাহমানের অন্বেষণকারী তো তারাও) যারা বলে: “আমাদের প্রভু! আমাদের অনুরুপ এবং আমাদের বংশধরদের কাছ থেকে (পরবর্তী জীবনে) কিছু (অপ্রকাশিত আসমানী) গোপনীয়তা দান করুন এবং আমাদেরকে সুশৃঙ্খলদের জন্য আদর্শ করে তুলুন।” (25:74)

Those (the wayfarers of ‘Ar-Raḥmān’) shall be recompensed with receiving the scoop (in the afterlife) in exchange for how they were patient, and in it they receive a justified salutation and (in accordance with the knowledge that is received) in exclusivity, (25:75)

তারা (আর-রহমান’-এর অন্বেষণকারীরা) জ্ঞান প্রাপ্তির মাধ্যমে প্রতিদান পাবে (পরকালে) যেভাবে তারা ধৈর্য্য ধারণ করেছিল তার বিনিময়ে, এবং তাতে তারা লাভ করবে যথার্থ অভিবাদন— এবং (যে জ্ঞান তারা প্রাপ্ত হয় তার আলোকে) নির্দিষ্টভাবে, (25:75)

While dwelling in the daze: It is a source of insight as (a combination of) a location of permanence and a temporary residence. (25:76)

তারা তন্দ্রাচ্ছন্নতার মধ্যে অবস্থানকালে—তা অন্তর্দৃষ্টির এক উৎস, যেখানে (সংমিশ্রণ ঘটে) স্থায়িত্বের আবাস ও অস্থায়ী বাসস্থানের। (25:76)

Say: “Of what concern would you be to my lord were it not for your (proper) supplication?” But you have rationalized (for yourselves or others) the belying (of Āyāt), and thus, it (whatever you have belied) shall be obligatory (upon you)! (25:77)

বলো: “তোমাদের (সঠিক) প্রার্থনা না থাকলে, আমার প্রভুর কাছে তোমাদের কীই-বা মূল্য থাকে?”
কিন্তু তোমরা তো (আয়াতে) মিথ্যারোপ করাকে (নিজেদের বা অন্যদের জন্য) যুক্তিসংগত করে তুলেছ,
সুতরাং (যাকিছুতে তোমরা মিথ্যারোপ করেছ), তা এখন (তোমাদের উপর) অপরিহার্য হয়ে পড়বে! (25:77)

আল্লাহ কেনই বা আমাদের প্রতি করুণা দেখাবেন? হ্যাঁ, তিনিই আমাদের সৃষ্টি করেছেন—তিনি সমগ্র মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন—এবং তিনি তাঁর সৃষ্টিকে ভালোবাসেন, এই মহাবিশ্বের প্রতিটি অংশসহ। কিন্তু তিনি আমাদেরকে সঠিক পথও দেখিয়েছেন—সেই সঠিক পন্থা যার মাধ্যমে আমরা শ্রদ্ধা, বিনয়, এবং সিজদাহ প্রকাশ করব। আর তিনি তা আমাদের কাছে পৌঁছেছেন তাঁরই অবতীর্ণ শব্দসমূহের মাধ্যমে।

কিন্তু যদি আমরা সেই শব্দগুলোকে প্রত্যাখ্যান করি—যদি আমরা তাতে মিথ্যারোপ করি এবং সেই মিথ্যারোপকে যৌক্তিক প্রমাণ করতে থাকি—তবে জবাব স্পষ্ট। যখন কেউ মিথ্যারোপ করে এবং সেই মিথ্যারোপকে নিজের জন্য বা অন্যের জন্য যুক্তিযুক্ত বলে প্রতিষ্ঠিত করে, তখন সে নিজের জন্য নিজের পথ বাধ্যতামূলক করে তোলে।

আর সে পথ কী?—তা হলো জাহান্নাম। সেটিই হয়ে ওঠে তার বেছে নেওয়া বিকল্প।

নংসূরার নামমোট আয়াতঅনুবাদ করা হয়েছে
1আল- ফাতিহা77
2আল-বাকারা28664
3আল-ইমরান20056
4নিসা17632
5আল-মায়িদাহ12035
6আল-আনাম16535
7আল-আরাফ20662
8আল-আনফাল7511
9আত-তাওবাহ1298
10ইউনুস10925
11হুদ12325
12ইউসুফ111111
13আর-রাদ4310
14ইবরাহীম526
15আল-হিজর9918
16আন-নাহল12838
17বনি ইসরাইল11129
18আল-কাহফ11074
19মারিয়াম9853
20ত্বা হা13539
21আল-আম্বিয়া11239
22আল-হাজ্ব7811
23আল-মুমিনুন11832
24আন-নূর646
25আল-ফুরকান7744
26আশ-শুআরা22735
27আন-নমল9356
28আল-কাসাস8828
29আল-আনকাবুত6914
30আল-রুম6034
31লুকমান3424
32আস-সাজদাহ309
33আল-আহযাব7335
34আস-সাবা547
35আল-ফাতির4510
36ইয়া সিন8383
37আস-সাফফাত18252
38সোয়াদ8839
39আয-যুমার7533
40আল-মুমিন8520
41ফুসসিলাত5420
42আশ-শূরা539
43আয-যুখরুফ8935
44আদ-দুখান5919
45আল-জাসিয়াহ3712
46আল-আহকাফ3517
47মুহাম্মদ3813
48আল-ফাতহ299
49আল-হুজুরাত184
50ক্বাফ4524
51আয-যারিয়াত6017
52আত-তুর493
53আন-নাজম6262
54আল-ক্বমর5519
55আর-রাহমান7878
56আল-ওয়াকিয়াহ9696
57আল-হাদিদ297
58আল-মুজাদিলাহ222
59আল-হাশর243
60আল-মুমতাহানা132
61আস-সাফ146
62আল-জুমুআহ115
63আল-মুনাফিকুন111
64আত-তাগাবুন182
65আত-ত্বালাক121
66আত-তাহরীম126
67আল-মুলক308
68আল-ক্বলম528
69আল-হাক্ক্বাহ5219
70আল-মাআরিজ444
71নূহ286
72আল-জ্বিন2828
73মুযাম্মিল202
74মুদাসসির561
75আল-কিয়ামাহ4023
76আল-ইনসান3131
77আল-মুরসালাত5050
78আন-নাবা4040
79আন-নাযিয়াত463
80আবাসা4242
81আত-তাকবির2929
82আল-ইনফিতার1919
83আত-তাতফিক367
84আল-ইনশিকাক2525
85আল-বুরুজ222
86আত-তারিক1717
87আল-আলা190
88আল-গাশিয়াহ261
89আল-ফজর304
90আল-বালাদ207
91আশ-শামস1515
92আল-লাইল210
93আদ-দুহা111
94আল-ইনশিরাহ88
95আত-তীন81
96আল-আলাক1919
97আল-ক্বাদর55
98আল-বাইয়িনাহ83
99আল-যিলযাল88
100আল-আদিয়াত1111
101আল-কারিয়াহ110
102আত-তাকাছুর88
103আল-আসর30
104আল-হুমাযাহ99
105ফীল55
106আল-কুরাইশ41
107আল-মাউন70
108আল-কাওসার30
109আল-কাফিরুন60
110আন-নাসর30
111লাহাব55
112আল-ইখলাস40
113আল-ফালাক55
114আন-নাস66
  62362307